1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউরো সাইন্স

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

গোলাগুলির বদলে তরঙ্গ রশ্মির প্রয়োগ এবং সৈন্যদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে ভবিষ্যতে নিউরো সাইন্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

ছবি: Fotolia/Andrea Danti

আগামী দিনে যুদ্ধ বা সংঘর্ষের চরিত্র কতটা বদলে যেতে পারে, তার একটা পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ নিউরো সাইন্স, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, মনস্তত্ত্ব ও এথিকস বা নৈতিকতা বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা এবিষয়ে একটি রিপোর্ট লিখেছেন, যা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও দ্য রয়েল সোসাইটি৷ মঙ্গলবার লন্ডনে এক আলোচনাসভায় তাঁরা ভবিষ্যতের অস্ত্রভাণ্ডারের একটা রূপরেখা তুলে ধরলেন৷ গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের প্রয়োজন হবে না – তার বদলে ব্যবহার করা হতে পারে এমন শক্তিশালী তরঙ্গ, যা শরীরে মারাত্মক ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে৷ সেইসঙ্গে সৈন্যদের মস্তিষ্কে ইলেকট্রনিক তরঙ্গ পাঠিয়ে তাদের ক্ষমতাও বাড়ানো যেতে পারে, যাতে তারা যুদ্ধের সময় অসামান্য দক্ষতা দেখাতে পারে৷ কল্পবিজ্ঞান নয়, নিউরো সাইন্স'এর অগ্রগতির ফলে এমন প্রক্রিয়া আর অবাস্তব নয়৷

ভবিষ্যতে আর এরকম গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের প্রয়োজন হবে না – তার বদলে ব্যবহার করা হতে পারে এমন শক্তিশালী তরঙ্গ, যা শরীরে মারাত্মক ব্যথার সৃষ্টি করতে পারেছবি: picture alliance / dpa

গবেষকরা মস্তিষ্ক ও তার কাজ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত যা জানতে পেরেছেন, সেই জ্ঞান সামরিক ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ অর্থাৎ যেসব গবেষক চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নতির লক্ষ্যে মস্তিষ্কের রহস্য উন্মোচন করে চলেছেন, তাদের এবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যে তাদের গবেষণার ফলাফল যুদ্ধ চালানোর কাজেও প্রয়োগ করা হতে পারে৷ এই মুহূর্তে পার্কিনসন্স, চরম অবসাদ, মৃগী রোগ, আসক্তির মতো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিউরো সাইন্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে৷ আলোচনাসভার সভাপতি, লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রড ফ্লাওয়ার আরও বলেন, মস্তিষ্ক ও মানুষের আচরণ সম্পর্কে বেড়ে চলা জ্ঞান এবং সেইসঙ্গে মানানসই ওষুধ প্রস্তুত করার ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে শুধু তার উন্নতির পথ নয়, মানুষের ক্ষমতা কমানোর পথও খুলে যাচ্ছে৷ নতুন অস্ত্র প্রস্তুত করার ক্ষেত্রেও সেই জ্ঞান কাজে লাগানো যেতে পারে৷

বিশেষজ্ঞরা গোটা বিষয়টিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন৷ একদিকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিউরো সাইন্সের প্রয়োগ, অন্যদিকে শত্রুকে বশে আনতে সেই একই প্রযুক্তির ব্যবহার৷ এমনকি ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের ইশারায় ড্রোন বিমান ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা৷ সৈন্য হিসেবে নিয়োগ করার আগে প্রার্থীর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে তার ক্ষমতা ও দুর্বলতাও আগেভাগে যাচাই করা নেওয়া সম্ভব হবে৷ সেইসঙ্গে বিশেষ ওষুধের মাধ্যমে সৈন্যদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে৷ শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে ‘অ্যাক্টিভ ডিনায়েল সিস্টেম' নামের এক অস্ত্র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করলেন বিশেষজ্ঞরা৷ এর আওতায় মিলিমিটার তরঙ্গ রশ্মি দিয়ে শত্রুর ত্বকে মারাত্মক জ্বালানি ভাব সৃষ্টি করা সম্ভব হবে৷ তবে এই সব প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ এর সঙ্গে জড়িত নৈতিক প্রশ্নগুলিরও জবাব খুঁজে বার করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ