1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকার শেয়ার বাজারে টানা দরপতন

১৫ নভেম্বর ২০১১

শেয়ার বাজারেরর সূচক নেমে গেছে ৫০০০ পয়েন্টের নীচে৷ যাকে বাজার বিশ্লেষকরা শেয়ার বাজারের চরম পতন বলে মন্তব্য করেছেন৷ আর বিনিয়োগকারীরা দরপতনের প্রতিবাদে তাদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন৷

শেয়ার বাজারে অস্থিরতা তুঙ্গেছবি: DW

মতিঝিল ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জের সামনে একজন হতাশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তার নিজের মৃত্যু কামনা করেন৷ কারণ তার পুঁজি কেড়ে নিয়েছে শেয়ার বাজারের পতন৷ তার সামনে এখন আর কোন আশার আলো নেই৷ এরকম আরো অনেক ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী জানান তাদের হতাশার কথা৷ তারা দরপতনের জন্য দায়ী করেন সরকারকে৷

কোরবানির ঈদের পর শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকে৷ টানা ৪ দিনের দরপতনে শেয়ার বাজারের সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নীচে নেমে গেছে৷ গত জানুয়ারিতে শেয়ার বাজারের ব্যাপক ধসের পরও সূচক ৫০০০ পয়েন্টের উপরে ছিল৷ আর আজ ২২৮ পয়েন্ট কমে গিয়ে সূচক দাড়িয়েছে ৪৬৪৯ পয়েন্টে৷ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন ৫০০০ পয়েন্টের নীচে সূচক নামার মানে হল শেয়ার বাজার তার পতনের শেষ প্রান্তে চলে গেছে৷ তবে এজন্য এখন পুরো অর্থনৈতিক অবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে আর ব্যাংকগুলোতে শুরু হয়েছে তারল্য সঙ্কট৷ যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে৷

আর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলছেন, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট কাটতে সুদের হার বাড়িয়েছে৷ ফলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ হচ্ছেনা৷ অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়ার বাজারের পতন ঠেকাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি৷

অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, বাজার থেকে যে টাকা বাইরে চলে গেছে তা ফিরে আসেনি৷ আর ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর মধ্যে এখন সক্রিয় মাত্র দুই থেকে আড়াই লাখ৷ স্বাভাবিক কারণেই শেয়ার বাজারে দরপতন হবে৷

একদিকে দরপতন আর আরেকদিকে বিনিয়োগকারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আহাজারি৷ এই হল এখন প্রতিদিনের শেয়ার বাজারের চিত্র৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ