তত্ত্বাবধায়ক ও আ. লীগ আমলের ৩৭ মামলা থেকে খালাস খালেদা জিয়া
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তার আইনজীবীদের একজন জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজ বুধবার ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া, তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দেন সুপ্রিম কোর্ট। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেও গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ শাসনামলে সারাদেশে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির বিভিন্ন মামলা থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অন্যান্য মামলাগুলো বিভিন্ন তারিখে নিষ্পত্তি হয়।
আজ বুধবার ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ সাতজনকে খালাস দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম আজ বুধবার এ রায় দেন। ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
ক্যানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক৷ দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।
এপিবি/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার, দৈনিক প্রথম আলো)