তখনও বেঁচে ছিল অরিত্রি
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ভিডিওটির শুরু ৩ ডিসেম্বর বেলা ১১ টা ১৮-তে৷ প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তখন দুজন শিক্ষককে বসে থাকতে দেখা যায়৷ কিছুক্ষণ পর নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী তাঁর বাবা-মায়ের সাথে সেই কক্ষে প্রবেশ করে৷
অরিত্রির বাবা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের সামনে চেয়ারে বসলেও অরিত্রি ও তাঁর মা-কে পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷
ভিডিওতে কোনো অডিও না থাকায় কী কথাবার্তা হয়েছে, তা বোঝা যায়নি৷ তবে পুরোটা সময় বেশ রাগত ভঙ্গিতে অধ্যক্ষ এবং তাঁর পাশে বসে থাকা কালো শার্ট পরিহিত একজনকে কথা বলতে দেখা যায়৷
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বারবারই কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, তবে প্রায় সাড়ে চার মিনিট আলোচনার পর এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান৷ তখনই অরিত্রি মায়ের কানে কানে কিছু একটা বলে ঝড়ের বেগে সেই কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়৷
এরপর আবার অধ্যক্ষ চেয়ারে এসে বসেন৷ অরিত্রি'র বাবা-মা-কে কক্ষের মধ্যেই ইতস্তত হাঁটাহাঁটি করতে দেখা যায়৷ বের হয়ে যাওয়ার আগে দিলীপ অধিকারী আবার অধ্যক্ষকে কিছু একটা বলতে ফিরে আসেন৷ কিন্তু অধ্যক্ষকে তখন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়৷
অরিত্রিকে এই শেষবারের মতো জীবিত দেখেছিলেন তাঁর বাবা-মা৷ অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তাঁদের দেখতে হয় নিথর অরিত্রিকে৷
আর জে কিবরিয়া নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে আপলোড করা ভিডিও একদিনেই দেখা হয়েছে দেড় লাখ বার৷
এরই মধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচণার দায়ে দিলীপ অধিকারীর করা এক মামলায় অরিত্রির শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ বরখাস্ত করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিনজন শিক্ষককে৷
এডিকে/এসিবি