‘‘ফেলানী রোড’’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ফেসবুক পাতাটি চালু হয় বুধবার৷ নাম: ঢাকায় ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের সামনের রাস্তার নাম ‘‘ফেলানী রোড'' করা হোক৷ এই দাবির পক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত৷ প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় পাতাটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিশ হাজারের বেশি মানুষ৷ সমর্থকের সংখ্যা খুব দ্রুতই বাড়ছে৷
ফেলানী রোডের দাবি নিয়ে চালু করা পাতাটি কে বা কারা পরিচালনা করছেন তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে পাতাটি বেশ গোছানো, দাবিগুলোও পরিষ্কার৷ গতকাল প্রকাশিত এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘সরকার নাম দিক বা না দিক, আজ থেকে গুলশান-১ এর ১৪২ নাম্বার রোডের নাম ফেলানী রোড!'' ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটের একটি স্ক্রিনশটসহ এক পোস্টে পাতাটির মডারেটর লিখেছেন, ‘‘আমরা দেখতে চাই ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে এভাবে লেখা থাকবে ফেলানী রোড৷''
এই নামকরণের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তিও প্রকাশ করা হয়েছে পাতায়৷ এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘বেইলি রোডের নামতো বেইলি রোড না৷ ঐটা নাটক সরণি৷ সরকার সে নাম দিয়েছে৷ সেই নাম ক'জনে ডাকে? আমরা সবাই বেইলি রোড ডাকি৷ অতএব সরকার দেয়ার চেয়েও আমাদের সেই নাম ডাকায় অভ্যস্ত হওয়া কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তাই চলুন, আজ থেকে শুটিং ক্লাবের সামনে থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তাটার নাম ‘ফেলানী রোড'৷ সরকার দিক বা না দিক, আমরা সেটাকে ‘ফেলানী রোড' ডাকব৷''
এদিকে, ফেলানী রোড নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনো কিছু জানা না গেলেও গুগল ম্যাপস এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে৷ ইতোমধ্যে এই ইন্টারনেট জায়ান্টের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে ‘‘ফেলানী রোড৷'' ইংরেজিতে ম্যাপস.গুগল.ডটকম ঠিকানায় ফেলানী রোড, ঢাকা লিখে সার্চ করলে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কটি দেখাচ্ছে৷
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়৷ এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে অভিযুক্তকে নির্দোষ বলেছে ভারতের আদালত৷ বাংলাদেশ সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন