1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ান সংকট

১ আগস্ট ২০২২

মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়ছে৷ চীনের হুমকি ও সামরিক মহড়ার ফলে সংঘাতের আশঙ্কা দানা বাঁধছে৷

মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি
ছবি: Saul Loeb/AFP

ইউক্রেন সংকট সামাল দিতে ইউরোপ, অ্যামেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশ যখন হিমসিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন সংঘাত আরও বড় বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে, এমন আশঙ্কা দানা বাঁধছে৷ এমন সংকটের স্ফুলিঙ্গ হতে পারে মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক চীন নীতি' মেনে ওয়াশিংটন এতকাল তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক দূরত্ব বজায় রেখে এসেছে৷ কিন্তু চীনের বেড়ে চলা আগ্রাসী মনোভাবের মুখে এবার বাইডেন প্রশাসন প্রকাশ্যে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে এত বড় ঝুঁকি নেয় কিনা, আপাতত সে বিষয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

পেলোসি এরই মধ্যে তার এশিয়া সফরের শুরুতে সিঙ্গাপুরে এসে পৌঁছেছেন৷ মার্কিন সংসদ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি৷ এখনো পর্যন্ত পেলোসির সফর তালিকায় শুধু সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাম রয়েছে৷ তার সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর সম্পর্কে চরম হুমকি দিয়েছে বেইজিং৷ চীন তাইওয়ানের কাছে বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ শনিবার চীনের মূল ভূখণ্ড ও তাইওয়ানের মাঝে শক্তি প্রদর্শন করেছে চীনা নৌ-বাহিনী৷ বিমান বাহিনীও রোববার তাইওয়ানের কাছে নজরদারি চালিয়েছে৷ অ্যামেরিকাও গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে ‘ইউএসএস রনান্ড রেগান' নামের রণতরি পাঠিয়েছে৷ তবে ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপকে পূর্ব-পরিকল্পিত হিসেবে বর্ণনা করছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে তাইওয়ানের উপর চীনের সামরিক হামলার আশঙ্কা বাড়ছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর চীন এমন চরম পদক্ষেপ নিতে আরও ‘সাহস' পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন৷ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সতর্ক করে দেওয়ার পর উত্তেজনা আরও বাড়ছে৷ টেলিফোনে শি বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে খেলা' না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ মার্কিন প্রশাসন এই মুহূর্তে নতুন যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ চীন তাইওয়ানের উপর সরাসরি হামলা চালালে ওয়াশিংটন সামরিক হস্তক্ষেপ করবে কিনা, সে বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনেরও কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেই৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন পরিস্থিতি শান্ত করতে শুক্রবার বলেছিলেন, যে তাইওয়ানের প্রশ্নে চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য সত্ত্বেও গত প্রায় চার দশক ধরে অ্যামেরিকা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে৷ ফলে তাইওয়ানের মানুষ উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পেরছেন৷ তবে চীনের বর্তমান হুমকির সামনে ওয়াশিংটন মাথা নত করবে কিনা, তিনি সে বিষয়ে কিছু বলেন নি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ