তাইওয়ানের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো অ্যামেরিকা। এর ফলে চীনের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে।
বিজ্ঞাপন
তাইওয়ানের এয়ার-ডিফেন্স মিসাইল ব্যবস্থার উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে অ্যামেরিকা। বাইডেন প্রশাসন তাই তাইওয়ানকে ১০ কোটি ডলারের যন্ত্রপাতি ও পরিষেবা দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এটা দিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের এয়ার-জিফেন্স ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।
ইউএস ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে আর্থিক ও রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও ভারসাম্যের স্বার্থে তাইওয়ানের প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের উন্নতি ঘটানো হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরো কাজটাই করা হবে অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থে। অ্যামেরিকা তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করে গড়ে তুলতে চায়।
তাইওয়ানে ফের চীনের যুদ্ধবিমান
তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে আবার ঢুকে পড়ল চীনা যুদ্ধবিমান। রোববার মোট ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানে যায় বলে অভিযোগ।
ছবি: Reuters/Defense Ministry of Japan
এবার ২৭টি যুদ্ধবিমান
মোট ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ে। এর মধ্যে ছিল ১৮টি যুদ্ধবিমান, পাঁচটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বিমান এবং একটি রিফুয়েলিং বিমান।
ছবি: Aly Song/REUTERS
তাইওয়ানও যুদ্ধবিমান পাঠায়
চীনের যুদ্ধবিমানগুলিকে সাবধান করে দিতে তাইওয়ানের যুদ্ধবিমানও উড়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকেও চূড়ান্ত সতর্ক করে দেয়া হয়।
ছবি: Johnson Lai/AP Photo/picture alliance
মার্কিন প্রতিনিধিদল
তাইওয়ানে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ঘুরে গেছে। আবার একটি প্রতিনিধিদল আসছে। তার আগে চীন আবার যুদ্ধবিমান পাঠালো। উপরের ছবিটি মার্কিন প্রতিনিধি মার্ক টাকানোর সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের।
এর আগে ইইউ প্রতিনিধিদল যখন তাইওয়ান সফরে গিয়েছিল, তখনও চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছিল। উপরের ছবিটি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইইউ-র প্রতিনিধিদলের।
চীন দাবি করে, তাইওয়ান তাদের এলাকা। ফলে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল চীনকে এড়িয়ে তাইওয়ানে গেলে তারা তা পছন্দ করে না। তাই বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আসার আগে ও পরে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে যুদ্ধবিমান পাঠাতে দেখা গেছে চীনকে।
ছবি: Reuters/Defense Ministry of Japan
অ্যামেরিকা-চীন বিরোধ
ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলেই চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয়। তাইওয়ান নিয়েও দুই দেশের মতবিরোধ আছে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও তার বিশেষ উন্নতি হয়নি। একবার দুই দেশের বৈঠক হয়েছে। বাইডেন ও শি-র মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে, কিন্তু বরফ গলেনি। উপরের ছবিটি বাইডেনের আমলে দুই দেশের মুখোমুখি বৈঠকের।
ছবি: Frederic J. BROWN/POOL/AFP/Getty Images
অ্যামেরিকার বক্তব্য
অ্যামেরিকা সম্প্রতি জানিয়েছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীন যেন কোনো অভিযান না চালায়। তাহলে অ্যামেরিকাও চুপ করে বসে থাকবে না। কারণ, তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ব্যাপারে তারা দায়বদ্ধ। উপরের ছবিতে এফ১৬ভি যুদ্ধবিমান পরিদর্শন করছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।
ছবি: Johnson Lai/AP Photo/picture alliance
চীন যা বলেছে
চীনের এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের নৌ ও বিমান বাহিনী তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো মহড়া হবে। কারণ, কোনো বহিঃশত্রু এই অঞ্চলে আচমকা হামলা করলে চীনা সেনা যাতে তার প্রতিরোধ করতে পারে, সেজন্যই এই মহড়া হচ্ছে।
ছবি: Getty Images/C. Court
8 ছবি1 | 8
চীনকে চাপে রাখতে
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যেই চুক্তি কার্যকর হবে। তাদের দাবি, চীন সমানে উসকানিমূলক কাজ করছে এবং সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সমঝোতা খুবই জরুরি।
তাইওয়ানের পরিস্থিতি
অ্যামেরিকা এমনিতে 'ওয়ান চায়না' নীতির সমর্থক এবং তারা তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। কিন্তু একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, সেজন্য অ্যামেরিকা দায়বদ্ধ। তাইওয়ানের অভিযোগ, চীনের যুদ্ধবিমান সমানে তাদের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ছে। গত ২৩ জানুয়ারিও চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান তাদের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকেছিল।