1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধভারত

তান্ত্রিকের কথায় সাত বছরের মেয়েকে খুন, ধর্ষণ

২৭ মার্চ ২০২৩

তান্ত্রিকের কথা মেনে সাত বছরের বাচ্চাকে খুন কলকাতায়। খুন করার আগে ধর্ষণও করা হয়।

ছবি: Satyajit Shaw/DW

রোববার একটি সাত বছরের বাচ্চাকে  ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছে তিলজলার অলোক কুমারের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করে অলোক কুমার জানিয়েছে, তান্ত্রিকের কথায় সন্তান পাওয়ার জন্য সে বাচ্চাটিকে খুন করেছে। অলোক কুমার বিহারের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর এর আগে তিনবার গর্ভপাত হয়েছে বলে আনন্দবাজার জানাচ্ছে।

কী হয়েছিল?

রোববার তিলজলার শ্রীধর রায় রোডের একটি আবাসনের বাসিন্দা মেয়েটি সকাল আটটা নাগাদ  ময়লা ফেলতে  বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় বাড়ির মানুষ উদ্বিগ্ন হন।  তারা খোঁজ করতে শুরু করেন। পুলিশকে জানানো হয়। পরিবার ও স্থানীয় মানুষের অভিয়োগ, পুলিশ অনেক দেরিতে আসে।

উত্তেজিত জনতা পুলিশের ভ্যানে ঢিল মারে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

পুলিশ না আসায় বাসিন্দারাই শিশুর খোঁজ করতে শুরু করেন। পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখে, মেয়েটি ময়লা ফেলে আবাসনের ভিতরে ফিরে আসে। তখন পুলিশ আবাসনের সব বাড়িতে খোঁজ করতে শুরু করে।

অলোক কুমারের বাড়িতে পুলিশ যখন পৌঁছায়, তখন সে রান্না করছিল। রান্নাঘরে একটা বস্তা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা বস্তাটি খুলতে যায়। অলোক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বস্তা খুলে দেখে, মেয়েটির রক্তমাখা দেহ সেখানে আছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ অলোক কুমারকে গ্রেপ্তার করে।

বিক্ষোভ, ভাঙচুর

পুলিশ যখন অলোক কুমারকে ধরেছিল, তখনই জনতা দাবি করতে তাকে, অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যখন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়, তখন তাকে মারার চেষ্টা করে জনতা।

এই ফ্ল্যাট থেকেই বাচ্চার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: Satyajit Shaw/DW

এরপর এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি, পুলিশ ঠিক সময়ে এলে শিশুটিকে বাঁচানো যেত। পুলিশ দেরি করেছে বলেই শিশুটি মারা গেল। উত্তেজিত জনতা পুলিশের ভ্যানে ঢিল ছোড়ে। একটি মোটরসাইকেলেও ঢিল ছোড়া হয়। থানার বন্ধ গেট খুলে জনতা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা দেয়।

রাতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দাঙ্গাবিরোধী পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

কেন খুন?

আনন্দবাজারের রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিহারের এক তান্ত্রিক অলক কুমারকে নরবলি দিতে বলেছিল।  নবরাত্রির সময় এই কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। পুলিশের জেরায় সে জানিয়েছে, তারপর থেকে সে চেষ্টা করতে থাকে। নিজের সন্তান পাওয়ার জন্য সে তান্ত্রিকের কথামতো এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে।

বাচ্চাটিকে মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার মেরে হত্য়া করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তারপর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে.

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার, নিউজ১৮)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ