নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার তাপস মণ্ডল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ার ডায়েরিতে বহু নথি মিলেছে বলে ইডি-র দাবি।
বিজ্ঞাপন
কোটি কোটি টাকার লেনদেনের নথি এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে। সম্প্রতি ইডি তাপস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্র জানিয়েছে। সেখানে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, সৌমেন পাল, এ রায় বর্মণ এবং বীজেশ নামে এক ব্যক্তিকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বীজেশ কে, তা নিয়ে ইডি এখনো সন্দিহান।
এসএসসি আন্দোলনের ৬০০ দিন, রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা
৬০০ দিন ধরে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের চাকরিপ্রার্থীরা। ৬০০ দিনের মাথায় কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?
ছবি: Subrata Goswami/DW
টানা ৬০০ দিন
কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৬০০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের রায় মেনে এখন তারা সকালে এসে বসেন, বিকেলে উঠে যান।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আন্দোলনের শুরু
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, স্কুলে চাকরির নিয়োগ পদ্ধতিতে দুর্নীতি হয়েছে। আদালতের হস্তক্ষেপে সে বিষয়ে একাধিক মামলা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক কর্মকর্তা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আদালতের নির্দেশ
আদালতের নির্দেশে বেশ কিছু ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিছু আন্দোলনকারীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বর্তমান দাবি
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এসএসসি পাশ করা সকলকেই চাকরি দিতে হবে সরকারকে। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সঙ্গে অনেকে
শুধু এসএসসি নয়, ময়দানের অন্য প্রান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন টেট, শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরাও। সকলেরই দাবি, দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সরকারের মনোভাব
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আন্দোলন করলেই চাকরি পাওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ মেনেই চাকরি দেওয়া হবে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আন্দোলনকারীদের পাল্টা
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। সরকার তাদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। এবার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
৬০০ দিনের কনভেনশন
শুক্রবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একটি কনভেশনের আয়োজন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতার বেশ কিছু বিশিষ্ট মানুষও সেই কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আর কতদিন
আন্দোলনকারীরা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে এসে যোগ দিচ্ছেন। বিক্ষোভস্থলে বসেই তারা ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
অসুস্থ আন্দোলনকারী
কঠিন অসুখ নিয়েও দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। আন্দোলন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু বিক্ষোভকারী। কিন্তু আন্দোলন গুটিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
10 ছবি1 | 10
বস্তুত, তাপস মণ্ডলের নিজের ছেলের নাম বীজেশ। একটি স্কুলের শিক্ষক তিনি। ইডি-র ধারণা, নিজের ছেলের সঙ্গেও টাকার লেনদেন করেছেন তাপস। বীজেশ ছাড়াও তার ডায়েরিতে কুন্তলের নাম আছে। যেখানে বলা আছে, 'পে টু কুন্তল'। এই এন্ট্রি যেখানে আছে, তার উপরে লেখা প্রাইমারি। অর্থাৎ, প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সেখানে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বস্তুত, কুন্তলের নামের পাশে টাকার অংক লিখে তা রিসিভও করানো আছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মানিকের সূত্র ধরেই তাপস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইডি সূত্র জানাচ্ছে, তাপসকে জেরা করে বহু তথ্য মিলেছে। কাকে কখন কীভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে, তার বহু তথ্য পাওয়া গেছে। সঙ্গে মিলেছে এই ডায়েরি। যা থেকে তদন্ত আরো অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে কুন্তলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু কুন্তল এখনো পর্যন্ত টাকা লেনদেনের কথআ স্বীকার করেনি বলে জানা গেছে। তাপসের ডায়েরি নিয়ে এরপর কুন্তলকে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাপসের কাছ থেকে যে ডায়েরি মিলেছে, সেখানে সর্বমোট তিন কোটি ২৫ লাখ টাকার হিসেব আছে। এই পুরো টাকা কার কার কাছে কখন কীভাবে গেছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। বস্তুত, তাপসের ছেলে বীজেশকেও এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি-র একটি সূত্র দাবি করেছে।