1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানের পাশে ইইউ

৪ নভেম্বর ২০২১

প্রথমবারে মতো সরকারি সফরে গিয়ে তাইওয়ানের সরকারকে অভয় দিলেন ইউরোপের পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল৷ দেশটির পাশে থাকার পাশাপাশি ইইউ-তাইওয়ান সম্পর্ক আরো জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তারা৷

Taiwan Besuch von EU-Abgeordneten
ছবি: CNA/AFP

ভ্যাটিকান সিটি ছাড়া বিশ্বে আর কোন দেশের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাইওয়ানের৷ চীনের চাপে অনেক দেশই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে অনাগ্রহী৷ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে আসা বেইজিং দেশটির উপর ক্রমশ সামরিক চাপ বৃদ্ধি করে আসছে৷ বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বক্তব্যের মাধ্যমে এই বিষয়ে বরাবরই তাইওয়ানের পাশে থেকেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ দেশটিতে সফরে গিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলও এবার তাদেরকে অভয় দিল৷

‘‘আমরা এখানে খুবই সাধারণ ও সুস্পষ্ট একটি বার্তা নিয়ে এসেছি: আপনারা একা নন৷ ইউরোপ আপনাদের সঙ্গে আছে,'' তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এর সঙ্গে বৈঠকে এভাবেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসী সদস্য রাফায়েল গ্লুকসমান৷ এই সফরকে তিনি তাদের সম্পর্কের ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেন৷ তিনি বলেন, এর পরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য স্পষ্ট কিছু এজেন্ডা নিয়ে কাজ করবেন তারা, যার উপর ভিত্তি করে ইইউ-তাইওয়ানের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠবে৷ অন্যদিকে সবক্ষেত্রেই তাইওয়ান ও ইইউ এর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন সাই৷

তিন দিনের এই সফরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা ভুয়া তথ্য ও সাইবার হামলা নিয়েও কথা বলবেন৷ তাইওয়ানে প্রভাব বিস্তার করতে চীন ভুয়া তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে দেশটির সরকার৷ এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷

ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের এই সফরের আগে অক্টোবরের শেষে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ ইউরোপ সফরে আসেন৷ চীনের চাপের কারণে তাইওয়ানের উর্ধ্বতন কোন মন্ত্রীদের সরকারি সফরে কোন দেশে যাওয়ার ঘটনা বিরল৷ জোসেফের ইউরোপ সফর নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেইজিং৷

তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে গত মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে৷ উল্লেখ্য ১৯৪৯ সালে মূল চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে৷ তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন দাবি করে আসলেও চীন দ্বীপটিকে তাদের অঞ্চল বলে বিবেচনা করে৷

এফএস/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ