বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালের নাম থাকার কথা নিশ্চিত করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান৷ অথচ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসন্ন এ আসরে থাকছেন না৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিম ইকবাল বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগেই জানিয়ে দেন তিনি বিশ্বকাপে থাকছেন না৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিজ্ঞ এই ওপেনার জানান, এবারের বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি৷
পরে বিসিবির বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, এই বিশ্বকাপে না পেলেও আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিমকে আশা করছেন তারা৷
তিনি বলেন, ‘‘এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত৷ ও আমাদের প্রথম পছন্দ৷ এই বিশ্বকাপ দলেও ছিল, কিন্তু নিজের ঘোষণার পর এই স্কোয়াডে সে থাকবে না৷ আজ আমাদের যে দল দিয়েছিল, সেখানেও সে ছিল৷ কিন্তু সে যেহেতু প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এখন থাকবে না৷ সামনে আরো বিশ্বকাপ আছে, সে আবার খেলবে আশা করি৷ সিদ্ধান্তটা সহজ নয়, সাহসী সিদ্ধান্ত৷ সবাই বিশ্বকাপ খেলতে চায়৷’’
‘‘সব চিন্তা করে সে যেটা বলেছে, ভালো কথাই বলেছে৷ সে জানে স্কোয়াডে থাকলে সে খেলবেই৷ সে মনে করেছে, এটা হলে অনেকের জন্য ইনজাস্টিস হতে পারে৷’’
চোটের কারণে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফর ও দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না তামিম৷ একই কারণে চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নেই৷ নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে এই সংস্করণে লম্বা সময় অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে তামিম বলেন, ‘‘একটা বড় কারণ, গেম টাইম৷ বেশ কয়েকদিন ধরে খেলছি না এই ফরম্যাটে৷ দ্বিতীয়ত, ইনজুরি৷ যদিও আমার মনে হয় না ইনজুরি অত বড় সমস্যা৷ কারণ, আমি আশা করি যে বিশ্বকাপের আগেই ঠিক হয়ে যাবো৷’’
তামিম ইকবাল তার সিদ্ধান্তের কারণ জানাতে গিয়ে আরো বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার কাছে যে মেইন জিনিসটি ‘ট্রিক' করেছে, আমি যেহেতু সবশেষ ১৫-১৬ টি-টোয়েন্টি খেলিনি এবং আমার জায়গায় যারা খেলছিল, আমার মনে হয় না, এটা কোনোভাবে তাদের প্রতি ফেয়ার হবে যদি আমি হঠাৎ করে এসে ওদের জায়গাটা নিয়ে নেই৷’’
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
ছবিতে বাংলাদেশের জয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে শেষ পর্যন্ত হেসে খেলেই জয় পেলো বাংলাদেশ৷ ৩৩ রানের জয় দিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তুলে নিলো ১০ পয়েন্ট৷ আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ উঠে এলো চার নম্বরে।
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
লিটনের হতাশার দিন
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ৷ কিন্তু শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি কোনো রান না করেই দুশমন্থ চামিরার বলে লিটন দাশ ফিরে যাওয়ায়৷ ডান হাতি ওপেনারের দিনটা একেবারেই ভালো কাটেনি৷ পরে একটা ক্যাচও মিস করেছেন তিনি৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
ছন্দহীন সাকিব
ক্রিজে খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না সাকিব আল হাসান৷ লিটনের বিদায়ের পর বেশ সময় নিয়ে লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি৷ ৩৪ বলে মাত্র ১৫ রান করেছেন তিনি৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
অধিনায়ক তামিমের ফিফটি
দ্রুত উইকেট পতনে এক প্রান্ত আগলে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল৷ শেষ পর্যন্ত ৫২ রান করে বিদায় নেন ধনাঞ্জয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
মিথুনও ব্যর্থ
লিটনের মতো কোনো রান যোগ না করে মোহাম্মদ মিথুনও ফিরে গেলে মাত্র ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
ত্রাতা মুশফিক
তামিমের পর মিথুনও সাজঘরে ফেরায় দলকে রক্ষার দায়িত্ব পড়েছিল মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহর কাঁধে৷ রিভার্স সুইপ কর করতে গিয়ে আউট না হলে ৮৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ৮৪ রানের ইনিংসটাকে হয়ত সেঞ্চুরি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
মাহমুদউল্লাহর মন্থর ফিফটি
মুশফিকের সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করলেও ডেথ ওভারে প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ৷ ৭৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন তিনি৷ শেষ দিকে আফিফ ২২ বলে ২৭ এবং সাইফ উদ্দিন ৯ বলে ১৩ রান করায় ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
মেহেদীর চার উইকেট
২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কাকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যনদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ডানহাতি এই স্পিনার৷ ৩০ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার তিনি৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
সাকিবের হাজার
গোটা ম্যাচে সাকিবের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মাত্র এক উইকেট৷ তবে কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে হাজার উইকেট লিখে নিয়েছেন নিজের নামের পাশে৷ লিটন হাসারাঙ্গার ক্যাচ মিস না করলে অবশ্য বোলিং ফিগারটা আরেকটু ভালো হতে পারতো সাকিবের৷
ছবি: Munir Uz Zaman/Getty Images/AFP
হাসারাঙ্গার ভয় জাগানো ইনিংস
শ্রীলঙ্কার সাত উইকেট পতনের পর শুরু ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ঝড়৷ জয়ের তীরে থাকা বাংলাদেশকে তাই পেয়ে বসেছিল পরাজয়ের ভয়৷ তবে ৬০ বলে ৭৪ রান করা হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে সেই শঙ্কা দূর করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন৷ শ্রীলঙ্কার শেষ দুটো উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি মুস্তাফিজ৷ তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনিও৷