1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্য আড়ালের চেষ্টায় গুজবের সৃষ্টি

DW Mitarbeiterportrait | Tanjir Mohammad Mehedi Chowdhury
তানজীর মেহেদী
১০ জুন ২০২২

৪৬ প্রাণ কেড়ে নিয়ে ৮৭ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে নেভে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন৷ দেশের ইতিহাসে অন্য কোনো আগুন নেভাতে এত দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়নি৷

ছবি: AFP

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা ভাবলেই আসে পুরান ঢাকার নিমতলী কিংবা সাভারের তাজরীন ফ্যাশনসের নাম৷ একযুগ আগে ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক গুদামের আগুন লাগে৷ তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে মারা যান ১২৪ জন৷

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসের কারখানায় ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান৷ আহত হন কয়েক শ মানুষ৷ ৯তলা ভবনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লেগেছিল ১১ ঘণ্টা সময়৷

ওই দুই অগ্নিকাণ্ডের একযুগ বা এক দশক পর এসেও কেন আগুন নেভাতে এত দীর্ঘ সময় চলে গেল-ঘুরে ফিরে এসেছে সেই প্রশ্ন৷ উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে তথ্যের ঘাটতি৷

শনিবার রাতে যখন ডিপো পুড়ছিল, ফায়ার সার্ভিস যখন আগুন নেভানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করছিল, তখন ডিপো কর্তৃপক্ষ ছিল নিশ্চুপ৷ সেখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা কোনো ধরনের রাসায়নিক যে ছিল, সে তথ্য ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি তারা৷

আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় ব্যয়ের পেছনে যে কারণগুলো এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা গেছে, তার মধ্যে আছে: পুরো ডিপো জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের জার, রাসায়নিকের সব কন্টেইনার শনাক্ত করতে না পারা, কন্টেইনার কেটে আগুন নেভানো এবং ডিপোর যন্ত্রপাতির সংকট৷

আয়তনে ২৪ একরের ডিপোটির পুরোটা জুড়ে ছিল কন্টেইনার৷ আগুনও ছড়িয়ে পড়ে সবখানে৷ কিন্তু পাওয়া যায়নি পর্যাপ্ত পানি৷ ফলে ভুগতে হয়েছে ফায়ার ফাইটারদের৷ আশপাশের অন্তত ছয়টি পুকুরের পানি ফুরিয়ে যাওয়ার খবর এসেছে৷

শনিবার রাতের দাউ দাউ আগুন ও বিকট শব্দের বিস্ফোরণ পর দিনভরও থেমে থেমে বিস্ফোরণ হয়েছে৷ ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে নির্বাপণকারীদের৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ জন৷ যাদের মধ্যে ফায়ার ফাইটার ছিলেন ৯ জন

রাসায়নিকের বিষয়ে না জেনে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এত বেশি কর্মী হতাহত হয়েছে বলে দাবি করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আনিসুর রহমান৷ রাসায়নিক থাকলে আগুন নেভাতে প্রয়োজন হয় ফগ সিস্টেমের৷ ফলে তথ্য ঘাটতি থাকলে পরিস্থিতি যে জটিলতর হতে পারে তার আরও একটি উদাহরণ দেখল গোটা দেশ৷

আগুনের ভয়াবহতা আর বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ডিপোর কনটেইনারে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডকে দায়ী করেছে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস৷ এই রাসায়নিক অ্যাভিয়েশন শিল্পে ব্যবহার করা হয়৷ যা উচ্চ চাপে এই বোতলজাত করা হয়৷ রপ্তানির জন্য কনটেইনারে করে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিএম ডিপোতে রাখা ছিল৷

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অফিস জানিয়েছে, প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার পরই তারা জানতে পেরেছে সেখানে রাসায়নিক রাখা ছিল৷ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ রাখার কোনো অনুমতি নেই বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন৷

যদিও ডিপো কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের সব ধরনের অনুমোদন রয়েছে৷ আবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে এসে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অবশ্য ডিপোর কর্তৃপক্ষের পক্ষেই সাফাই গাইলেন৷ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য নয়৷ এখানে অন্য একটি এ ধরনের ইয়ে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, এমন একটি ইয়ে...৷ যেহেতু এটা বিস্ফোরক নয়, তাই তাদের এটা ডিক্লেয়ার করার কিছু নেই৷ ব্যাপারটা এ রকমই৷ আমরা যাওয়ার আগে এক ধরনের চিন্তা করেছিলাম, যাওয়ার পরে আমরা আরেক ধরনের ব্যবস্থা দেখলাম৷’

এখানেই শেষ নয়৷ বিতর্ক তৈরি হয়েছে মৃতের সংখ্যা নিয়েও৷ সোমবার সকালেও মৃতের সংখ্যা জানা যাচ্ছিল ৪৬৷ দুপুর গড়াতেই সেই সংখ্যায় আনা হলো সংশোধন৷ জানানো হলো সংখ্যাটি হবে ৪১৷

মৃতের সংখ্যা নিয়ে জটিলতার ব্যাখ্যায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেছিলেন, ‘একাধিক হাসপাতালে মরদেহ থাকায় গণনায় ভুল হয়েছে৷ একই মরদেহ দুবার কাউন্ট হয়েছে৷ পরে সবগুলো মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন পাওয়া গেছে৷'

বুধবার দিন পর্যন্ত এসে সেই সংখ্যা ৪৬-এ দাঁড়িয়েছে৷ সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে৷ কারণ উদ্ধার অভিযান এখনও শেষ হয়নি৷

বাংলাদেশে যত দুর্ঘটনাই ঘটে মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবারই কোনো না কোনো গড়মিল হয়৷ কেন হয় তার সদুত্তর পাওয়া যায় না৷ ফলে জনমনে তৈরি হয় বিভ্রান্তি৷ অজানা আশঙ্কায় ভোগেন স্বজনেরা৷ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বরাবরই হতাশ করেছেন এসব ক্ষেত্রে৷

বিএম ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকেরা৷ তারা জানিয়েছেন, ভর্তি ২০ অগ্নিদগ্ধ রোগীর ১৯ জনের চোখে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা৷ এর আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চোখে এমন উপসর্গ পাওয়া যায়নি৷

কারণ ব্যাখ্যা করে দায়িত্বরত চিকিৎসক এস এম আইয়ুব হোসেন জানিয়েছেন, ‘মানুষের চোখের পাতা স্বাভাবিকভাবে কিছু পড়ার আগে বন্ধ হয়ে যায়৷ তবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটনায় দগ্ধদের চোখের পাতা বন্ধ হওয়ার আগেই অনেক গরম বাতাস ও ক্ষুদ্র কণা প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হেনেছে৷ যে কারণে কারও কর্নিয়ায়, কারও চোখের পাতায় ক্ষত দেখা দিয়েছে৷'

তবে আশার কথা হচ্ছে চোখে নানা জটিলতা দেখা দিলে দৃষ্টিহীন হওয়ার মতো শঙ্কায় কেউ নেই৷

রাসায়নিকের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা ছাড়াই উদ্ধারকর্মীরা যখন প্রাণপণ লড়াই করছিলেন ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণ করার, প্রাণহানি ঠেকানোর তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে গুজব৷

‘বিশেষ ঘোষণা: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর…’ শিরোনামে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ল ফেসবুকে৷ যা ভাইরাল হতে সময় লাগল না৷ সেই পোস্টে বলা হলো, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজনের টাকার সঙ্গে ফান্ড থেকে আরও টাকা যোগ করে ফায়ার সার্ভিসের জন্য আরও চারটি ফায়ার ফাইটিং হেলিকপ্টার কেনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

অথচ এই পোস্টের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি৷ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন৷ এই উদ্বোধনের সঙ্গে এই ঘটনাটা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ উদ্বোধনের যে আয়োজন এতে যে অর্থটা খরচ হবে সেটা ন্যূনতম৷

‘এই অর্থ দিয়ে আগুন মোকাবিলায় হেলিকপ্টার কেনা হবে- গুজব ছড়ানো হয়েছে৷ মিলিয়ন ডলার এখানে ব্যয়, সেটার সঙ্গে এটা খুবই যৎসামান্য৷ এটা পপুলার একটি গুজব৷ এই যে মিলিয়ে দেয়া হলো, পাশাপাশি নাশকতার ধারণা করা হচ্ছে৷ এটাতে খুবই যোগসূত্র পাওয়া যায়৷’

এটির রেশ না কাটতেই আবার সামনে আসে নতুন আরেকটি গুজব৷ গুজবের হাত ধরে ফেরি হলো এসিড বৃষ্টির খবর৷

ফেসবুকে দেয়া পোস্টে বলা হয় (বাক্য ও বানান অপরিবর্তিত), ‘ব্রেকিং... সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে৷৷ আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে কোন বৃষ্টি আসলে কেউ এটা তে ভিজবেন না৷ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ভয়াবহ আগুনে যে, রাসায়নিক কেমিক্যাল গুলো ঝলসে গেছে৷ তার ফলে আকাশের মেঘ গুলোতে HYDROGEN PER OXIDE GAS টা মিশে গিয়েছে৷ সকলকে সতর্ক বার্তাটি প্রদান করুন, নিজে বাঁচুন, অন্য কে ও সাহায্য করুন৷ বিশেষ করে বৃদ্ধদের বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হতে দিবেন না৷ -ডিএমপি পরিচালক’

অথচ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপিতে ‘পরিচালক’ হিসেবে কোনো পদ নেই৷ কারা এমন তথ্য প্রচার করছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয় ডিএমপি থেকে৷

হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মেঘে মিশে যাওয়ার দাবির বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করছেন রসায়নবিদরা৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম গোলজার হোসাইন বলছেন ভিন্ন কথা৷ তিনি জানান, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মূলত ডিকম্পোজ হয়ে অক্সিজেন তৈরি হয়৷ এই এইচটুওটু (H2O2) মূলত হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন৷ এটাকে ভেঙে অক্সিজেন রিলিজ হয় আর পানি তৈরি হয়৷ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডকে যদি কনটেইনারে রাখা হলে উত্তাপে অক্সিজেন রিলিজ হয়ে ব্লাস্ট (বিস্ফোরিত) হয়৷’

বিএম কনটেইনার ডিপোর হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মেঘের সঙ্গে মেশার কোনো সুযোগ আছে নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড সেভাবে থাকবে না৷ ওটা ডিকম্পোজ হয়ে যাবে৷ ডিকম্পোজ হয়ে গেলে অক্সিজেন বাতাসের সঙ্গে চলে যাবে, আর পানিটা নিচে থাকবে৷ এটা মেঘের সঙ্গে মেশার কোনো সুযোগ নেই৷’

তানজীর মেহেদী, সাংবাদিকছবি: Privat

এসব গুজব প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা না গেলে গুজব ঠেকানো যাবে না৷ তাই এসব পরিস্থিতি আরও ধীর স্থির হয়ে এবং তথ্য আড়াল না করে তা প্রকাশ করলে এমন অযাচিত সংকট দেশে তৈরি হবে না৷

আগুনের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠনের খবর পাওয়া গেছে৷ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবারাত তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন৷

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে দ্রুত আর্থিক সহায়তা দিতে এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন৷ শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক এস এম এনামুল হক তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করেছেন৷ বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারাও দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে৷

এর আগেও প্রায় প্রতিটি ঘটনায় করা হয়েছে তদন্ত কমিটি৷ কমিটির রিপোর্ট যেমন অনেক সময় পাওয়া যায় না, তেমনি কমিটির সুপারিশ মেনে চলারও তেমন দায় দেখা যায় না৷

ফলে নিমতলী, তাজরীন, চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের দোষীদের চিহ্নিত এখনও করা যায়নি৷ অনেক ক্ষেত্রে তদন্তের নেই কোনো অগ্রগতি৷ বিচার কাজে রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা৷ ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেয়া যায়নি কোনো আইনি পদক্ষেপ৷ এসব বাস্তব চিত্র দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে আস্থাহীনতা৷

জনমনে ধারণা, প্রতিটি দুর্ঘটনা তৈরি করে লাশের মিছিল৷ আর প্রাণহানির জন্য যারা দায়ি তারা থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ এত্তসব দেখেও মানুষ দিনশেষে আশায় বুক বাঁধে৷ অন্তত বিএম ডিপো যার স্বজন হারিয়েছেন, যারা আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, তাদের আশা গঠিত তদন্ত কমিটিগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে৷ অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে সরকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ