1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্দিরে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ, বাড়ছে আতঙ্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ জুন ২০১৬

হিন্দু পুরোহিত এবং সেবক হত্যার পর এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুভেশানন্দ মহারাজকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, এ সব হত্যা এবং হুমকির ঘটনায় আতঙ্কে আছেন বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা৷

মালয়শিয়ায় দেওয়ালী উৎসবের প্রার্থনা
ছবি: Reuters/Olivia Harris

কাজল দেবনাথ

This browser does not support the audio element.

নিরপত্তার কারণে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দু'মাস ধরে বন্ধ আছে সব রকম সামাজিক অনুষ্ঠান৷ পুরোহিত, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা এবং সাধারণ অনুসারীদের কথায়, তাঁরা এখনো ধর্ম পালনে কোনো বাধার মুখে না পড়লেও দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে৷

বুধবার তথকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর নামে পাঠানো চিঠিতে রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষকে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র৷ এখানে ধর্মপ্রচার করতে পারবি না৷ ধর্মপ্রচার করা হলে ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে তোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হবে৷''

এ বিষয়ে স্বামী ধ্রুভেশানন্দ মহারাজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হুমকির পর আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ যাঁরা মিশনে আসেন তাঁদের তল্লাশি করা হয়৷ আমরা আতঙ্কে থাকলেও আমাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ঠিকমত করছি৷ তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷''

কাজল দেবনাথ

This browser does not support the audio element.

তিনি জানান, ‘‘এর আগেও বালিয়াটি রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল৷ সারাদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের ১৪টি শাখা আছে৷ এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে আছে আরো ১০০টি আশ্রম৷ আমরা সবাইকে সাবধানে, সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজ করতে বলেছি৷ যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছি৷''

মিশন অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘সারাবিশ্বেই এখন উগ্রবাদী-সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ছে৷ বাংলাদেশও তার বাইরে নয়৷''

এদিকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য কাজল দেবনাথ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সারাদেশে ২৪ হাজারের মতো মন্দির আছে৷ ঢাকাসহ বড় বড় কিছু মন্দিরে পুলিশের নিরপত্তা আছে৷ তবে সব মন্দিরে পুলিশ দিয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয় সম্ভব নয়৷ এরজন্য প্রয়োজন সামাজিক উদ্যোগ এবং সচেতনতা৷''

স্বামী ধ্রুভেশানন্দ মহারাজ

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্য যে পুরোহিত ও সেবক হত্যা, মন্দিরে হামলাসহ নানা ঘটনায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে আছেন৷ কিন্তু পূজা অর্চনায় কোনো বাধা নেই এবং সমস্যাও হচ্ছে না৷''

ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়মিত পূজা-অর্চনা হলেও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ আছে গত দু'মাস ধরে৷ পুরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ চিঠি দিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছে৷ আমরাও তাই বন্ধ রেখেছি৷''

সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘‘পূজা-অর্চনা ছাড়াও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে, শ্রাদ্ধসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়৷ এখানে কমিউনিটি সেন্টার আছে৷ আপাতত এ সব অনুষ্ঠান বন্ধ আছে৷''

ওদিকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আতঙ্ক আছে৷ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তিনটি মন্দিরের সেবক তপন ভৌমিক ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা এখনো কোনো হুমকি পাইনি৷ আমাদের পূজা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷ তবে চারদিকে যা শুনি তাতে ভয় পাই৷''

তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই নেতা ও পুরোহিত এবং সেবকরা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখনো ধর্মীয় সম্প্রীতি অটুট আছে৷ সব ধর্মের অনুসারীরা মিলে মিশেই আছেন৷ রাষ্ট্র এবং সরকার সহযোগিতা দিচ্ছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ