1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তারেক মাসুদ: চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে আত্মপরিচয়ের সন্ধান

১৫ আগস্ট ২০১১

চলে গেলেন বাংলাদেশের বিকল্প ধারা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আলোচিত নাম তারেক মাসুদ৷ মাত্র দেড় বছর বয়সী নিষাদ মাসুদ আর কখনোই দেখবে না তার বাবাকে৷ সুদূর অ্যামেরিকা ছেড়ে বাংলাদেশে পড়ে থাকা ক্যাথরিনও আর পাশে পাবে না প্রিয় মানুষটিকে৷

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের অকালমৃত্যুতে গোটা জাতি মর্মাহতছবি: DW/Samir Kumar Dey

প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ৷ কিন্তু সেই প্রাণ যখন তারেক মাসুদের মতো কারো হয়, তখন তার আঘাত সহ্য করা যেন অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়৷ ঘাতক বাস কেবল এই অত্যন্ত প্রতিভাবান এই চলচ্চিত্র পরিচালককেই কেড়ে নেয়নি, থমকে দিয়েছে যেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একটি অগ্রযাত্রাকেও৷

‘মাটির ময়না' দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য খ্যাতি কুড়িয়ে এনেছিলেন তারেক মাসুদ৷ এর পাশাপাশি ‘আদম সুরত', ‘মুক্তির গান', ‘মুক্তির কথা', ‘অন্তর্যাত্রা', ‘রানওয়ে' সহ আরও অনেক ছবি বের হয়ে এসেছে এই মানুষটির হাত ধরে৷ এই সব ছবিতেই ছিল যেন আত্মপরিচয় খোঁজার একটি তাড়না৷ ছিল নিজেকে একটি সত্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা৷

সনাতন অন্যান্য চলচ্চিত্র পরিচালকের চেয়ে ভিন্নতর ছিলেন তারেক মাসুদ৷ চলচ্চিত্র যে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি আধুনিক শিল্প, সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলেন তিনি৷ তাই উৎকর্ষ প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে সবসময় খাপ খাওয়াতেন, সর্বশেষ তথ্যে নিজেকে রাখতেন সমৃদ্ধ৷ কিন্তু এই মানুষটাকে আরও কয়েকটাদিন বেশি বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না আমরা৷ আমাদের অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতাই আজ বহুদূরে নিয়ে গেল তারেক মাসুদের মতো সম্ভাবনাকে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ