রমজান মাসে তারাবির নামাজ নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ করোনা পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজন হলে আগের নির্দেশনায় পরিবর্তন আনা হতে পারে৷ কিন্তু পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে আগের নির্দেশনাই জারি থাকবে৷
বিজ্ঞাপন
আর মাত্র ১০ দিন পরেই (২৫ অথবা ২৬ এপ্রিল) শুরু হবে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস৷ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ৬ এপ্রিল ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশনা জারি করে সরকার৷ সেই নির্দেশনা এখনো জারি থাকায় তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হওয়ার কথা৷ কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী তা পরিবর্তনও হতে পারে৷
‘‘এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়নি৷ যদি কোন পরিবর্তন করতে হয় সে সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে নেয়া হবে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ৷
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়, সেটা কেমন হবে সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷
‘‘এখানে সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে,'' টেলিফোনে জানান তিনি৷
সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হলে তার ধরন কেমন হতে পারে সে নিয়ে এরই মধ্যে কেউ কেউ প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে৷ এদিকে, ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের সিদ্ধান্তকেই অনুসরণ করা হতে পারে৷
এদিকে, সৌদি আরব করোনা পরিস্থিতির অবসান না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ ঘোষণা করেছে৷ গত শনিবার দেশটির ধর্মমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, তারাবির নামাজ ঘরেই আদায় করতে হবে৷
বাংলাদেশে আড়াই লাখের বেশি মসজিদ রয়েছে৷ স্থানীয় গণমাধ্যমের হিসেবে, এদের বেশিরভাগেই ‘খতম তারাবি' পড়ানো হয়৷ তবে এলাকাভিত্তিক কিছুসংখ্যক মসজিদ রয়েছে যেখানে ‘সুরা তারাবি' পড়ানো হয়৷
মসজিদ এখন যেমন
করোনা প্রতিরোধে মসজিদ, মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনা নিষিদ্ধ করার পর বদলে গেছে বাংলাদেশের চিত্র৷ মসজিদে আজান হয় ঠিকই, কিন্তু নেই মুসল্লি৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
দরজায় তালা
ঢাকার অধিকাংশ মসজিদের দরজায় এখন তালা ঝুলছে৷ করোনা প্রতিরোধে গত সোমবার মসজিদ, মন্দিরসহ উপাসনালয়ে প্রার্থনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার৷ তবে নিয়মিত আজান দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
নোটিশ
অনেক মসজিদের দরজায় সরকারি নির্দেশনাটি টাঙিয়ে রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
কিছু ওজুখানাও বন্ধ
করোনা আতঙ্কে মসজিদের কিছু ওজুখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
পাঁচজনও নেই
সরকারি নির্দেশনায় প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত থাকতে পারবে বলে জানানো হয়৷ তবে মঙ্গলবার রাতে শুক্রাবাদের একটি মসজিদে এশার নামাজের সময় তোলা এই ছবিতে মাত্র দুজনকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
সতর্ক ব্যবস্থা
বুধবার ধানমন্ডির এক মসজিদে জোহরের নামাজের সময় এই ছবিটি তোলা৷ দরজা দিয়ে শুধু ইমাম আর মুয়াজ্জিনকে ঢুকতে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
কাকরাইল মসজিদ
তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ৷ সরকারি নির্দেশনার পর এই মসজিদের দরজাও এখন বন্ধ৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
পুলিশি প্রহরা
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন যেন সম্ভব হয় তাই কাকরাইল মসজিদের গেটে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
তবে আছেন বিদেশিরা
বিদেশ থেকে আসা তাবলিগের প্রায় ৫০০ সদস্য এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে কোয়ারান্টিনে আছেন৷ তাদের বড় একটি অংশ আছেন কাকরাইল মসজিদে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
অন্যরকম শবে বরাত
বৃহস্পতিবার শবে বরাতের রাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বাইরে কোনো মুসল্লিকে দেখা যায়নি৷
তবে আরো দু-একজন মুসল্লিও ছিলেন৷ তারা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করেন৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
জুমার নামাজ
বায়তুল মোকাররমে আগে থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয় যেন জুমার নামাজে ভিড় না হয়৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন
জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জনের নামাজ পড়ার অনুমতি আছে৷ সেই নিয়মও মানা হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
আলাদা নামাজ
মসজিদে ঢোকার মুখে এত জুতা, স্যান্ডেল বলে দিচ্ছে ভেতরে নিয়মের চেয়ে বেশি লোক ঢুকেছে৷ তবে মসজিদে ঢুকে দেখা যায় তাঁরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে আলাদা হয়ে নামাজ পড়ছেন৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
মসজিদের বাইরে নামাজ
কেউ কেউ মসজিদের বাইরে দেয়ালের পাশে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
কান্না
মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে নামাজের সময় কেঁদে ফেলেন এই তরুণ৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
বাসায় নামাজ
সরকারে আহবান মেনে মুসল্লিরা এখন বাসায় একাকি বা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নামাজ আদায় করছেন৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
গত সপ্তাহের চিত্র
এই ছবিটি গত সপ্তাহের৷ জুমার নামাজের সময় মসজিদ ছাড়িয়ে রাস্তায়ও নামাজ আদায় করেছিলেন মুসল্লিরা৷