ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
১২ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ৷
বিজ্ঞাপন
সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করবেন বলেও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়৷ অনুষ্ঠানে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও শতবর্ষের ‘থিম সং' পরিবেশন করা হবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন৷ এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও৷ আরো বক্তব্য রাখদেবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ৷
শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো৷ সে হিসেবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে৷ ছবিঘরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্থাপনা ও তার ইতিহাস তুলে ধরা হলো৷
ছবি: bdnews24.com
শুরুর কথা
১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি ভাইসরয় লর্ড হার্ডিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্যার সলিমুল্লাহ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক তার সঙ্গে দেখা করে অত্র অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন৷ এরপর ১৯২১ সালের ১ জুলাই ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে৷ বর্তমানে বিভাগের সংখ্যা ৮৩, আর হল আছে ২০টি৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কলাভবন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ভবনগুলোর মধ্যে কলাভবন অন্যতম৷ এরই সামনে রয়েছে অপরাজেয় বাংলা, ঐতিহাসিক বটগাছ ও শহিদদের নামফলক৷ কলা অনুষদের পাঠদান এই ভবনেই হয়ে থাকে৷
ছবি: Mortuza Rashed
কার্জন হল
১৯০৪ সালে ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ নাথানিয়েল কার্জন এ স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়৷ ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে এ ভবনটি বিজ্ঞান বিভাগের জন্য নির্ধারিত হয়৷ ভবনটি ইউরোপ এবং মুঘল স্থাপত্যের এক দৃষ্টিনন্দন সংমিশ্রণ৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
দেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার এটি৷ ১৯২১ সালে ১৮ হাজার বই দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ৷ আরও আছে প্রায় ৩০ হাজার বিরল পাণ্ডুলিপি৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
চারুকলা অনুষদ
চারুকলা অনুষদ বাংলাদেশের চারু এবং কারুশিল্প পাঠের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জনসন রোডের এক বাড়িতে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে৷ প্রতিষ্ঠাকালে এর নাম ছিল ‘গভর্ণমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট’৷ বর্তমানে চারুকলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি অনুষদ৷
ছবি: Mortuza Rashed
অপরাজেয় বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে স্থাপিত এ ভাস্কর্য ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করা হয়৷ এ ভাস্কর্যটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজসহ সমাজের অন্যান্য পেশার মানুষের অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com
রাজু ভাস্কর্য
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল চলাকালে পুলিশ গুলি করলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা মঈন উদ্দিন রাজু নিহত হন৷ রাজুসহ সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের স্মরণে ১৯৯৭ সালে টিএসসি প্রাঙ্গণে এই ভাস্কর্য নির্মিত হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
টিএসসি
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র বা টিএসসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও কার্যকলাপ কেন্দ্র৷ গুরু-শিষ্যের মধ্যে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সুকুমারবৃত্তির চর্চার প্রয়োজনে এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সিনেট ভবন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন৷ তাঁর নামানুসারে এ ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কেন্দ্রীয় মসজিদ
১৯৬৬ সালে পাঁচ বিঘা জমির উপর এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৩টি মসজিদের মধ্যে এটি প্রধান৷ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এই মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত তিনটি আবাসিক হলের একটি শহীদুল্লাহ হল৷ ১৯০৮ সালে নির্মাণের পর এটি ছিল ঢাকা কলেজের প্রথম ছাত্রাবাস৷ ১৯৫২ সালে এই হলের পুকুর ঘাটে বসেই ১৪৪ ধারা ভেঙে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
রোকেয়া হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সবচেয়ে বড় এ ছাত্রী হলের যাত্রা শুরু ১৯৩৮ সালে৷ ১৯৬৪ সালে উপমহাদেশের নারী শিক্ষা ও জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামানুসারে এ হলের নাম ‘রোকেয়া হল’ রাখা হয়৷
ছবি: Minhaz Uddin
ফজলুল হক মুসলিম হল
অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হকের নামানুসারে ১৯৪০ সালে এ হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন৷ ১৯৭২ সালে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশে ২০০৪ সালে আবার তা সংযোজিত হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল
১৯৫৭ সালে এই হল প্রতিষ্ঠার সময় পাকিস্তানের কবি আল্লামা ইকবালের নামে হলের নামকরণ করা হয় ‘ইকবাল হল’৷ পরে ১৯৭২ সালে কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তন করে ‘জহুরুল হক হল’ রাখে৷ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক৷ ২০১৩ সালে এই হলের নাম আবারও পরিবর্তন করে ‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’ করা হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
মধুর ক্যান্টিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে এই ক্যান্টিন অবস্থিত৷ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে এই ক্যান্টিনের নাম জড়িয়ে আছে৷ প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে’র নামে এর নামকরণ করা হয়েছে৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে হত্যা করে৷
ছবি: Mortuza Rashed
ডাকসু
ডাকসু বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩-২৪ সালে৷ প্রথমে নামের সাথে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও ১৯৫৩ সালে এটি যোগ করা হয়৷ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার বলা হয় এই ছাত্র সংসদকে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শহিদদের নামফলক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ২০১৭ সালে নির্মাণ করা হয় শহিদদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক৷ মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শহিদদের স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বটতলা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ সে সময় কলাভবনের সামনের এ বটগাছটি উপড়ে ফেলা হয়৷ পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে একই জায়গায় বর্তমানের বটগাছটি পুনরায় রোপন করা হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার
বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ৷ প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য মানুষ সেখানে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে থাকে৷
ছবি: Mortuza Rashed
তিন নেতার মাজার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় ১৯৬৩ সালে জাতীয় তিন নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সমাধির উপর অনন্য এ স্থাপত্য নিদর্শন নির্মাণ করা হয়৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ
ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে এই তোরণটি ২০১৫ সালের মে মাসে উদ্বোধন করা হয়৷ ৯৯ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৩ ফুট প্রস্থ এবং ৩৭ ফিট উচ্চতার এ তোরণ নীলক্ষেত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
ডাঃ মিলন চত্বর
ডাঃ শামসুল আলম মিলন ছিলেন একাধারে চিকিৎসক এবং সংগঠক৷ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা ছিলেন৷ ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি নিহত হন৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বসুনিয়া তোরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংলগ্ন ‘বসুনিয়া তোরণ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র রাউফুন বসুনিয়ার নামে ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয়৷ রাউফুন বসুনিয়া ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে শহিদ হন৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
চুন্নু স্মৃতিফলক
১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহিদুল ইসলাম চুন্নুর স্মরণে ২০১৬ সালে এই স্মৃতিফলকটি উদ্বোধন করা হয়৷ ফলকটির অবস্থান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রবেশমুখে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
আসাদ স্মৃতিফলক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের ফটক সংলগ্ন শহিদ আসাদ আহমেদ মুন্নার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয় ১৯৮৮ সালে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
গ্রিক সমাধি
টিএসসির ভেতরে মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় এই সমাধিটি অবস্থিত৷ এটি দেশের একমাত্র গ্রিক স্থাপনা৷ ১৮০০ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়৷ এক গ্রিক পরিবারের ৯ সদস্যের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এটি নির্মিত হয়৷ এর ভেতরে দেয়ালে কালো রঙের ৯টি পাথর বা শিলালিপি রয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
দোয়েল চত্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকার ভেতরে কার্জন হলের সামনে অবস্থিত দোয়েল চত্বর বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য৷ এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক, যা দেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে৷
ছবি: Mortuza Rashed
27 ছবি1 | 27
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি'র সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ৷ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরকে বিশেষ স্যুভেনির উপহার দেবেন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ৷ বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলোচনা সভা এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে৷
২ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনই বিকাল ৪টায় আলোচনা সভা এবং সাড়ে ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে৷
এসব আলোচনা সভায় অংশ নেবেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অ্যালামনাইরা৷ এসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন খ্যাতিমান শিল্পীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্ম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পী ও প্রাক্তনিরা৷
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জনপ্রিয় শিল্পীদের কনসার্টের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি হবে৷