তাদের একচোখ বন্ধ কেন?
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০পুলিশ এবং সরকারের ভাব দেখে কে বলবে দেশে ‘দালাল’ বলে কিছু ছিল বা আছে!
অনেক বড় বড় অপরাধী বিদেশে মহাসুখে দিন কাটাচ্ছে৷ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী থেকে শুরু করে নানা মাপের অপরাধী রয়েছে সেই তালিকায়৷ কয়েকজনকে সরকার শত চেষ্টা করেও দেশে ফেরাতে পারছে না, আবার কারো কারো বেলায় সরকার উদ্যোগী বলেই মনে হচ্ছে না৷ এখানে কারো নাম উল্লেখ করার দরকার নেই৷ অনেক নাম অনেকেরই খুব জানা৷
কিন্তু কী অদ্ভুত, ভিয়েতনাম থেকে ফেরা ৮১ জনকে ধরতে, ধরে দেশে নিয়ে আসতে কাউকে কোনো কষ্টই করতে হয়নি৷ তাদের দাবি এবং সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে লোভনীয় কাজের কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে কেটে পড়া দালালচক্রের শাস্তি দাবি করেছিলেন তারা৷ সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের৷
খুব সরল-সহজ প্রশ্ন, যদি অপরাধীই হবেন তাহলে পুলিশের দৃষ্টি এড়ানোর কোনো চেষ্টা না করে প্রকাশ্যে দূতাবাসের সামনে কেন হাজির হবেন তারা?
তারা কি ভিয়েতনামে সত্যিই অপরাধকর্মে জড়িয়ে জেল খেটেছেন? নাকি দূতাবাসের অসহযোগিতা কিংবা অভিযোগের কারণে তাদের আটক করে দেশে ফেরানো হয়েছে?
প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুব কঠিন নয়৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি৷ দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, একটি বাক্যব্যয় করতেও দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের কাউকে৷
এ কেমন কথা? ভিয়েতনাম থেকে ফেরা ৮১ জন এবং কাতার থেকে ফেরা ২ জনও তো বাংলাদেশের নাগরিক৷ বিদেশে তারা পালিয়ে বেড়াননি, দেশে ফেরার পর কোয়ারান্টিনেও থেকেছেন তারা৷ সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছাড়া সবাইকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিলে কি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, নাকি ‘দালালবান্ধব’ একচোখা নীতি স্পষ্ট হবে সারা বিশ্বের কাছে?