রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে আর তার কেন্দ্র ঢাকার চারপাশের এলাকা হলে রাজধানীর ৭২ হাজার ভবন পুরোপুরি ধসে পড়বে, ধারণা বিশেষজ্ঞদের৷ তাঁদের মতে, এমন ঝঁকি থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি মেকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই দেশটির৷
বিজ্ঞাপন
[No title]
গত ৪ জানুয়ারি ভোর রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ৷ এই ঘটনায় শুধুমাত্র আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন৷ সাধারণ মানুষের আতঙ্ক এবং চিৎকারে সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর অবস্থার৷ তাঁদের কথা, এবারের ভূমিকম্পের মতো কম্পন তাঁরা আগে কখনো দেখেননি৷ ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বাইরে বের হতে গিয়ে আহত হন শতাধিক৷ ঢাকায় ছয়টি ভবন হেলে পড়ার খবরও পাওয়া যায়৷ এছাড়া সারা দেশে ৫০টিরও বেশি ভবন হেলে পড়ে অথবা ফাটল ধরে জানা যায়৷
আরো বড় ভূমিকম্পে বাঁচবে কিভাবে ঢাকা?
ভূমিকম্পে আবারো কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ৷ ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন৷ ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও রাজধানী ঢাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন রেখে গেছে সোমবার ভোরের এই ভূমিকম্প৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/S. Islam
আতঙ্কেই মারা গেছেন পাঁচজন
ভোর ৫টার দিকে শুরু হয় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প৷ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ঘর-বাড়ি কেঁপে ওঠায় ঘুম থেকে উঠেই ঘর ছাড়ার চেষ্টা করে অনেক মানুষ৷ এ সময় আতঙ্কে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ছবিতে সন্তান হারানো এক নারীর কান্না৷
ছবি: picture alliance/landov/S. Islam
আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে আহত হয়ে ২৯ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং ৩২ জন সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে৷ সারা দেশে শতাধিক বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/A. Abdullah
আতঙ্কে পাঁচ তলা থেকে লাফ
নিহতদের সবাই-ই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে চিকিৎসক এবং নিহতদের স্বজনরা জানাচ্ছেন৷ আতঙ্কে কেউ কেউ ভবন থেকে ঝাঁপিয়েও প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করেন৷ ঢাকায় আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যাদলয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে এবং পাঁচজন মহসিন ও কবি জসিম উদ্দীন হলের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/S. Islam
ভয়ংকর ঝুঁকির মুখে ঢাকা
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরের অন্তত ৭২ হাজার ছোট-বড় ভবনের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে৷ এ অবস্থায় ভূমিকম্পে অনেকের আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/S. Islam
ভূমিকম্প মোকাবেলার প্রস্তুতি নেই
ভূমিকম্পের পরে উদ্ধারকাজ সুষ্ঠুভাবে না হলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বাড়ে৷ সুষ্ঠু উদ্ধার কাজের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সমন্বিত প্রয়াস ও যুগোপযোগী নীতিমালা থাকা দরকার৷ এ সব অনেকাংশে থাকলেও মাঠপর্যায়ে এগুলোর প্রয়োগ ও চর্চা নেই৷
ছবি: Reuters
তাহলে বিপর্যয় রোখার উপায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় বড় রকমের ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ হতে পারে৷ পরিকল্পনাহীন ভবন ও রাস্তাঘাট, ঘনবসতি, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত মহড়ার অভাবের কারণেই এমন আশঙ্কা তাঁদের৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/S. Islam
6 ছবি1 | 6
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ইউএনডিপি-র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এ কে এম মাকসুদ কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ৩৫০ কি.মি. দূরে মনিপুর রাজ্য৷ কেন্দ্রে এর মাত্রা ছিল ৬.৭৷ ঐ কেন্দ্রে নাকি ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা ছিল৷ আর সেটা যদি হতো, তাহলে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তো৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ১২টি ভূমিকম্প ফাটল আছে৷ এ সব জায়গায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে৷ ঢাকার অদূরে মধুপুর ফাটল খুব বিপজ্জনক৷ প্রতি ১০০ বছর পর পর ফাটল থেকে বড় আকারের ভূমিকম্প হয়৷ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হয়েছে৷ তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা৷''
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানান, ‘‘২০০৯ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ভবনগুলো নিয়ে জরিপ করা হয়৷ তাতে দেখা যায় যে, আগামীতে যদি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে তিন লাখ ২৬ হাজার ভবনের মধ্যে ৭২ হাজার ভবন তাৎক্ষণিকভাবে ধসে পড়ব৷ একেবারে অক্ষত থাকবে খুব কম সংখ্যক ভবন৷ এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷ ঘটবে মানবিক বিপর্যয়ও৷''
একুশ শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী কয়েকটি ভূমিকম্প
গত ১৫ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে৷ ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের হিসেবে অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের তালিকা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Shah
পোর্ট অফ প্রিন্স, হাইতি
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইতিতে ৭.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে কমপক্ষে তিন লক্ষ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়৷ আহত হয় প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
ছবি: AP
আচে, ইন্দোনেশিয়া
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তা-তে ১৪ দেশের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Choo Youn Kong
সিচুয়ান, চীন
২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ানে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ মারা যায়৷ এতে ৫০ লক্ষেরও বেশি ভবন ধসে পড়ে৷ নিহতদের বেশিরভাগই ধসে যাওয়া ভবনের নীচে পড়ে প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images
কাশ্মীর, পাকিস্তান
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় ১,৩০০ জন এবং আফগানিস্তানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/E. Feferberg
বাম, ইরান
২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইরানের বাম প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়৷ এতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়৷ আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার৷
ছবি: AP
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি ও তাপরর পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
গুজরাট, ভারত
২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাটে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: SEBASTIAN D'SOUZA/AFP/Getty Images
কাটমান্ডু, নেপাল
চলতি বছর নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ ২৫ এপ্রিলের ঐ ভূমিকম্প প্রায় নয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাটমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
ইয়োগিয়াকার্টা, ইন্দোনেশিয়া
২০০৬ সালের ২৬ মে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের শিকার হয়ে প্রায় ৫,৮০০ মানুষের প্রাণ যায়৷ আহত হয় প্রায় ৩৬ হাজার৷
ছবি: AP
পাকিস্তান-আফগানিস্তান
সোমবার (২৬ অক্টোবর, ২০১৫) ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জন ও আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৭৬ জনের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে৷ আফগানিস্তানে নিহতদের মধ্যে ১২ জন ছাত্রী রয়েছে যারা ভয়ে স্কুল থেকে বের হতে গিয়ে পায়ের নীচে পড়ে মারা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Shah
10 ছবি1 | 10
তিনি বলেন, ‘‘এই দুর্যোগের জন্য আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়৷ প্রথমত, ভূমিকম্পে যাঁরা গৃহহীন হবেন তাঁদের আশ্রয় দেয়ার মতো খালি জায়গা নেই ঢাকায়৷ উদ্ধার কাজের জন্য দক্ষ জনবল এবং যন্ত্রপাতি নেই৷ নেই চিকিৎসা সুবিধাো৷ তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতাও নেই৷ তাই ভূমিকম্পের সময় কী কী করণীয় – সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না৷ ফলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে৷''
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘‘আমাদের এখনই প্রস্তুতি নেয়া উচিত৷ উচিত বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করা৷ এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত৷''
প্রসঙ্গত, ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর হচ্ছে না৷ সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বাধ্যতামূলকভাবে ‘সাইনবোর্ড' লাগাতে হবে৷ সেটুকুও কার্যকর হয়নি৷''
আপনার কি মনে হয়? ঢাকা কি বড় কোনো ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷
যে সাতটি এলাকায় ভূমিকম্প অস্বাভাবিক নয়
নেপালে সপ্তাহান্তে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর নিহতের সংখ্যা এখনো বেড়ে চলেছে৷ তবে ভূমিকম্প নতুন নয়, পৃথিবীর আরো কয়েকটি অঞ্চল বড় ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
পৃথিবী যেখানে কাঁপে
সাতটি টেকটনিক বা গঠনমূলক প্লেট দিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের ভূপৃষ্ঠ৷ যেসব স্থানে এসব প্লেটের মিলন ঘটেছে, সেসব স্থান সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত৷ নেপালে ভূমিকম্পের কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ৷ পৃথিবীর সাতটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার একটি নেপাল৷
ভক্তপুর, নেপাল (আগে)
কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত সাতটি বিশ্ব এতিহ্য অসংখ্য নেপালী এবং বিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে৷ ২০১৪ সালের আগস্টে তোলা হয়েছে ছবিটি৷
ছবি: picture alliance/landov
ভক্তপুর, নেপাল (পরে)
ভূমিকম্পের পরের ছবি এটি৷ উদ্ধারকর্মীরা ভেঙ্গে পড়া বিভিন্ন মন্দিরের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন৷ নেপালে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষ৷ উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে৷
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
জাপানের উপকূল (এখন)
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত জাপান৷ সেখানকার বহুতল ভবনগুলোও এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সেগুলো ভূমিকম্পের সময়ও টিকে থাকতে পারে৷ দেশটিতে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রও রয়েছে৷ ছবিটি সেরকম একটি বিদ্যুতকেন্দ্রের৷
ছবি: AFP/Getty Images/JIJI Press
জাপানের উপকূল (আগে)
জাপানের দূরত্ব নেপাল থেকে পাঁচহাজার কিলোমিটার৷ ২০১১ সালের মার্চে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কবলে পড়ে জাপান৷ সেসময় আঠারো হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরগুলোও গলতে শুরু করে এবং রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থ গিয়ে সমুদ্রে পানিতে মেশে৷ তা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাপান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আন্দামান সাগর, ভারত মহাসাগর (এখন)
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, যেটা কিনা ভারতের অংশ, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান কন্টিনেন্টাল প্লেটের সংযোগ স্থলের কাছাকাছি অবস্থিত৷ সেখানে ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আন্দামান সাগর, ভারত মহাসাগর (তখন)
সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ঘটেছে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর৷ এখন পর্যন্ত হিসেবে রাখা তৃতীয় শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল সেটি৷ ভূমিকম্প এবং পরবর্তীতে সুনামির কারণে সে সময় ২৩০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Choo Youn Kong
ইয়ুনান, চীন (আগে)
চীনের ইয়ুনান প্রদেশ এরকম অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপের জন্য পরিচিত৷ তবে এই অঞ্চলটিও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
ইয়ুনান, চীন (পরে)
২০১৪ সালের আগস্টে ভূমিকম্পের পর তোলা ছবি এটি৷ ভূমিকম্পে ৪০০-র বেশি মানুষ মারা যায় এবং একলাখের মতো গৃহহীন হয়ে পড়ে৷ চীনে বড় ভূমিকম্প দুর্লভ নয়৷ ২০০৮ সালে অপর এক ভূমিকম্পে সেদেশে প্রাণ হারায় সত্তর হাজার মানুষ৷
ছবি: Reuters
লাকিলা, ইটালি (আগে)
যদিও ইউরোপ ঠিক ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত নয়, তবে ভূমিকম্প এখানে অস্বাভাবিক নয়৷ ইটালিতে আফ্রিকার প্লেট ইউরোপীয় মহাদেশের প্লেটের বিপরীতে চাপ সৃষ্টি করছে৷ ফলে দেশটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Barone
লাকিলা, ইটালি (পরে)
২০০৯ সালে ইটালির লাকিলা শহরে ভূমিকম্পে তিনশো মানুষ প্রাণ হারায়, গৃহহীন হয় দশ হাজারের মতো মানুষ৷ সেসময় ভূমিকম্প সম্পর্কে পূর্বাভাষ দিতে ব্যর্থতার দায়ে সাত বিজ্ঞানীকে অভিযুক্ত করা হয়৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটির সমালোচনা হয়েছে কেননা বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গেলেও এখনো ভূমিকম্পের আগাম সতর্ক বার্তা দিতে সক্ষম নয়৷
ছবি: picture alliance/INFOPHOTO
সান ফ্রান্সিসকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯০৬ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে ভূমিকম্প থেকে শহরে আগুন ধরে যায়৷ ফলে তিন হাজার থেকে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি এটি৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভালডিভিয়া, চিলি
ভূকম্পণের মাত্রা মাপা শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূকম্পণের ঘটনা ঘটেছে চিলিতে৷ ১৯৬০ সালে সেদেশে নয় দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হয়৷ এতে চিলির দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়, প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১,৭০০ মানুষ৷