কাবুল গিয়ে তালেবান নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান উইলিয়াম বার্নস।
বিজ্ঞাপন
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বৈঠক হয়েছে গত সোমবার। বার্নস কাবুল গিয়ে তালেবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বরাদরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠক ছিল পুরোপুরি গোপন। ওয়াশিংটন পোস্টের এই খবর সত্যি হলে, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বাইডেন প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তালেবানের মুখোমুখি বৈঠক হলো। আফগানিস্তানে হাজার হাজার মানুষ আটকে পড়েছেন। তাদের বের করে নিয়ে আসা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বার্নসের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বার্নস হলেন বাইডেন প্রশাসনের সব চেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিক। আর বরাদর হলেন অন্যতম প্রধান তালেবান নেতা। তিনি কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস সামলাতেন।
সিআইএ-র মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, তারা কখনোই ডিরেক্টর কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন না।
'আফগানিস্তানে পরাজিত অ্যামেরিকা'
পরাজয় স্বীকার করছেন আফগানিস্তানে লড়াই করা মার্কিন সেনা অফিসাররাই। তুলনা টানছেন ভিয়েতনামের।
ছবি: Goran Tomasevic/REUTERS
বিশ বছরের যুদ্ধ
৯/১১ হামলার পরে আফগানিস্তানে প্রথম সেনা পাঠান তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। জানিয়েছিলেন, এ হলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই।
ছবি: picture-alliance/dpa
লাদেন কোথায়
আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বার করতেই বহু বছর সময় লেগে গেছে মার্কিন সেনার। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানে তাকে হত্যা করা হয়। আফগানিস্তানে বহু তালেবান নেতার মৃত্যু হয়েছে মার্কিন সেনার হাতে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Ausaf
মৃত্যুমিছিল সর্বত্র
গত প্রায় বিশ বছরে শুধু আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ন্যাটো বাহিনীর মৃত্যু হয়েছে। যার অধিকাংশই মার্কিন। ৪৭ হাজার আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ৬৬ হাজার আফগান সেনা মারা গেছেন। লাখ লাখ আফগান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ছবি: Getty Images/AFP//N. Noorullha
বর্তমান পরিস্থিতি
কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। যুদ্ধের চিহ্ন সর্বত্র। আর্থ-সামাজিক দিক থেকেও দেশটির অবস্থা ভয়াবহ।
ছবি: picture-alliance/dpa
বাইডেনের বক্তব্য
এতদিন যুদ্ধের পর বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আর যুদ্ধ নয়, অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা ফেরত আনা হবে। আফগানিস্তানের দায়িত্ব অ্যামেরিকা আর নিতে পারবে না।
ছবি: picture-alliance/dpa
কঠিন বাস্তব
মার্কিন সেনা ফিরতে শুরু করার পরেই ফের আফগানিস্তানের দখল নিতে শুরু করেছে তালেবান। আফগানিস্তান কার্যত গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
অ্যামেরিকার হার
আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করা মার্কিন সেনাদের একাংশ বলছেন, এটা আসলে অ্যামেরিকার হার। বিশ বছরেও যুদ্ধ জয় করতে পারেনি অ্যামেরিকা।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা
কেউ কেউ এই হারকে ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাদের দাবি, ভিয়েতনাম থেকেও শেষ পর্যন্ত মার্কিন সেনাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। আফগানিস্তানেও তাই হলো।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
লক্ষ্য ছিল না
তাদের দাবি, ভিয়েতনামের মতোই আফগানিস্তানে অ্যামেরিকার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। কিছু নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সার্বিক পরিবর্তন ঘটানো যায়নি।
ছবি: John Moore/Getty Images
9 ছবি1 | 9
ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে জনিয়েছে, বৈঠক হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে, তা তারা বলতে পারেনি। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাবুলের বিমানবন্দর ৩১ অগাস্ট তালেবানের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছে। বিমানবন্দরে হাজার কয়েক আফগান আছেন। তাদের আশা, তারা বিদেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তালেবান আর কোনো আফগানকে দেশ ছেড়ে যেতে দিতে রাজি নয়। তারা মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা বাড়াতেও রাজি নয়।