পাকিস্তানে আসলে কে কার সঙ্গে যুদ্ধ করছে? কেন দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিচ্ছে? পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনী ঐ অঞ্চলে কী প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখেছে ডয়চে ভেলে৷
ছবি: Reuters/F. Aziz
বিজ্ঞাপন
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে লন্ডনে জড়ো হয়েছিলেন পাকিস্তানি সুশীল সমাজের ৬০ জন প্রতিনিধি৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে এসেছিলেন তাঁরা৷ আলোচনা করলেন পাকিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে৷ দক্ষিণ এশীয় সন্ত্রাসবাদবিরোধী এবং মানবাধিকার ফোরামের উদ্যোগে ‘লন্ডন ডিক্লেয়ারেশন ফর পাকিস্তানি প্লুরালিজম' শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে পাকিস্তান কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কী ভূমিকা রয়েছে – এ সব নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
পাকিস্তানের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাক্কানি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বের সব চাপ থেকে মুক্ত হতে চাইলে পাকিস্তানের নিজেকে বদলাতে হবে৷ পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে আসছে৷ কেননা পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে, অন্যদিকে, স্থানীয় ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে৷
ইসলামি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থতা
অক্টোবরে কোয়েটার একটি পুলিশ অ্যাকাডেমিতে হামলায় ৬০ জন প্রাণ হারান৷ এতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়৷ প্রশ্ন উঠে, পাকিস্তান কেন জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে৷ তারা কি দেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এই সংঘাতে ভারতের ভূমিকা কী? নিরাপত্তা নিয়ে আদৌ কি সরকারের কোন মাথা ব্যথা আছে?
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Taraqai
জঙ্গিরা কী চায়?
আশির দশকে আফগান যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় মুজাহিদিনদের সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তান৷ কিন্তু নাইন ইলেভেনের পর প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলো৷ তখন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক পারভেজ মোশাররফ আফগানিস্তানে জঙ্গি দমন শুরু করলেন৷ তারপরও তালিবানসহ বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানের কিছু এলাকা দখল করে এবং সামরিক-বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালাতে থাকে৷ তাদের সামাল দেয়া সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে৷
উদাহরণস্বরূপ তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি আফগান তালিবানদের সহযোগিতায় স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল গঠন করে৷ এই দলটিরও দাবি পাকিস্তানে শরিয়া আইন চালু করা৷
টিটিপি বরাবরই পশ্চিমা সংস্কৃতির বিপক্ষে৷ পাকিস্তানের অনেক মানুষের বিশ্বাস, পশ্চিমাবিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অর্থনীতি এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে টিটিপি৷
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
যদিও পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীদের সমর্থন করে, তারপরও যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ কখনো এই রাষ্ট্রটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইচ্ছা পোষণ করেনি৷ ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলস বরাবরই সামরিক এবং বেসামরিক দলগুলোর মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়ে আসছে৷ এই সম্মেলনে উপস্থিত পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা বলছিলেন, পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন, কারণ এই দেশটির কাছে যে পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তা যদি জঙ্গিদের হাতে চলে যায় তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ৷ পাকিস্তানের সরকার এবং সেনাবাহিনী অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে যে, পরমাণু অস্ত্রগুলো তাদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে আছে৷
লন্ডনভিত্তিক পাকিস্তানি সাংবাদিক ফারুক সুলেহরিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘কখনোই নিরাপদ নয়৷ সেনাবাহিনীর তালেবানের সমর্থন করাটা মোটেই অগ্রাহ্য করার উপায় নেই৷ এমনও তো হতে পারে দুই দলের মধ্যে সমঝোতার কারণে এই অস্ত্রগুলো জঙ্গিদের হাতে চলে যেতে পারে৷''
পাকিস্তান কি আসলেই ব্যর্থ রাষ্ট্র?
পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের নাম ঘুচাতে হলে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ছাড়া ভিন্ন পথ নেই বলে জানালেন সম্মেলনের প্রতিনিধিরা৷ জঙ্গি জঙ্গিই, এদের ভালো বা মন্দ বলে আলাদা করার কিছু নেই বলে জানান তারা৷ তাই ভালো জঙ্গিদের সমর্থন করে দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনার কোনো মানে হয় না৷ কেননা এই পন্থা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে৷ আর একের পর এক হামলার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে৷
বন্ধু, আপনার কী মনে হয়? পাকিস্তান কি আসলেই একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র'? লিখুন নীচের ঘরে৷
কার, কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে বর্তমানে ১৩,৪০০টি আণবিক বোমা আছে৷ তবে এ সব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/KCNA
রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আণবিক বোমা রয়েছে৷ দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা ৬,৩৭৫টি৷ ১৯৪৯ সালে রাশিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kolesnikova
দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা যুদ্ধেও এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে৷ দেশটির কাছে এখন ৫,৮০০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Jamali
চীনও পিছিয়ে নেই
৩২০টি পারমাণবিক বোমা আছে চীনের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ যেমন ২০১৯ সালেই তাদের কাছে ২৯০ টি বোমা ছিল৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে সেগুলো ছোঁড়া সম্ভব৷
ছবি: Getty Images
সাবমেরিনে পারমাণবিক বোমা
ফ্রান্সের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে ২৯০টি৷ এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে৷ দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়৷
ছবি: AP
যুক্তরাজ্যেরও আছে পারমাণবিক বোমা
২১৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kaminski
দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে পাকিস্তান
ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ দেশটির আছে ১৬০টি আণবিক বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি৷ অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোন এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP
থেমে নেই ভারত
পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারতও৷ দেশটি প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে৷ সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে এখন ১৫০টি বোমা রয়েছে৷ ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না, আর যেসব দেশের পারমাণবিক বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না কোনোদিন৷
ছবি: Reuters
ইসরায়েল সম্পর্কে তথ্য কম
ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না৷ যদিও দেশটির নব্বইটি পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে উল্লেখ করেছে সিপ্রি৷
ছবি: Reuters/B. Ratner
উত্তর কোরিয়া সবার নীচে
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়াও৷ এখন দেশটির কাছে থাকা বোমার সংখ্যা আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০টি৷