1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকার পর বাগদাদ

৪ জুলাই ২০১৬

শুক্রবার ঢাকা৷ রবিবার বাগদাদ৷ পবিত্র রমজান মাসে হিংসালীলার দুই ঘটনা৷ দায় স্বীকার করল তথাকথিত আইএস৷ ক্ষমতা প্রদর্শনের কোনো সুযোগই ছাড়তে প্রস্তুত নয় তারা৷

পবিত্র রমজান মাসে হিংসালীলার আর এক ঘটনা
ছবি: Reuters/Khalid al Mousily

Iraqi capital rocked by ‘deadliest single attack’ this year

00:55

This browser does not support the video element.

চরম কট্টরপন্থি সুন্নি ভাবাদর্শের প্রতি আনুগত্য না দেখালে সবাইকেই শত্রু মনে করে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ ‘নরম বা উদারপন্থি' সুন্নি, শিয়া, অন্য ধর্মাবলম্বী, বিধর্মী বিদেশি – সবাই তাদের শত্রু৷ সরাসরি হামলা অথবা তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত আততায়ীদের চালানো হামলার দায় স্বীকার করে বারবার নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে বদ্ধপরিকর তারা৷ এমনকি ইসলাম ধর্মের পবিত্র রমজান মাসেও হামলা চালাতে ইতস্তত করেনা আইএস৷

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চেয়েছে আইএস৷ বাগদাদে হামলার পর দায় স্বীকার করতে বিলম্ব করেনি তারা৷ এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তাদের বয়ান অনুযায়ী এই হামলার লক্ষ্য ছিল শিয়া সম্প্রদায়৷

বেশ কিছুকাল অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ৷ রবিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে কারাদা এলাকায় পবিত্র ঈদের আগে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন মানুষ৷ সে সময় জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে৷ সেই আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১১৫ জন নিহত ও ২০০-রও বেশি মানুষ আহত হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু ও ১০ জন নারীও ছিল৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল৷ শহরের অন্য একটি শিয়া প্রধান এলাকায় আরেকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ তার ফলে কমপক্ষে ৫ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে৷ এই ভয়াবহ হামলার পর ইরাকের সরকার ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে৷ প্রশ্ন উঠছে, এমন ভয়াবহ হামলা আন্তর্জাতিক মঞ্চে কতটা গুরুত্ব পাবে?

ইরাকের সরকার সাম্প্রতিককালে আইএস-এর হাত থেকে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে সফল হয়েছে৷ বিশেষ করে ফালুজা শহর হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল আইএস. রবিবারের হামলা তারই প্রতিশোধ বলে অনেক মহল মনে করছে৷ রবিবারও ইরাকি বাহিনী মসুল শহরের দক্ষিণে ৭টি গ্রাম পুনর্দখল করেছে বলে জানিয়েছিল৷

২০১৫ সালের জুলাই মাসের পর বাগদাদে এত বড় আকারের হামলা ঘটেনি৷ তা সত্ত্বেও রবিবারের হামলার পর ইরাকের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ বিশেষ করে রাজধানী বাগদাদে নিরাপত্তা শিথিল ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জোরদার হচ্ছে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকায় চেকপয়েন্টে বোমা শনাক্ত করার যে ব্যবস্থা রয়েছে, বহুদিন ধরেই সেগুলি অচল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরের উপর জনতা পাথর, জুতা নিক্ষেপ করে৷

এসবি/এসিবি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ