ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর চূড়ান্ত করতে আজ সকালে একদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন৷
বিজ্ঞাপন
একটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে নামেন৷ সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন৷ দুপুর সোয়া ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও জয়শঙ্করের সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে৷ বিকাল ৫টায় ভারত ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঢাকা ছাড়বেন তিনি৷
বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয় জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সামনে আমাদের মুজিববর্ষের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ বেশ কিছু অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে৷ এবং সেটা সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি সফর হওয়ার কথা রয়েছে৷ সব সফরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, অন্ততপক্ষে জটিল বিষয়গুলোকে আলোচনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে, এগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন৷’’
মোদীর সফর ঘিরে যোগাযোগ বা ‘কানেক্টিভিটির’ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি জোর পেয়েছে মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে৷ নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে৷ সেটি আশা করি, আমরা চালু করতে পারব খুব শিগগিরই৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে৷’’
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও একজন মোদী
দিল্লির ঘটনার পর আবারো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাম্প্রদায়িক হিসেবে চিহ্নিত করছেন অনেকে৷ সেই মোদীই আসছেন মুজিববর্ষের অন্যতম অতিথি হিসেবে৷ অথচ বঙ্গবন্ধু পরিচিত ছিলেন তাঁর অসাম্প্রদায়িক নীতির জন্য৷
ছবি: bdnews24
জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা
অনেকেই বলেন, মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবার থেকে এলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচিতিকে (ভাষা ও ঐতিহ্য) বড় করে দেখেছেন৷ ‘বাঙালি’ শব্দটিই ছিল জাতীয়তাবাদের একটি অসাম্প্রদায়িক পরিচয়৷ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারিক আলী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর যে বিষয়টি আমাকে অনুপ্রাণিত করে তা হলো, কেমন করে মুসলিম লীগের ছাত্রনেতা থেকে তিনি বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতা বনে গেলেন৷’’
ভারতের সাংবাদিক পিকে বালাচন্দ্রন তাঁর একটি লেখায় লিখেছেন, ‘‘মুজিবের অসাম্প্রদায়িক চেতনা কিন্তু ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়৷ তাঁর কাছে অসাম্প্রদায়িকতা ছিল সব ধর্মের মানুষের মাঝে একতা৷’’ তিনি আরো লিখেছেন, একইভাবে মহাত্মা গান্ধীও ভাবতেন৷ গান্ধী হিন্দু ধর্ম পালন করলেও সব ধর্মের মানুষের নেতা ছিলেন৷
ছবি: Journey/M. Alam
ভিন্নতায় মিল
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেছেন, ‘‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভিন্নতার মাঝে মিল তৈরি করেছেন এবং জাতীয়তাবাদ ও ধর্মকে এক করেছেন৷’’
ছবি: bdnews24
অসাম্প্রদায়িক জয় বাংলা শ্লোগান
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘‘অনেকে বঙ্গবন্ধুকে ‘বুর্জোয়া নেতা’ বলতে চাইলেও তিনি কিন্তু এলিট শ্রেণির বিরুদ্ধে ও শোষিতের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি ধর্মীয় রাজনীতিকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে পরিণত করেছেন এবং অসাম্প্রদায়িক শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ তৈরি করেছেন, যা আমাদের মুক্ত দেশের প্রথম দিককার শব্দ৷’’
ছবি: Journey/M. Alam
নরেন্দ্র মোদীর ‘সাম্প্রদায়িকতা’
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাঁধে৷ সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হিন্দু উগ্রবাদীদের হামলায় শত শত মুসলিম নিহত হন৷ অনেক হিন্দুও তাতে মারা যান৷ অভিযোগ আছে, রাজ্য সরকারের মদদে এই হামলা চালানো হয়৷ তখন বিজেপি ক্ষমতায় এবং নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ তখন থেকেই মোদী সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে একেবারে খোলাখুলি অভিযুক্ত হন৷
ছবি: picture-alliance/AP
‘ফ্যাসিস্ট’
ঘটনা চলাকালীন বিখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘‘এটা মানতেই হবে, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের মদতে পুষ্ট জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া জনতাই প্রথম হামলা চালিয়েছিল৷ পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে বা অনেক ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগে সাহায্য করেছে৷ মারধর করেছে রাস্তায় পড়ে থাকা যুবকদের৷ আমরা জানি সেই যুবকদের মধ্যে একজন মারা গেছেন৷ হিংসায় নিহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু-মুসলিম সবাই ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের শিকার৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
দ্বিচারিতা?
ভারতীয় গীতিকার জাভেদ আখতার বার বার মোদীর সমালোচনা করেছেন সিএএ-এনআরসি নিয়ে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি বলছে তাঁরা প্রতিবেশী দেশের খ্রিস্টানদের নাগরিক করবে৷ আর বেঙ্গালুরুতেই যিশুর মূর্তি গড়তে বাধা দিচ্ছে তাঁরা৷ অসাধারণ! গোটা বিষয়টাই অর্থহীন৷’’
ছবি: Reuters/A. Dave
‘বরং হিংসা ছাড়ুন’: রাহুল
গেল রোববার নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব থেকে বেরিয়ে যাবার চিন্তা করছেন৷ এর জবাবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আপনি সামাজিক গণমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট নয়, বরং হিংসা ছাড়ুন৷’’
ছবি: Reuters/A. Abidi
8 ছবি1 | 8
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা নয়, এটি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থাও তৈরি করেছে৷ বিশেষ করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো একটি বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ এটার একটি বড় প্রভাব কিন্তু আমাদের মত সরবরাহকারী দেশগুলির উপর পড়তে পারে৷’’
‘‘ভারত থেকে প্রচুর কাঁচামাল আসে, সেক্ষেত্রে এই কাঁচামাল এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাগুলি কীভাবে দূর করা যায়, সেগুলো আলোচনা হবে৷’’ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ‘অগ্রগতি’ হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে নদী বা পানি বিষয়ক যে বৈঠকগুলি হচ্ছিল না, সেগুলির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে কোনো কিছু চূড়ান্ত হবে, আমরা জোরালোভাবে তা প্রত্যাশা করি না৷’’ তিস্তা চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের সব সময়ের প্রায়োরিটি৷’’
‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ’ চুক্তির বিষয়টি দু'দেশের আলোচনার টেবিলে রয়েছে৷ এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি যৌথ সমীক্ষা করার জন্য এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশপত্র পেয়েছি৷ সামনের তিন বা ছয় বছরে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল করার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা এটা আজকের এজেন্ডা নয়৷
ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের যানবাহনকে সরাসরি ভুটান ও নেপালে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়াকে একটি বড় পাওয়া বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম৷
ভারতের ডাউকি ও বাংলাদেশের তামাবিল অংশে একটি ‘পেট্রাপোল’ নির্মাণ 'প্রায় হয়েই’ গেছে বলেও তিনি জানান ৷ তাছাড়াও বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য ভারতের চেন্নাইতে বাংলাদেশের একটি সহকারী হাই কমিশন খোলার চুড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
২০১৯ সালের অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...
ভারত বাংলাদেশ যত চুক্তি
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক পেয়েছে অন্য এক মাত্রা৷ দুই দেশের সরকারের মধ্যে বেড়েছে পারস্পরিক যোগাযোগ, হয়েছে নানা চুক্তি, আর একে অপরকে দিয়েছে ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশের’ মর্যাদা৷
ছবি: AFP/P. Singh
১০০ কোটি ডলার ঋণ ও ১৪ প্রকল্প
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার একবছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ভারত সফরে যান৷ সেসময় ১০০ কোটি ডলারের এলওসি বা ঋণরেখা অনুমোদন করে ভারত৷ এই অর্থে জনপরিবহন, সড়ক, রেলপথ সেতু আর অভ্যন্তরীন নৌপথের ১৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি হয়৷
ছবি: Getty Images/G. Crouch
বন্দী বিনিময়
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়৷ ২০১১ সালের ১৩ই জানুয়ারি তা কার্যকর হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশের নাগরিক অন্য দেশে সাজাপ্রাপ্ত হলে তাকে অনুরোধক্রমে ফেরত পাঠাতে পারবে৷ তবে এর আগেই অনুপ চেটিয়াসহ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদি নেতাদের গ্রেপ্তার করে দেশটিতে পাঠানো হয় বলে গণমাধ্যমে খবর বেরোয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Barreto
ছিটমহল বিনিময়
২০১৫ সালের জুন মাসে ভারত-বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হয়৷ যার মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাইতে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ছিটমহল বিনিময় হয়৷ ভারতের ১১১টি ছিটমহল যুক্ত হয় বাংলাদেশের সাথে৷ একইভাবে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলও হয়ে যায় ভারতের অংশ৷
ছবি: AFP/Getty Images
নদীর পানি বন্টন
বাংলাদেশের ভারতের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪ টি৷ এর মধ্যে শুধু গঙ্গা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি আছে৷ যদিও পানি বন্টনের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ভারত মানছে না বলে অভিযোগ আছে৷ অন্যদিকে পাঁচ দশক ধরে তিস্তা চুক্তির চেষ্টা চললেও তা সম্ভব হচ্ছে না দেশটির উদাসীনতার কারণে৷ যার ফলে এখন একতরফাভাবে নদীটির পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
ভারসাম্যহীন বাণিজ্য
১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷ ২০১৫ সালে স্বাক্ষর হয় এ বিষয়ে নতুন চুক্তি৷ এর আওতায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত হাটসহ আরো কিছু বাণিজ্য সম্পর্কিত চুক্তি হয়েছে৷ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের আকার ছিল ৯১৪ কোটি ডলার৷ যার সিংগভাগই ভারতের অনুকূলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
উন্নয়ন সহযোগিতার কাঠামো
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে একটি উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ যার মধ্যে আছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি সম্পদ; বিদ্যুৎ; শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M.U. Zaman
দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি
এই চুক্তি সম্পর্কে ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘‘দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক দেশ অন্য দেশের ভূখণ্ড থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রক্ষার লক্ষ্যে এ চুক্তি হয়েছে৷ ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরকে ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশ’-এর মর্যাদা দিয়েছে৷’’
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Swarup
বাংলাদেশ ভারতের পণ্য পরিবহন
দুই দেশের মধ্যে হওয়া বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী এক দেশ আরেক দেশের জল, স্থল ও রেলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য ট্রানজিটের সুবিধা নিতে পারে৷ ২০১৬ সালে মাশুলের বিনিময়ে ভারতকে আশুগঞ্জ নৌ বন্দর দিয়ে বহুমাত্রিক ট্রানজিট সুবিধা দেয় বাংলাদেশ৷ সড়কপথে ট্রানজিট দিতে ২০১৫ সালে আখাউড়া অগরতলা সীমান্ত দিয়ে পরীক্ষামূলক চালান পাঠানো হয়৷ যা পরবর্তীতে নিয়মিত হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভারতের রেল যাবে বাংলাদেশ হয়ে
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে৷ ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এ বিষয়ক একটি চুক্তি হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী এজন্য দুই দেশকে তাদের অংশের রেলপথ নির্মাণ করতে হবে৷ বাংলাদেশ অংশের সাত কিলোমিটার রেলপথ আগামী বছরে জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা৷
ছবি: DW/P. Mani
সাবরুমের মানুষে জন্য ফেনীর পানি
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সাতটি সমঝোতা সই ও চুক্তি হয়েছে৷ একটি সমঝোতার আওতায় ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত৷ ওই পানি তারা ত্রিপুরার সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে৷
ছবি: AFP/P. Singh
বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারত আটটি রুটে তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোদে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবে৷ এজন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা পদ্ধতি কী হবে, তা নির্ধারণে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরে৷
ছবি: DW/U. Danisman
চুক্তি থাকলেও হত্যা থেমে নেই
সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে ২০১১ সালে বিজিবি-বিএসএফ একটি চুক্তি করে৷ নেয়া হয় সীমান্ত পারাপারে অস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত৷ তবে সীমান্তে দেশটির আচরণে তার প্রতিফলন নেই৷ গত ১০ বছরে ২৯৪ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ৷