সেটা যদি কারো জানা থাকত, তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে নোবেল পুরস্কার পেতেন! তবে ঢাকা-কলকাতার মতো শহর আছে ও থাকবে, যানজটের সমস্যাও থাকবে, আর থাকবে সমাধানের প্রচেষ্টা৷
বিজ্ঞাপন
নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস বা টরন্টোকে মেগাসিটি বললে একটা ছবি ভেসে ওঠে, এক অর্থ দাঁড়ায় – আর তৃতীয় বিশ্বের মেগাসিটিগুলোর কথা বললে আরেক ছবি পাওয়া যায়, আরেক অর্থ দাঁড়ায়৷ দু'ধরনের মেগাসিটিতেই গাড়ি চলে, দেখলে মনে হবে, বড় বেশি গাড়ি – কিন্তু কথাটা কি সত্যি? ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকায় যেখানে প্রতি এক হাজার বাসিন্দার জন্য গড়ে তিনটি গাড়ি চলে, সেখানে শিল্পোন্নত বিশ্বের মেগাসিটিগুলোতে প্রতি হাজার বাসিন্দার জন্য গাড়ির সংখ্যা হলো ৭০০! সে হিসেবে ঢাকার রাস্তায় তো যানজট হওয়ারই কথা নয়৷
ঢাকার প্রধান সমস্যা যানজট
এক কোটিরও বেশি জনসংখ্যার শহর ঢাকা৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো থমকে থাকে যানজটে৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়ে মানুষ, যার প্রধান কারণ অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অসচেতনতা৷
ছবি: DW/M. Mamun
গোড়া থেকেই শুরু
বিশাল জনগোষ্ঠীর শহর ঢাকায় যানজটের ফলে যে শুধু সময় নষ্ট হয়, তা নয়৷ ক্ষতি হয় বিপুল পরিমাণ জ্বালানিরও৷ আর এই যানজট শুরু হয় সপ্তাহের একেবারে প্রথম দিনটি থেকেই৷ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে তোলা ছবিটি দেখুন৷ রাজধানী ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ-এর যানজট এটি৷
ছবি: DW/M. Mamun
যেখানে-সেখানে ওঠা-নামা
ঢাকার যানজটের কারণগুলোর একটি হলো যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো৷ এক্ষেত্রে চালকদের যেমন সচেতনতার অভাব আছে, তেমনি অসচেতন যাত্রীরাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
আরো বেশি যাত্রী!
ঢাকার ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কের মাঝখানে গাড়িগুলোকে এভাবে আকাবাঁকা করে দাঁড় করানোর আরো একটি কারণ যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা৷ সাধারণত একই রুটের বাসগুলো বেশি যাত্রী উঠানোর জন্য এরকম প্রতিযোগিতায় নামে৷ ফলে সৃষ্টি হয় যানজট৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপ্রতুল পার্কিং স্পেস
ঢাকার প্রগতি সরণীর একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সামনের সড়কের ফুটপাথটি দখল করে রেখেছে গাড়ি৷ এ শহরের বেশিরভাগ ভবনেরই নেই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা৷ ফলে এ সব ভবনে আসা গাড়িগুলো পার্ক করা হয় ফুটপাথে কিংবা সড়কের ওপর, যেটা যানজটের অন্যতম একটি কারণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
সচেতনতার অভাব
ঢাকার যানজটের অন্যতম আরেকটি কারণ যত্রতত্র পথচারী পারাপার৷ এ শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ‘ট্র্যাফিক ম্যানার’ জানেন না৷ ব্যস্ততম সড়কে যত্রতত্র পারাপার তাই যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ অবশ্য ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত ওভার ব্রিজ অথবা জেব্রা ক্রসিং না থাকাও এর একটা কারণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
জীবনের ভয় নেই?
পর্যাপ্ত ফুট ব্রিজ বা ওভার ব্রিজ না থাকলেও, যে কটি আছে তাও ব্যবহার করতে চান না পথচারীরা৷ ছবিতে দেখুন রাজধানীর প্রগতি সরণীর ওভার ব্রিজের নীচ থেকেই কেমন রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা৷ এই দলে আছে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষার্থীরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
কখনও হকার, কখনও ছিনতাইকারী
যেসব পথচারী ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে চান, তাদের অনেকসময়ই শিকার হতে হয় নানা বিড়ম্বনার৷ দিনেরবেলায় ওভার ব্রিজগুলো হকারদের দখলে চলে গেলেও, দেখার নেই কেউ৷ আর রাতেরবেলা এ সব ওভার ব্রিজে মানুষ উঠতে চান না ছিনতাইকারীর ভয়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বেপথে গাড়ি
যে কোনো বড় রাস্তারই দু’টো দিক থাকে – গাড়ি আসার একদিক আর যাওয়ার একদিক৷ ঢাকা শহরে যানজটের একটা প্রধান কারণ উল্টো পথে গাড়ি চালানো৷ হ্যাঁ, রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম হলে অনেককেই দেখা যায় গাড়ি ঘুরিয়ে ঝট করে উল্টো দিকের চলে যেতে৷ এতে করে যানজট তো বাড়েই, দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থেকে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাস্তার ভাঙার কারণে জ্যাম
ঢাকার যানজটের অন্যতম একটি কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা খোড়াখুড়ি৷ ঢাকার গুলশানের এ সড়কটিতে স্যুয়ারেজের লাইন মেরামতের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কাজ চলছে৷ ফলে দিনেরবেলায় সড়কটিতে লেগেই থাকছে যানজট৷
ছবি: DW/M. Mamun
সেতু নির্মাণের জন্য...
ঢাকা শহরের যানজটের কারণের মধ্যে আছে দীর্ঘ সময় ধরে উড়াল সেতু নির্মাণও৷ উড়াল সেতু নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে সড়কের বেশিরভাগ জায়গায়৷ ফলে তৈরি হচ্ছে যানজট৷ তাছাড়া এ সব উড়াল সেতু নির্মাণে সঠিক পরিকল্পনারও অভাব আছে বাংলাদেশে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাঁধ সাধলো রেল ক্রসিং
ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রেই আছে কমপক্ষে ২০টি রেল ক্রসিং৷ এ সব ক্রসিং থেকে দিনে কমপক্ষে ৭০টিরও বেশি রেলগাড়ি চলাচল করে৷ এক হিসেব মতে, এই ক্রসিংগুলোর কারণে দিনে প্রায় ছয় ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকে ঢাকায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ডাস্টবিনের কারণেও যানজট
ঢাকা শহরের বেশিরভাগ ডাস্টবিনই সড়কের ওপরে৷ এ সব ডাস্টবিনে উপচে পড়া ময়লা আবর্জনা সড়কের ওপরেও ছড়িয়ে পড়ে৷ ফলে সেসব জায়গায় স্লথ গতিতে চলে যানবাহন৷ তাছাড়া রাতেরবেলা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না৷ যত্রতত্র এ সব ডাস্টবিনের কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয় মহানগরীতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
12 ছবি1 | 12
শিল্পোন্নত বিশ্বের মানদণ্ড দিয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বকে মাপতে গেলেই গোলমালে পড়তে হবে৷ একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে৷ শিল্পোন্নত বিশ্বে মেগাসিটি যতো বাড়ে, তার সঙ্গে বাড়ে ও বদলায় তার অবকাঠামো – যেন ছেলে যত বাড়ছে, তার জন্য তত নতুন জামাকাপড় কেনা হচ্ছে৷ কিন্তু ঢাকার মতো শহরের অবকাঠামো আদিতে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বড়জোর ২০ লাখ মানুষের জন্য – বিশেষ করে রাস্তা ও যানবাহনের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য৷ এককালে শহর কলকাতায় রাস্তার পরিমাণ ছিল আয়তনের মোট ছয় শতাংশ – পরে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে ২০০ গুণ! কিন্তু রাস্তা সেই পরিমাণে বেড়েছে বা চওড়া হয়েছে কি?
কেউ যেন মনে না করেন যে ঢাকা-কলকাতার কর্তৃপক্ষ হাত গুটিয়ে বসে আছেন৷ তারা নানা ধরনের সমাধান পরীক্ষা করে দেখছেন৷ কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির মতোই যানবাহন বাড়ছে যেন প্রাকৃতিক নিয়মে, প্রাকৃতিক হারে৷ কোনো ছোট পাখির বাসায় বড় পাখির ছানাকে খাইয়ে-দাইয়ে মানুষ করতে বেচারা বাবা পাখি আর মা পাখির যেমন নাভিশ্বাস ওঠে, এ যেন ঠিক সেই রকম৷ জওহরলাল নেহরু একবার এক পশ্চিমা সাংবাদিককে বলেছিলেন: ‘আমাদের প্রগতি হয় না কেন জানো? আমাদের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার জন্য খুব জোরে দৌড়তে হয়৷' যেন কোনো জিমের ট্রেডমিল – অর্থাৎ প্রগতি যা হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি তা খেয়ে যাচ্ছে৷ ঢাকা-কলকাতার ট্র্যাফিক সামলাতে সরকার যাই করুন না কেন, ট্র্যাফিক বেড়ে তা দু'দিনের মধ্যে হজম করে বসে থাকে৷ ওদিকে ২০১৪-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকার যানজটে পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের ক্ষতি হচ্ছে বছরে ৩৮৬ কোটি ডলার, যা কিনা বাংলাদেশের ২০১২ সালের জিডিপি-র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ৷
নানা মুনির নানা মত
তাহলে কি কিছুই করার নেই? আছে বৈকি৷ কিন্তু তত্ত্ব এক ব্যাপার, আর সেই তত্ত্ব – এবং তথ্যের – ভিত্তিতে বাস্তব পরিকল্পনা করে, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপায়িত করা আরেক ব্যাপার – যে কাজের জন্য বিশেষজ্ঞ, কর্তৃপক্ষরা আছেন৷ আমরা যারা – প্রবাসী হলেও – ভুক্তভোগী, তারা শুধু সোচ্চার চিন্তা করতে পারেন: এটা করলে হয় না? ওটা করলে হয় না?
যেমন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি সরকারি পরিবহণ বৃদ্ধি ও সেই সঙ্গে গাড়ির বদলে সাইকেল চালানো বাড়ানোয় বিশ্বাসী৷ তারা চায় রাস্তায় বাস আর সাইকেলের জন্য আলাদা ‘লেন' করা হোক – ঢাকা-কলকাতার রাস্তায় সেটা কতটা সম্ভব, আপনারাই ভেবে নিন৷ অন্যদিকে ইউএনডিপি-কে জিগ্যেস করলে তারা বলবে, ট্র্যাফিক রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস – নিয়মকানুন – কড়াভাবে প্রয়োগ করো; অন্যদিকে গাড়িচালকদের বলো, উচ্ছৃঙ্খলের মতো গাড়ি না চালাতে৷
এভাবেই এসে পড়বে নানা পশ্চিমা সমাধান, যা পুবের মেগাসিটিতে গোঁত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে৷ কখনো শুনবেন একজন ড্রাইভারের জন্য সরু গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, তার কথা৷ কখনো শুনবেন ‘কার পুলিং'-এর কথা৷ কেউ বলছেন, সিটির মাস্টার প্ল্যান কেঁটে গণ্ডূষ করতে হবে: বাস টার্মিনাল, মার্কেট, শপিং মল, রিক্রিয়েশন সেন্টার, এ সব ‘রি-লোকেট' করো – মাপ করবেন, আপনি কি আমাদের ঢাকা-কলকাতার কথাই বলছেন?
ঢাকায় এত কষ্ট, জীবন নষ্ট!
প্রাণ আছে ঢাকা শহরে৷ ঢাকার মানুষেরও অফুরন্ত প্রাণশক্তি৷ নাগরিক জীবনে কত রকমের দুর্ভোগ৷ নগরবাসীর কাছে সবই যেন তুচ্ছ৷ চলুন দেখে নিই ঢাকার চিরচেনা কিছু দুর্ভোগের চিত্র৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
গ্যাস সংকটে নাজেহাল নগরবাসী
গত কিছু দিন ধরে ঢাকায় চলছে ভয়াবহ গ্যাস সংকট৷ আবাসিক গ্যাস সরবরাহ অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু জায়গায় মানুষ বিকল্প উপায়ে রান্নাবান্না করছে, কেউ বা গভীর রাতে একটু গ্যাসের দেখা পেলে তা দিয়েই কোনোরকমে সেরে নিচ্ছেন রান্না৷ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কয়েকদিন আগে ‘তিন দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে’ বললেও সংকট একেবারেই কাটেনি৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
প্রধানমন্ত্রী যা বললেন
চলমান গ্যাস সংকট নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে৷ এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘এই সমস্যা প্রতি শীতেই হয়৷ তবে আমরা বসে নেই৷ সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি৷’’
ছবি: Reuters
ঢাকা: বসবাসের জন্য অন্যতম নিকৃষ্ট শহর
২০১৪ সালে বিশ্বের সব শহরের মধ্যে বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর হয়েছিল ঢাকা৷ গতবছর সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দুই নাম্বারে৷ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পরেই ছিল বাংলাদেশের রাজধানীর নাম৷
ছবি: Getty Images
পানি সংকটের শহর
ঢাকার বড় একটি অংশে পানি সংকট খুব পুরোনো বিষয়৷ দিন যাচ্ছে, সংকট আরো তীব্র হচ্ছে৷ পানীয় জলের জন্য পাড়ার টিউবওয়েলের সামনে লম্বা লাইন, গলির কোনো কলের নীচে থালা বাসন ধোঁয়ায় ব্যস্ত নারী – এমন ছবি ফি বছরই পত্রিকায় শোভা পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
জলাবদ্ধতার শহর
একটু ভারি বৃষ্টি হলেই শহরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা৷ দেখে মনে হয় যেন বন্যা শুরু হয়েছে৷ পথ চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ নীচু এলাকার ঘর-বাড়িতেও ঢুকে পড়ে পানি৷
ছবি: picture alliance/Zumapress.com
যানজটের শহর ঢাকা
ঢাকার যানজটের কথা কে না জানে! এক ঘণ্টার পথ যেতে কখনো কখনো তিন-চার ঘণ্টাও লাগে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
দূষণেরও রাজধানী?
শহরের প্রায় সব পুকুর ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ভবন৷ ঢাকা প্রায় পুরোপুরিই ইট-পাথরের শহর৷ ধুলা আর যানবাহন, কলকারখানার ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ৷ পানিতে প্লাস্টিক, আবর্জনা, কলকারখানা থেকে আসা বিষাক্ত রাসায়নিক৷ শব্দ দূষণও আছে ভয়াবহ মাত্রায়৷ হরতাল বা ঈদের ছুটি ছাড়া ঢাকাবাসী প্রিয় শহরের শান্ত রূপ আর কখনো দেখতে পায় কিনা সন্দেহ৷ দূষণেও বাংলাদেশের ‘সেরা’ শহর ঢাকা৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
আবার শুনবেন, থ্রি-ই পদ্ধতিতে মুশকিল আসান: ইঞ্জিনিয়ারিং – চওড়া, একাধিক লেনের রাস্তা; বিআরটি বা বাস ব়্যাপিড ট্রানজিট; লাইট রেল থেকে মোনোরেল থেকে স্কাইট্রেন; অন্যদিকে এনফোর্সমেন্ট মানে ট্র্যাফিক পুলিশ; আর এডুকেশন মানে জনশিক্ষা৷ শুনবেন ‘টল' বসিয়ে শহরের কেন্দ্রে ট্র্যাফিক কমানোর কথা; স্মার্ট ট্র্যাফিক লাইটের কথা; এছাড়া বাড়ির কাছে অফিস, স্কুল-কাছারির টাইম বদলানো, শহর ঘিরে বাইপাস – সমাধানের কি কোনো কমতি আছে?
বাস করি চার লাখ মানুষের ইউনিভার্সিটি শহরে৷ এখানে গাড়ি চালাচ্ছি বেশ কয়েক দশক৷ বন শহরে এখন দু'টি সমাধানের ধুম চলেছে: (১) উষ্ণায়নের ফলে এই শীতেও মানুষজন সাইকেল চালিয়ে অফিস যাচ্ছেন; (২) গোলচক্কর, মানে ট্র্যাফিক রাউন্ড্যাবাউট৷ আমাদের প্লিটার্সডর্ফের পাঁচ মাথার মোড়ে এখন রাউন্ড্যাবাউট তৈরি হচ্ছে, যার ফলে শুধু ট্র্যফিক লাইট বাঁচবে পাঁচ-পাঁচটা৷
জার্মানিতেও যানজট হয় – শুধু অটোবান, মানে মোটরওয়েতেই নয়, শহরেও৷ তবে কম হয় আর হলেও তাড়াতাড়ি সামলে যায় – কেন জানেন? এখানকার লোক আইন মানে বলে৷ যা দেখে মনে হয়: যানজট সমস্যার সমাধান কি তাহলে – শৃঙ্খলা?
আপনি কি লেখকের সঙ্গে একমত? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷