1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্যচিত্রে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা

১৪ নভেম্বর ২০১৩

অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাবোরিজিনাল’ বা আদিবাসীদের সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র তিন শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত তাদের সমাজ৷ একটি তথ্যচিত্রে এমন অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে৷

Two Aboriginals proudly show off their national colors on the Federation lawn in front of Parliament House Canberra, Australia on Monday February 11, 2008. Prime Minister Kevin Rudd on Wednesday will formally say sorry to Aboriginal people for past administrations' policy of forcibly removing indigenous children from their families. (ddp images/AP Photo/Mark Graham)
ছবি: dapd

পৃথিবীতে অন্য কোনো জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০,০০০ বছরের ইতিহাস নেই, যেমনটা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী ‘অ্যাবোরিজিনাল'-র ক্ষেত্রে প্রজোয্য৷ শ্বেতাঙ্গ জবরদখলকারীরা তাদের দেশে এসে তাদের প্রতি অনেক অন্যায় করেছে৷ কয়েক বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের হয়ে ‘অ্যাবোরিজিনাল'-র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন৷ কিন্তু তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে কি?

সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাবোরিজিনাল' আদিবাসীদের বর্তমান অবস্থার একটা ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে৷ ছবির নাম ‘ইউটোপিয়া'৷ না, কোনো আদর্শ কাল্পনিক স্বর্গরাজ্যের স্বপ্ন নয় – সাংবাদিক জন পিলগার যে তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন, তার প্রেক্ষাপট অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে একই নামের একটি অঞ্চল৷ সেখানকার পরিস্থিতি স্বর্গ নয়, নরকের মতো৷ শুষ্ক এই এলাকায় অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় বসবাস করতে হয় আদিবাসীদের৷ বাড়িঘর অ্যাসবেস্টস দিয়ে তৈরি৷ অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে৷ অপরাধের রেকর্ড মাত্রা৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের যুগে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের ক্ষেত্রে অপরাধের যে হার ছিল, ইউটোপিয়া-য় তার মাত্রা তারও আট গুণ বেশি! পুরুষদের গড় আয়ু মাত্র ৩৭ বছর৷

অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের আঁকা গুহাচিত্রছবি: Höhlenmalerei der australischen Aborigines

শুধু তাই নয়, তথ্যচিত্রে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে শুধু ব্যর্থতা নয়, পরোক্ষ বর্ণবৈষম্যের অভিযোগও আনা হয়েছে৷ তবে যে সব রাজনীতিকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন৷ আদিবাসীদের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে সরকার নাকি যা যা সম্ভব, সবই করেছে৷ অথচ অস্ট্রেলিয়ার সরকার ‘অ্যাবোরিজিনাল' সমাজের উপর যেভাবে হস্তক্ষেপ করে, জাতিসংঘও তার সমালোচনা করে আসছে৷

পিলগার অবশ্য এমন যুক্তি মানতে রাজি নন৷ তিনি ১৯৮০-র দশক থেকে ‘অ্যাবোরিজিনাল'-দের দারিদ্র্যের সমস্যা তুলে ধরে আসছেন৷ শুধু রাজনীতিক নয়, বড় বড় মাইনিং কোম্পানি এবং সাধারণ মানুষকেও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন তিনি৷ তাঁর মতে, এটা একটা লজ্জাজনক জাতীয় ‘সিক্রেট'৷

গত প্রায় চার দশক ধরে জন পিলগার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সমস্যা তুলে ধরে চলেছেন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ