1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদে ভারতীয় গরু

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আশঙ্কা ছিল এবার কুরবানির ঈদে বাংলাদেশে ভারতীয় গরু আসবে না৷ তাই ঈদে গবাদি পশুর বাজার থাকবে চড়া৷ তবে সে আশঙ্কা কেটে গেছে৷ দাম একটু বেশি হলেও, কুরবানির জন্য পশুর সংকট আর নেই৷ কারণ শেষ পর্যন্ত ভারতীয় গরু এসেছে বাংলাদেশে৷

Indien Kühe
ছবি: AP

[No title]

This browser does not support the audio element.

ভারতের শাসক দল বিজেপি গরুকে ‘গোধন' বলে মনে করে এবং দেশের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে গোমাংস নিষিদ্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগও তারা নিয়েছে৷ এই পটভূমিতে গত মার্চ মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে বলেন৷ বলা বাহুল্য, তাঁর এ বক্তব্যের পর, বাংলাদেশে গরু আসা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়৷ এমনকি সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম নাকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়৷ স্বাভাবিকভাবেই সেটা ছিল চিন্তার কারণ৷ কিন্তু কুরবানি (বানানভেদে কোরবানি) ঈদের আগে পরিস্থতি আবারো পাল্টে যায়৷ সীমান্তের বেশ কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও, কিছুটা জায়গায় শিথিল হয় সীমান্ত৷ আর ব্যবসায়ীরাও অবলম্বন করেন নতুন কৌশল, বেছে নেন মূলত কুড়িগ্রামের সীমান্ত৷ ফলে ভারত থেকে গরু আনতে আর তেমন বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের৷

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আতাউর রহমান বিপ্লব ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘গত ১০-১২ দিন আগে থেকেই কুড়িগ্রাম সীমান্ত হয়ে ভারতীয় গরু আসা শুরু করে৷ এবার ভারত থেকে যে গরু এসেছে, তার শতকরা ৭৫ ভাগই এসেছে ঐ সীমান্ত থেকে৷''

তিনি জানান, ‘‘আসামের বন্যার কারণে বিএসএফ-এর ক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ সেখানে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াও আর নেই৷ তাই ভারতীয় গরু ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসিয়ে আনা হয়েছে৷ আর মোবাইল ফোনে পাঠানো কোড নাম্বার মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গরু পেয়েছেন৷বিএসএফ এবং বিজিবি-ও এ বিষয়ে নমনীয় ভাব দেখিয়েছে৷''

অবশ্য লালমনিরহাটের পানবাড়ি, ধবলগুড়ি, আমবাড়ি, বিরামপুর, সমশানগঞ্জ ও হাইতভাঙা এবং চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়েও বাংলাদেশে ভারতীয় গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা৷

লালমনিরহাটের ব্যবসায়ী হাবিল সরদার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সীমান্ত এলাকায় কম দামে গরু কিনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের খবর দেন৷ খবর পেলে আমাদের রাখালরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যায়৷ সেখান থেকে গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে স্থানীয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হলে, গরুগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে নাম মাত্র মূল্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা বিক্রি করে দেন৷ এরপর ব্যবসায়ীরা কাস্টমসের কাছ থেকে একটি ক্রয় রশিদ পান, যেখানে নম্বর দেওয়া থাকে৷ এতে বাংলাদেশে গরুটি বৈধ হয়ে যায়৷''

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সব সীমান্ত দিয়ে এবার তিন লাখেরও বেশি ভারতীয় গরু এসেছে বাংলাদেশ৷

জবাই করতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবার ঢাকায় পশু কুরবানির জন্য ৫৯৫টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে৷ এর মধ্যে দক্ষিণে ৩২৪ এবং উত্তরে ২৭১টি ‘স্পট' নির্দিষ্ট করা হয়েছে বল খবর৷ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘স্পটগুলোতে প্রয়োজনীয় পানি ও বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এক লাখ গারবেজ ব্যাগ বা ময়লা ফেলার ব্যাগ কাউন্সিলরদের সহায়তায় বিতরণও করা হচ্ছে৷''

শুধু তাই নয়, তাদের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ঈদের দিন কাজ করবে বলেও জানান ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ