সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সীমিত পরিসরে শুরু হলেও থাকছে শঙ্কা৷ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ৷ সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলে সংস্কৃতি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে : করোনার কারণে তো সবকিছু বন্ধ ছিল৷ এখন কি সাংস্কৃতিক অঙ্গন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে?
কে এম খালিদ : দেখুন এই মহামারি তো শেষ হয়নি এখনো৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশের স্বাস্থ্য বিভাগও বলছে, দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হতে যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় এখন ফেরা কঠিন৷ তারপরও দেশে যেহেতু সকল কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, তাই আমরাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি৷ তবে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু করা যায়৷
সিনেমা হল খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে?
সিনেমা হলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত তো আমরা নেই না৷ তথ্য মন্ত্রণালয় নেয়৷ তারপরও আমরা যতটুকু জেনেছি তারা খোলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে৷ তবে দিন-তারিখ আমি জানি না৷
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের স্বাভাবিকতা ফেরাতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
দেখুন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে যদি ভ্যাকসিন বের না হয়, তাহলে তো স্বাভাবিক হওয়া খুব কঠিন৷ কারণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানেই জনসমাগম৷ আর জনসমাগম মানেই কোভিডকে আমন্ত্রণ করা৷ ফলে ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করা আসলেই কষ্টসাধ্য৷
সিনেমা হল খুললেও নতুন সিনেমা কি এই সময়ে তৈরি হয়েছে?
কোভিডের মধ্যে কোনো নতুন সিনেমা হয়নি৷ তবে দেখেছি, কিছু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয়েছে৷
‘প্রায় ১২ হাজার শিল্পীকে আর্থিক অনুদান দিয়েছি’
সিনেমা হলে দর্শকদের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?
সবকিছুই স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে৷ এর বাইরে তো সুযোগ নেই৷ আর যেহেতু বন্ধ ঘরে ছবি দেখতে হবে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে হবে এখানে তো আরো কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷
মঞ্চ নাটকগুলো কি আবার শুরু হয়েছে?
হ্যাঁ, মঞ্চ নাটকও শুরু হয়েছে৷
করোনার সময় নাটক-সিনেমা বন্ধ থাকলেও অনেকেই ফান ভিডিও তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন৷ এসব কি সুস্থ্ বিনোদনের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে?
এই সময়টাতে তো সবাই ঘরে ছিলেন৷ আসলে সুস্থ বিনোদন তো সব সময়ই সুস্থ৷ আর যদি সেটা সুস্থ না হয়, তাহলে সেটা তো আমাদের সবার জন্য বেদনাদায়ক৷
এখন নতুন করে ওয়েব সিরিজ আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে৷ এটা নিয়ে সরকারের ভাবনা কী?
আপনি তো জানেন, কিছু ওয়েব সিরিজ নিয়ে ভীষণভাবে আপত্তি উঠেছে৷ এই ধরনের অশ্লীল দৃশ্য সম্বলিত ওয়েব সিরিজগুলোর আমরা সবসময় নিন্দা জানাই৷ শুনেছি কিছু কিছু নির্মাতা তাদের কাজগুলো সরিয়ে নিয়েছে৷
নতুন যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে আপনাদের কোনো নির্দেশনা আছে?
এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ ও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা৷ এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷
‘নিউ নর্মালে’ ফিরছে বিনোদন, খেলাধুলা
করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খেলাধুলা ও বিনোদন জগত একেবারে থমকে গিয়েছিল৷ এখন আবার সবকিছু শুরুর চেষ্টা চলছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে৷
ছবি: Privat
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটক, সিনেমার শুটিং
কোরবানির ঈদ থেকেই বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে টিভি নাটকের শুটিং৷ ঢাকার অদূরে শুটিং স্পট পূবাইলে ২০-এর অধিক শুটিং হাউজের সবকটিই ব্যস্ত সময় পার করছে৷ ব্যস্ত উত্তরার শুটিং হাউজগুলোও৷ আর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই একটু একটু করে জমতে শুরু করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রধান কেন্দ্র এফডিসি৷ ছবিতে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘আশীর্বাদ’ চলচ্চিত্রের শুটিং দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Privat
শর্তসাপেক্ষে সিনেমা হল খুলছে
বাংলাদেশে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ তবে শর্ত হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রি করতে বলা হয়েছে৷ দর্শকদের মাস্ক পরতে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে হল বন্ধ করে দেয়া হতে পারে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাটকের মঞ্চায়ন
আগস্টে ঢাকার বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনের মঞ্চে আয়োজন করা হয় শূন্যনের নাটক ‘লাল জমিন’৷ সেপ্টেম্বর মাসে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দুদিন নিজস্ব মহড়াকক্ষে স্বল্পসংখ্যক দর্শকের জন্য নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল ‘প্রাচ্যনাট’৷
ছবি: Dhaka Theater
‘ড্রাইভ ইন মুভি ফেস্ট’
করোনার কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের চল দেখা গেছে৷ এবার বাংলাদেশেও সেটা আয়োজনের চেষ্টা চলছে৷ চলতি মাসেই এমন একটি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্টেজে গাইতে না পারার আক্ষেপ
করোনার কারণে স্টেজে গান গাইতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন৷ তবে সম্প্রতি তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন৷ কবরীর অনুদানের ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিতে প্রথমবারের মতো সংগীত পরিচালনা করছেন তিনি৷ সম্প্রতি তেজগাঁওয়ের এক স্টুডিওতে নিজের সুর করা গানেই কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমিন৷
ছবি: Privat
জয়ার শর্ত
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুদানের ছবি ‘বিউটি সার্কাস’এর শেষ দৃশ্য ধারণে অংশ নিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান৷ এক্ষেত্রে জয়ার প্রথম শর্তই ছিল শুটিংয়ের সময় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷
ছবি: Privat
করোনার কারণে ছোট টিম
‘বিউটি সার্কাস’এর পরিচালক মাহমুদ দিদার জানান, অন্য সময় শুটিং টিমে প্রায় শতাধিক সদস্য থাকতো, এখন তা বড়জোর ২০-২৫ জনে নেমে এসেছে৷
ছবি: Privat
খুলছে শিল্পকলা একাডেমি
এ মাসেই শিল্পকলা একাডেমি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এমএ খালেদ৷ তিনি বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একাডেমিতে প্রবেশ ও মিলনায়তনগুলোতে বসার ব্যবস্থা করা হবে৷ এ নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে৷ যে নাট্যদলগুলো হল বরাদ্দ নেবে বা আবেদন করবে, তাদের এই নীতিমালা মেনে হল সরবরাহ করা হবে৷
ছবি: Privat
ভিড় বেশি, তাই আলো বন্ধ
১১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬তম ‘ফেস্টিভ্যাল অফ লাইটস’৷ এই সময় বার্লিনের বিভিন্ন ভবন আলোকিত করা হয়েছিল৷ তবে এ বছর আলো দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেড়ে গেলে কিছু সময়ের জন্য আলো নিভিয়ে দেয়া হয়েছিল, যেন ভিড় কমে যায়৷ করোনার কারণে এই নিয়ম৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua News Agency/S. Yuqi
অনলাইন কনসার্ট
সম্প্রতি ইতিহাসের প্রথম কোরিয়ান পপ ব্যান্ড হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড’ সিঙ্গেলসের শীর্ষে উঠেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস-এর প্রথম ইংলিশ সিঙ্গেলস ‘ডায়নামাইট’৷ তবে করোনার কারণে কনসার্ট করতে পারছে না বিটিএস৷ তাই হতাশ সমর্থকদের আনন্দ দিতে অনলাইনে কনসার্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷ সৌলে অনুষ্ঠিত কনসার্টটি ১০ ও ১১ অক্টোবর অনলাইনে লাইভস্ট্রিম করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/Yonhap
অনলাইনে মিউজিয়াম
করোনার কারণে মিউজিয়াম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ার পর অনেক মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ অনলাইনে তাদের সংগ্রহ দেখার ব্যবস্থা করেছিল৷ বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিউজিয়াম খুললেও অনলাইনের সুযোগ এখনো রেখে দিয়েছে অনেকে৷
ছবি: TU Darmstadt/Architectura Virtualis
দর্শকহীন মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
জুলাইয়ে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরেছিল৷ করোনার কারণে খেলা হয়েছে দর্শকশূন্য মাঠে৷ এছাড়া বল চকচকে দেখাতে থুথু মেশানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ এরপর পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াও ইংল্যান্ড সফর করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dennis
আইপিএল-ও ব্যতিক্রম নয়
নিজ দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজন করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড৷ খেলা হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম৷ তবে টিভিতে আইপিএল দেখে রোমাঞ্চিত হচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা৷ উপরের ছবিটি গতবছরের৷
ছবি: IANS
বাংলাদেশের ক্রিকেট
শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের নিয়মের কারণে সে দেশে এখনই সফরে যেতে পারছেন না টাইগাররা৷ অথচ সেই সফর দিয়েই মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন তারা৷ অপেক্ষায় ছিলেন দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে না পারায় এখন ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করতে চাইছে বিসিবি৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Ali
বিশ্ব ফুটবলেও দর্শকহীন ম্যাচ
করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া ইউরোপীয় ফুটবল ফিরেছিল মে মাসে৷ পথ দেখিয়েছিল জার্মানির বুন্ডেসলিগা৷ এরপর একে একে ইংল্যান্ড, ইটালি ও স্পেনের লিগও শুরু হয়৷ অবশ্যই দর্শকহীন স্টেডিয়ামে৷ স্থগিত থাকা গত মৌসুমের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগও শেষ হয়েছে৷ এখন চলছে ২০২০-২১ মৌসুমের খেলা৷ ছবিতে এক সমর্থককে টিভিতে ২১ জুন অনুষ্ঠিত লিভারপুল-এভারটনের ম্যাচটি দেখতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/M. Childs
আছে ব্যতিক্রমও
২৪ সেপ্টেম্বর হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালের সময় স্টেডিয়ামে ১৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন৷ ইউরোপা লিগের সেরা সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারায় চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা বায়ার্ন মিউনিখ৷ করোনার পর এই প্রথম দর্শকদের সামনে ফুটবল খেলেছে বায়ার্ন ও সেভিয়া৷ এছাড়া বুন্ডেসলিগার কিছু ম্যাচে অল্প সংখ্যক দর্শককে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: Bernadett Szabo/AP Images/picture-alliance
বাংলাদেশের ফুটবল
ফুটবলপাড়া এখন ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে৷ করোনায় গিলে খেয়েছে পেশাদার ফুটবল লিগের একটি মৌসুম৷ বাতিল হয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচও৷ আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেডারেশন কাপ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল চালু হবার কথা৷
ছবি: Mir Farid
টেনিস
সম্প্রতি হয়ে গেল ইউএস ওপেন৷ তবে তাতে অংশ নেননি পুরুষ ও মহিলা এককের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল ও বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু৷ করোনা মহামারির স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে প্রথমজন এবং পরেরজন সে কারণেই যথাযথ প্রস্তুতি না নিতে পারায় অংশ নেননি৷ ডমিনিক থিয়েম ও নাওমি ওসাকা হয়েছেন ইউএস ওপেনের নতুন রাজা-রানি৷
ছবি: Getty Images/M. Stockman
18 ছবি1 | 18
এখন অনেক জনপ্রিয় অভিনেতাকেও ছোট্ট একটি ক্লিপ তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছাড়তে দেখা যাচ্ছে...
(করোনার সময়ে) এর বাইরে তো কোনো সুযোগ ছিল না৷ আমরাও তো ঘরে বসে জুমে মিটিং করেছি৷ ওয়েবিনার করেছি৷ ছোট ছোট সভা করেছি৷ এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করেছি৷ সবকিছুই তো আমরাও ভার্চুয়ালি করেছি৷ এর বাইরে তো কিছু করার সুযোগ ছিল না৷
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থকেই মূল উপার্জন মনে করছেন তারা৷ এতে কি মূলধারার বিনোদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে?
ইতিমধ্যেই তো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেছে৷ হয়তো সময় লাগবে৷ কিন্তু কোভিড-উত্তর সবকিছু আমরা আগের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবো বলেই আশা করছি৷
করোনার মধ্যে অনেক শিল্পী অসহায় অবস্থায় পড়েছেন৷ সরকার কি তাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতা করেছে?
আমরা সারা বাংলাদেশের প্রায় ১২ হাজার শিল্পীকে আর্থিক অনুদান দিয়েছি৷ পরিমাণ হয়তো খুব বেশি নয়, কিন্তু অর্থের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটাকে তাদের এক ধরনের স্বীকৃতি বলেই আমি মনে করি৷
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কী ধরনের সুবিধা দিয়েছেন?
সংগঠনগুলো যেন কার্যক্রম চালাতে পারে, সে কারণে আমরা তারা যে হলে কাজ করে, সেই হলগুলোর ভাড়া অর্ধেক তো করবোই৷ তারা চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রি-ও করে দেবো, যাতে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন৷
অনেক সিনেমা হলেও আমরা দেখেছি, করোনার সময় কর্মচারীদের বেতন হয়নি৷ তাদের জন্য কি আপনারা কিছু করেছেন?
এটা আসলে তথ্য মন্ত্রণালয়ই বলতে পারবে, তারা কোনো সহযোগিতা করেছে কিনা৷
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যে প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা আছে, সেখানে কতটুকু সহযোগিতা করেছেন?
আমাদের যে শিল্পকলা একাডেমি আছে, সেখানে আমরা কাজ করা শুরু করবো৷ পাশাপাশি প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর আমরা খুলে দিয়েছি, জাদুঘর খুলে দিয়েছি, যদিও সীমিত আকারে খুলেছি৷ এগুলোতে দর্শনার্থী যেতে পারবেন, কিন্তু সীমিত আকারে৷
মানসম্মত নাটক বা সিনেমা তৈরিতে সরকারি কোনো পদক্ষেপ আছে?
আপনারা তো জানেন, সেই কাজটা আমরা সবসময়ই করি৷ সিনেমার কথা আমি বলতে পারবো না৷ এটা তথ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে৷ তারপরও আমি জানি, তারা সিনেমায় অনেক ভর্তুকি দিয়ে থাকে৷ অনেক সময় পুরো সিনেমার খরচও সরকার অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকে৷
ভালো নাটক তৈরিতে আপনাদের ভূমিকা কী?
টিভি নাটক আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত না৷ মঞ্চ নাটকের কথা আমি বলতে পারি৷ আমি তাদের ভর্তুকি দিচ্ছি এবং আরো ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷
মঞ্চ নাটকের শিল্পীরা কি আপনাদের কাছে কোনো দাবি জানিয়েছেন?
না, তেমন কোনো দাবি করেনি৷ তাদের দাবি একটাই, ‘‘আমরা শুরু করতে চাই৷’’ সে কারণেই তো আমরা সীমিত আকারে খুলে দিয়েছি সবকিছু৷
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা কিভাবে মনিটরিং করছেন?
এটা যখন অনুমতি দেওয়া হয় তখন আমরা বলে দেই৷ এবং যেখানে অনুষ্ঠান হয় সেখানে কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়৷ যেখানে হল আছে, সেখানেই তো আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে৷ তারা কিন্তু এগুলো দেখেন৷ দর্শকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসছেন৷ এমনকি যেসব শিল্পী অংশ নিচ্ছেন তারাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন৷