1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা অব্যাহত

১১ এপ্রিল ২০২৩

সামরিক মহড়ার শেষেও তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা রণতরি ও যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে বলে তাইপে জানিয়েছে৷ এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন্স বিশাল আকারের সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷

China Militärübungen vor Taiwan
তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা রণতরি ও যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে৷ ৯ এপ্রিলের ছবি৷ ছবি: An Ni/Xinhua/AP/picture alliance

তাইওয়ানকে ঘিরে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ আরো প্রকট হয়ে উঠছে৷তিন দিনের ঘোষিত সামরিক মহড়ার পরেও তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা যুদ্ধবিমান ও রণতরি সরে যায় নি৷ সোমবার রাতে মহড়ার সমাপ্তির ঘোষণা করলেও তাইওয়ান দাবি করছে, যে নয়টি চীনা রণতরি ও ২৬টি যুদ্ধবিমান এখনো সেই অঞ্চলে টহল দিচ্ছে৷ বার বার সামরিক মহড়ার নিন্দা করলেও তাইওয়ান উত্তেজনা আরও না বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে৷ মহড়ার সময়ে ৯১টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আশেপাশে উড়ে গেছে বলে তাইওয়ানের সরকারি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে৷

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফেরার পরেই চীন সামরিক মহড়া শুরু করে৷ সাই লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ চীন আগেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অ্যামেরিকা সফর ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল৷ ফেসবুকের এর পোস্টে সাই লিখেছেন, যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বিশ্বের কাছে তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ফলে তাঁর বিদেশ সফর নতুন কিছু নয়৷ অ্যামেরিকা সফরও ব্যতিক্রম নয়৷ তাইওয়ানের জনগণ এমনটাই প্রত্যাশা করে বলে তিনি মনে করেন৷ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে চীনের এমন মনোভাব মোটেই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিচ্ছে না বলে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন৷

চীনের সর্বশেষ সামরিক মহড়া জাপানেও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে সে দেশের দক্ষিণের দ্বীপগুলি তাইওয়ানের কাছে থাকায় সম্ভাব্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিশাল ঘাঁটি রয়েছে৷ গত বছর আগস্ট মাসে তৎকালীন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের সময় চীন যে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, সে সময়ে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার গণ্ডির মধ্যে পড়ে৷

মার্কিন প্রশাসনও তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের কড়া মনোভাবের প্রেক্ষাপটে হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ মঙ্গলবার সে দেশ ফিলিপাইন্সের সঙ্গে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ প্রায় ১৮,০০০ সৈন্য বাৎসরিক এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে৷ অস্ট্রেলিয়ার ১০০ সৈন্যও তাতে যোগ দিচ্ছে৷ এর আওতায় এই প্রথম দক্ষিণ চীন সাগরেও ‘লাইভ ফায়ার ড্রিল' চালানো হচ্ছে৷ তাইওয়ান থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে ফিলিপাইন্সেল লুজোন দ্বীপেও হেলিকপ্টার দিয়ে মহড়া চালানো হচ্ছে৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট হবার পর ফার্দিনান্দ মার্কোস অ্যামেরিকার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার যে অঙ্গীকার করেছিলেন, তার আওতায় এমন মহড়া বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ গত কয়েক মাসে দুই দেশ আবার যৌথভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে টহলেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ফিলিপাইন্সে অ্যামেরিকার স্থায়ী সামরিক উপস্থিতিও বাড়ানো হচ্ছে৷ চীন এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ