1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তালেবান’ আতঙ্কে আফগান নারীরা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২

আফগানিস্তানে গত কয়েক বছরে জীবন যাত্রার কিছুটা উন্নতি ঘটেছে৷ বিশেষ করে নারীদের বেলায়৷ তবে তাদের অনেকে আবার পুরনো পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা করছে৷ কারণ আগামী ২০১৪ সালের পর বিদেশি বাহিনী দেশ ছাড়বে৷

ছবি: TOMAS MUNITA/AP/dapd

আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে নারীদের বাইরে বের হওয়াটা ছিলো অনেকটাই কঠিন৷ মেয়েদের স্কুলে যাওয়ারও কোন সুযোগ ছিলো না৷ ফাওজিয়া কুফি সবসময় স্বপ্ন দেখতেন একদিন তিনি নিজের ইচ্ছেমত বাইরে ঘোরাফেরা করার সুযোগ পাবেন৷ তার সেই স্বপ্ন সত্যিও হয়েছে৷ আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর তালেবান শাসনামলের অবসান ঘটে৷ অন্তত ঘরে বসে থাকা থেকে মুক্তি পায় নারীরা৷ মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়৷ তালেবান আমলে বোরকার মধ্যে আটকে থাকার সেই দিনগুলোর কথা মনে করে কুফি বলেন, ‘‘সেটা ছিলো ছোট একটা জানালার মধ্য দিয়ে গোটা জগতকে দেখার মত, অন্তত মেয়েদের জীবনটা সেরকমই ছিলো৷''

নারীরা এখন সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেনছবি: AP

আফগানিস্তানে এখন ২৭ লাখ মেয়ে স্কুলে যায়, যেটা তালেবান আমলে ছিলো মাত্র পাঁচ হাজারের মত৷ নারীরা এখন সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন৷ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নারী রাজনীতিক ফাওজিয়া কুফি৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ আর সেই বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান ছাড়বে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশী বাহিনীগুলো৷ তাদের বিদায়ের পর আফগানিস্তানে আবারও পুরনো দিনগুলো ফিরে আসার আশঙ্কা করছেন কুফি৷ বিদেশী বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আফগানিস্তানে এসেছেন একটি লক্ষ্য নিয়ে যা হলো দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা৷ আমাদের উচিত দেশটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাতে দেশটি আবার সন্ত্রাসের খপ্পড়ে না পড়ে৷''

তালেবান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন আফগান সংসদের অন্যতম নারী সদস্য ফাওজিয়া কুফি৷ তিনি চান না তালেবান গোষ্ঠী আবার ফিরে আসুক, তাহলে নারীদের জন্য সেটা হবে দুঃসংবাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘তালেবান আমাকে মারার জন্য করে বেশ কয়েকবার হামলা করেছে৷ আমি তাদের অন্যতম লক্ষ্য৷ কিন্তু এরপরও আমাদের-আফগানিস্তানের নারী অধিকার কর্মীদের থামানো যাবে না৷'' ফাওজিয়া কুফি এমন আফগানিস্তানের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে মেয়েরা স্বচ্ছন্দে স্কুলে যেতে পারবে, পড়াশোনা শেষে ডাক্তার - প্রকৌশলী হয়ে কাজ করবে৷ তবে আফগানিস্তানের জটিল রাজনৈতিক সমীকরণে তা কতটা বাস্তব, সময়ই সেটা বলে দেবে৷

প্রতিবেদন: জাক বাদোর্ফ/আরআই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ