1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে চাপান-উতোর

১ জুলাই ২০১১

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব জোরালো হচ্ছে৷ শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য আর পাল্টা বক্তব্যে তারই ছায়া৷

ছবি: AP/DW

ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে বলে মনে করেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন৷ আর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এক সময় তাদের ভুল বুঝতে পারবেন৷ ওদিকে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি বোধ করেছেন বলে মনে করেন এফবিসিসিআই'র সভাপতি এ কে আজাদ৷

বিএনপি নেতারা মনে করেন, নির্বচনের আড়াই বছর বাকি থাকতেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দেয়া সরকারের রাজনৈতিক কৌশল৷ আর তা হতে পারে তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে বা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে৷ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন মনে করেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই এই উদ্যেগ নেয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, জনগণের চাপের মুখে তত্ত্বাবধাক সরকার বা বিকল্প কোন পদ্ধতিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ আর তা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই করতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷

অন্যদিকে আদালতের রায় মেনেই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি এক সময় তাদের ভুল বুঝতে পারবে৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই বিএনপি সংবিধান সংশোধনের সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷ সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান সংশোধনে কম সময় নেয়া হয়েছে বিএনপির এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ এ ক্ষেত্রে যথেস্ট সময় নেয়া হয়েছে৷ খালেদা জিয়া আসলে সংঘাত চান৷ তিনি কোন বিষয়েই ‘না' ছাড়া ‘হ্যাঁ' বলতে পারেন না৷ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপিকে আবারো সংসদে এসে এ বিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানান৷

এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই'র সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি বোধ করেছেন৷ কারণ হিসেবে তিনি বিগত জরুরি অবস্থার সময় ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার কথা উল্লেখ করেন৷ তিনি মনে করেন, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করবে৷ এর ফলে বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হবে সরকার৷ বিরোধী দলও এক সময় তা মেনে নেবে৷


প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ