‘ঢাকার আধুনিক ভবন মাটির নিচে দেবে যাবে, মারা যাবে ২ লাখ মানুষ’
১৭ মার্চ ২০১১ড. আখতার বলেন, ‘‘জলাধার ভরাট করে এবং নরম পলিমাটিতে ভবন তৈরি করায় এই ভয়াবহ পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷’’ তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে এই শহরে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে৷ তাৎক্ষণিকভাবে মারা যাবে দু’লাখ মানুষ৷
ড. হুমায়ুন আখতার ডয়চে ভেলেকে আরও জানান, ঢাকা শহরের অধিকাংশ আধুনিক বহুতল ভবন তৈরি হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে অথবা নরম মাটির ওপর৷ আধুনিক এসব ভবন বলতে গেলে মৃত্যুফাঁদ৷ রিশটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পে এসব আধুনিক ভবন টিকে থাকতে পারবেনা৷ তরল পদার্থের মধ্যে কোন কঠিন পদার্থ ছেড়ে দিলে যেভাবে ডুবে যায়, তেমনই এইসব ভবন লোকজনকে নিয়ে মাটির নিচে মুহূর্তেই দেবে যাবে৷ আর নির্মাণ ত্রুটির কারণেও ধ্বসে পড়বে অনেক ভবন৷ বিশেষ করে যেসব ভবনের নিচ ফাঁকা রেখে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা রাখা হয়েছে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ৷
পুরনো ঢাকার ইঁট সুরকির তৈরি বহু বছরের পুরনো একটি ভবনও ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকার কথা নয়৷ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ব্যাপক প্রস্তুতির পরও জাপানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে৷ আর বাংলাদেশে তার চেয়েও বড় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে বলে তিনি জানান৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোন সময় ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হতে পারে৷ অতীতে এই অঞ্চলে ৭ থেকে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে৷ ভূ-অভ্যন্তরের সেইসব ফাটল বা চ্যুতি এখন সক্রিয়৷ তারা শক্তি সঞ্চয় করছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন