ঢাকার সব প্রবেশমুখে শনিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি
২৮ জুলাই ২০২৩আজ ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশ শেষে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই মহাসমাবেশ কোনো সাধারণ সমাবেশ নয়। এই সমাবেশ বাংলাদেশ পরিবর্তনের একটি মাইলফলকে পরিণত হয়েছে।''
‘‘আওয়ামী লীগের এখন শেষ সময়। আমরা চাই তাদের শান্তিপূর্ণ পদত্যাগ। না হলে দেশের জনগণ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে'' বলে হুশিয়ারি করেন তিনি।
মহাসমাবেশকে সফল করতে রাতভর প্রস্তুতি নিয়েছে দলের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। একই ধরনের নির্দেশে সিলেট, রাজশাহী, ফরিদপুরেও থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
আমিনবাজার এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন, ঢাকায় ঢুকার মুখে পুলিশ তাদের রাস্তায় থামিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করেছে। অধিকাংশ সময় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের মোবাইল চেক করেন।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ সহযোগী সংগঠন শান্তি সমাবেশ করে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে। দুপুর ৩টায় তারা এই সমাবেশ শুরু করে।
আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি যদি রাস্তা বন্ধ করে, তাহলে তাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।‘
‘তারেক রহমান এত টাকা পেল কোথায়? বলে প্রশ্ন করেন তিনি।‘বিএনপির এক দফা নয়াপল্টনে আটকে গেছে, খাদে পড়ে গেছে। ক্ষমতার সাধ কোনদিন পূরণ করতে পারবে না তারা' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে সাভার ধামরাই থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা-কর্মী এবং ৩০০ গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে ধামরাই পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লা। কোনো ধরনের তল্লাশি ছাড়াই তাদেরকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে রাজনৈতিক দলগুলো ১৫০টি বাস রিজার্ভ করেছে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। রাজনৈতিক দলগুলোর বাস রিজার্ভের কারণে ঢাকায় আসতে জনগণকে ভোগান্তিতে পোহাতে হয়।
এসএইচ/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা)