1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তারপরও নৌকা কেন হারে?

১৯ জুন ২০১৯

এবারের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি৷ অংশ নেয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য কোনো শরিক৷ ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও নির্বাচনে অংশ নেয়নি৷ তারপরও বিদ্রোহী আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেপে ধরেছে আওয়ামী লীগকে৷ কেন এই পরিস্থিতি?

Bangladesch Wahlen
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain

যদি মঙ্গলবারে শেষ পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের কথা বলি, তাহলে ২০টি উপজেলার তিনটিতে আগেই নৌকা প্রার্থীরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷ ১৭টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে৷ ফলাফলে দেখা যায়, ৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে আটটিতে৷ আর এই আটটিতে জয়ী হতেও তাদের প্রভাব বিস্তার করতে হয়েছে৷
চলতি বছরের ১০ মার্চে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন হয়৷ মোট পাঁচ ধাপে ৪৬৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়৷ এর মধ্যে ১১০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়নি৷ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷ তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের৷ জানা গেছে, এই উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীর বাইরে নানা উপায়ে প্রার্থী হতে দেয়া হয়নি৷ এই ১১০টি উপজেলা বাদ দিলে, বাকি ৩৫৫টি উপজেলার নির্বাচনের ফলাফলে ১৩৬টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে৷ আর কোনো দলীয় সমর্থন সরাসরি নেই এরকম অন্ততঃ ৬০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী৷ এছাড়া জাতীয় পার্টির তিন এবং জেপির একজন জয়ী হয়েছেন৷ যে ৩৫৫ উপজেলায় ভোট হয়েছে তার ১৫৫টিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ৷ আর বিদ্রোহী এবং অন্যরা জয়ী হয়েছে ২০০ উপজেলায়৷ তাই বলে এত কিছুর পরও এবারের উপজেলা নির্বাচনে নৌকা হেরেছে, এটা বলাই যায়৷

আওয়ামী লীগ হেরেছে তাঁরা এটা মানতে চাইবেন না: ড. বদিউল আলম মজুমদার

This browser does not support the audio element.

সুশাসনের জন্য নাগরিকের(সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন হয়তো আওয়ামী লীগ বলবে, যাঁরা বিদ্রোহী তাঁরাতো আওয়ামী লীগেরই৷ তাই আওয়ামী লীগ হেরেছে তাঁরা এটা মানতে চাইবেন না৷ কিন্তু আমি বলবো, এই ধরনের একটি নির্বাচনেও ভোটাররা ক্ষমতাসীনদের প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেয়নি৷ এটাই প্রত্যাখ্যানের প্রমাণ৷ আর এটা করেছে তারা হতাশা থেকে৷ ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জবাব দিয়েছে৷''

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপেরনির্বাচন হওয়ার পর ফলাফল বিশ্লেষণ করেছে৷আর তাদের বিশ্লেষণে প্রার্থী বাছাইয়ের দুর্বলাতাকেই হারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এর বাইরে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগে কোন্দল, সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত প্রার্থীর প্রতি ঝোঁক এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশকে দায়ী করা হয়েছে৷ বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দলের কারণে কাউকেই নৌকা প্রতীক দেয়নি৷ আবার বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর বিদ্রোহীদের প্রতি আর কড়া মনোভাব পোষণ করেনি দলটি৷

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মঙ্গলবার পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী৷ আর এই উপজেলায় ভোটের ক্ষেত্রে কোনো অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা কাজে লাগেনি৷ ওই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক খান মজনু বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছিলো, সে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে৷ আর যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান৷ তাই যখন সবাই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তখন বিদ্রোহী প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধু আমাদের উপজেলায়ই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগ নয় এরকম অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোননয়ন পেয়েছেন৷''
এবারের উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তবে বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, বাস্তবে এরচেয়ে আরো অনেক কম ভোট পড়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভোট দিতে পারে না৷ তাই ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে৷ উপজেলা নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ