1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তার জন্য শোকগাঁথা

২৫ নভেম্বর ২০২০

আমাদের ফুটবল খেলা দেখার মজাটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি৷ যতক্ষণ তিনি আছেন দমবন্ধ করে খেলা দেখি, তিনি নাই তো তার স্মৃতিচারণ!

ডিয়েগো ম্যারাডোনা
ছবি: Martin Rickett/PA/picture alliance

তার আগের কথা জানি না, পরে যত খেলোয়াড়ই এসেছেন আমার মনে হয়েছে ভাল অনেকই ভাল কিন্তু তার মত কি ভাল?

তিনি যে ভাল খেলেন তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হত না, চোখ থাকলেই বোঝা যেত তা৷ ফুটবল নাকি দলের খেলা, দলেরই তো!

১৯৮২ তেই সবাই বলাবলি করছিল, এই ছোটোখাট ছেলেটা কিন্তু বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়৷ সবার বলাবলি উহু আহা সাবধান সতর্কতার মধ্য দিয়েই ১৯৮৬ সালে তিনি কাপ জিতে নিলেন, ১৯৯০ তে রানার আপ৷ যে দলের হয়ে তা করলেন তার লাইন আপ আর অন্য দলগুলোর শক্তি সামর্থ্য মনে করুন, বুঝবেন ওয়ান ম্যান শো কাকে বলে৷

যতদিন তাকে দেখেছি মাঠে, ততদিনই নিষ্ঠুর মার খেতে দেখেছি৷ এমনকি সবাই মিলে মারত তাকে৷ তিনি অবিচল থাকতেন৷ আমার শিক্ষক ইংরেজ ফুটবল লেখক রিচার্ড এডামসন বলতেন কোকেন, বুঝেছ হে কোকেন৷ আমি বলতাম হুম কোকেনই হবে৷ প্রচলিত কোনো কিছু দিয়ে তো তাকে ব্যাখ্যা করা মুশকিল৷

খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/A. Islam

হেন অনাচার নাই করেননি তিনি৷ ভাল ছেলে তো নন! অহংকারী, অপচয়কারী, খামখেয়ালি৷

আক্ষরিক অর্থেই কুড়েঘর থেকে উঠে এসে সম্রাট হয়েছেন, খেলা ছেড়েছেন ২৫ বছরের বেশি, এখনও তিনি তারকাদের তারকা৷ একজন আলাদা৷

আমার স্পেনিশ বন্ধুরা বলে আমরা তার নামটিও নাকি বলতে পারি না, তার দেশের নামটিও নাকি আমরা ভুল উচ্চারণ করি৷ তিনি নাকি মারাদোনা, তার দেশ আর্হেন্তিনা৷ আমি শুধু বলি ম্যারাডোনা আমাদের কাছে ফুটবলের আরেক নাম আর তার কারণে আর্জেন্টিনা ভালোবাসার!

খালেদ মুহিউদ্দীন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত।
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ