1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ ছাড়তে ব্রিটেনের উপর চাপ

২৭ জুন ২০১৬

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক শেষের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করতে ব্রিটেনের উপর চাপ দিচ্ছেন৷ তবে ব্রিটেন বলছে, এক্ষেত্রে তারা তাড়াহুড়ো করবে না৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রসোয়াঁ ওলঁদ
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী মিশেল সাপ্যাঁ সোমবার বলেন, ব্রিটেনের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ইইউ থেকে নিজেদের পৃথক করে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা৷ এর আগে রবিবার ইইউ সংসদের প্রধান মার্টিন শ্যুলজ ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক শেষ করার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান জানান৷ এর ফলে ‘আরও নিরাপত্তাহীন' পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সবাইকে সতর্ক করে দেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ব্রেক্সিটকে ঘিরে ইউরোপের যেসব দেশে ইউরোবিরোধী দলের শক্তিশালী অবস্থান আছে সেসব দেশেও ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার দাবি উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইউরোপীয় নেতারা৷

এদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রসোয়াঁ ওলঁদ যখন সোমবার বার্লিনে বৈঠকে মিলিত হবেন তখনও তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয় হবে ব্রিটেন-ইইউ সম্পর্ক ছিন্নের সময়সীমা৷ ইটালির প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসি ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্কও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷

ব্রিটেনের পত্রিকায় ব্রেক্সিটের খবরছবি: Getty Images/AFP/L. Neal

তবে ইইউ নেতাদের এরকম চাপ সত্ত্বেও ব্রিটেন প্রক্রিয়া শুরু করতে তাড়াহুড়ো করবে না বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন৷ তিনি বলেন, ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে ২০০৭ সালের লিসবন চুক্তির ‘ধারা ৫০' এখনই সক্রিয় (অ্যাকটিভেট) করবে না ব্রিটেন৷ ‘‘ইইউ থেকে বের হওয়ার পর আমাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি যখন আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে তখনই এই ধারা সক্রিয় করার কথা ভাবা হবে'', বলেন অসবর্ন৷ এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনও এখনই ধারা ৫০ সক্রিয় করার বিপক্ষে তাঁর মত দেন৷ এ জন্য তিনি তাঁর পদত্যাগের পর ব্রিটেনের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেন৷ আগামী অক্টোবরের মধ্যে নিজে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ক্যামেরন৷ উল্লেখ্য, ধারা ৫০ সক্রিয় করার দিন থেকে দুই বছরের মধ্যে ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷

এদিকে, ব্রেক্সিট-গণভোট পরবর্তী অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গল ও বুধবার ইইউ-র শীর্ষ সম্মেলন ডাকা হয়েছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সেখানে উপস্থিত থাকবেন৷

স্কটল্যান্ডের অবস্থান

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস স্টার্জন বলেছেন, তাঁর সরকার ইইউতে থাকার সব চেষ্টাই করবে৷ প্রয়োজনে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাও দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এক্ষেত্রে স্কটিশ সাংসদদের তিনি অনুরোধ করবেন বলে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান স্টার্জন৷

এর আগে ব্রেক্সিট গণভোটের ফলাফল প্রকাশের কিছুক্ষণ পর তিনি বলেছিলেন, স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ জনগণ ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ এখন ব্রিটেন যদি ইইউ থেকে চলে যায় তাহলে প্রয়োজনে স্কটল্যান্ডই ব্রিটেন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুনরায় গণভোট আয়োজন করতে পারে৷ এর আগে ২০১৪ সালে একই বিষয় প্রথমবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ