1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকা সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ভোটবার্তা দেবেন মোদী

২৫ মার্চ ২০২১

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দুই দিনের বাংলাদেশ সফর। করোনা শুরুর পর এই প্রথম কোনো দেশে যাচ্ছেন মোদী।

দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ছবি: IANS

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার দাবি, দিল্লি যে বাংলাদেশকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, তার প্রমাণ হলো, করোনার পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ঢাকাকেই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মোদী যোগ দেবেন। এটাকে ভারত খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রিংলা।

দুই দিনের সফরে মোদী সাতক্ষীরা যাবেন, টুঙ্গিপাড়া যাবেন, ওড়াকাঁন্দি যাবেন। ওড়াকাঁন্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়ি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে এবার মতুয়াদের পাশে পেতে চাইছে বিজেপি। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে মোদীর ওড়াকাঁন্দি সফরের আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে যাবেন তিনি। এই মন্দির ৫১ পীঠের অন্তর্গত। মোদী এই মন্দির দর্শন করে একটি বার্তা দিতে চাইছেন বলে মনে করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ভোট শুরু হচ্ছে। সেই সময় মতুয়াদের প্রতিষ্ঠাতার বাড়ি ও যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যাওয়া রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''মনে হচ্ছে, মোদী পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বার্তা দিতে চাইছেন। বিজেপি মতুয়াদের ভোট পেতে চায়। কিন্তু মতুয়ারা নাগরিকত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ। তাই বিজেপি এবার ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিএএ হবে। মোদীর ওড়াকাঁন্দি সফর মতুয়াদের সমর্থন পেতেই।'' শুভাশিস মনে করেন, ''পশ্চিমবঙ্গের ভোটে এবার মন্দির ঢুকে গেছে। তাই মোদীর যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়াও একটা বার্তা দিচ্ছে।''

বিদেশসচিব জানিয়েছেন, ২৬ মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। ওই দিনেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাই মোদীর এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে কটা চুক্তি হলো, সেটা বড় কথা নয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিনে ও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশ যাচ্ছেন। এই সফরে কিছু চুক্তি হবে। তবে তার থেকেও বড় কথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষপূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মোদী সেখানে যাবেন।  শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা তো বটেই, ভারতীয় সেনাও প্রাণ দিয়েছেন। এটা একটা অসাধারণ ঘটনা।

শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মোদী বাংলাদেশ যাচ্ছেন। তিনি  জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে থাকবেন। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তিনি ভাষণ দেবেন। এটা ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হওয়ারও পঞ্চাশ বছরপূর্তি। তাই এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ঢাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদলও থাকবে। কিছু চুক্তি ও সমঝোতায় সই হবে। ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের সঙ্গেও মোদী দেখা করবেন। বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা এবং যুব আইকনরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু-বাপু এক্সিবিশনেও থাকবেন। জাতিসংঘ ও ১৮টি দেশে এই প্রদর্শনী যাবে।

তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে বিদেশসচিব বলেছেন, ''তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারত দায়বদ্ধ। আমরা সেই লক্ষে কাজ করে যাব।'' 

জিএইচ/এসজি(পররাষ্ট্রসচিবের সাংবাদিক সম্মেলন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ