তালেবানের কাছে কয়েকটি বড় পরাজয়ের পর কৌশল পালটাচ্ছে আফগান বাহিনী৷ আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবুলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, সীমান্ত চেকপোস্ট এবং অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে সেনা মোতায়েন করার কথা ভাবছে সরকার৷
বিজ্ঞাপন
এমন কৌশলের ফলে অন্য অনেক অঞ্চল তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে৷ কিন্তু কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিভিন্ন প্রদেশের রাজধানীকে রক্ষার মাধ্যমে দেশটিতে বিভাজন এড়াতে এর বিকল্প নেই৷
এর আগে কৌশল পালটানো বিষয়ে ধারণা পাওয়া গেলেও এত বিস্তারিত জানা যায়নি৷ ৩১ আগস্টের আগে দেশটি থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এর আগেই এই নতুন কৌশল কার্যকর করতে চায় আফগান সরকার৷ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে এসব তথ্য৷
তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চলের দখল নিয়েছে৷ পেন্টাগন বুধবার জানিয়েছে, দেশটির অর্ধেকের বেশি জেলা এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণে৷ অর্ধেকেরও বেশি প্রাদেশিক রাজধানীকে কাবুল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যাপক চাপ প্রয়োগও করছে তালেবান৷
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের ধারণা ছয় মাসের মধ্যে আফগান সরকারের পতনও ঘটতে পারে৷
'আফগানিস্তানে পরাজিত অ্যামেরিকা'
পরাজয় স্বীকার করছেন আফগানিস্তানে লড়াই করা মার্কিন সেনা অফিসাররাই। তুলনা টানছেন ভিয়েতনামের।
ছবি: Goran Tomasevic/REUTERS
বিশ বছরের যুদ্ধ
৯/১১ হামলার পরে আফগানিস্তানে প্রথম সেনা পাঠান তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। জানিয়েছিলেন, এ হলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই।
ছবি: picture-alliance/dpa
লাদেন কোথায়
আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বার করতেই বহু বছর সময় লেগে গেছে মার্কিন সেনার। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানে তাকে হত্যা করা হয়। আফগানিস্তানে বহু তালেবান নেতার মৃত্যু হয়েছে মার্কিন সেনার হাতে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Ausaf
মৃত্যুমিছিল সর্বত্র
গত প্রায় বিশ বছরে শুধু আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ন্যাটো বাহিনীর মৃত্যু হয়েছে। যার অধিকাংশই মার্কিন। ৪৭ হাজার আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ৬৬ হাজার আফগান সেনা মারা গেছেন। লাখ লাখ আফগান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ছবি: Getty Images/AFP//N. Noorullha
বর্তমান পরিস্থিতি
কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। যুদ্ধের চিহ্ন সর্বত্র। আর্থ-সামাজিক দিক থেকেও দেশটির অবস্থা ভয়াবহ।
ছবি: picture-alliance/dpa
বাইডেনের বক্তব্য
এতদিন যুদ্ধের পর বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আর যুদ্ধ নয়, অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা ফেরত আনা হবে। আফগানিস্তানের দায়িত্ব অ্যামেরিকা আর নিতে পারবে না।
ছবি: picture-alliance/dpa
কঠিন বাস্তব
মার্কিন সেনা ফিরতে শুরু করার পরেই ফের আফগানিস্তানের দখল নিতে শুরু করেছে তালেবান। আফগানিস্তান কার্যত গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
অ্যামেরিকার হার
আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করা মার্কিন সেনাদের একাংশ বলছেন, এটা আসলে অ্যামেরিকার হার। বিশ বছরেও যুদ্ধ জয় করতে পারেনি অ্যামেরিকা।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা
কেউ কেউ এই হারকে ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাদের দাবি, ভিয়েতনাম থেকেও শেষ পর্যন্ত মার্কিন সেনাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। আফগানিস্তানেও তাই হলো।
ছবি: Ashaq Akramy/DW
লক্ষ্য ছিল না
তাদের দাবি, ভিয়েতনামের মতোই আফগানিস্তানে অ্যামেরিকার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। কিছু নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সার্বিক পরিবর্তন ঘটানো যায়নি।
ছবি: John Moore/Getty Images
9 ছবি1 | 9
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আফগান কর্মকর্তা বার্তাসংস্থাটিকে জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেনাসদস্যদের অল্প কিছু জায়গায় জড়ো করলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং অবকাঠামো (যেমন ভারতের সহায়তায় নির্মিত একটি বাঁধ) এবং মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সম্ভব হবে৷
কিন্তু বিশেষ বিশেষ জায়গায় সেনা জড়ো করার মানে হচ্ছে অন্য এলাকাগুলোকে অরক্ষিত রেখে দেয়া এবং সেসব এলাকার বাসিন্দা বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তালিবানের হাতে ছেড়ে দেয়া৷ আফগান কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত মানুষের সামনে কীভাবে তুলে ধরবেন? স্বাভাবিকভাবেই মানুষ খুব ভীত৷ একের পর এক অঞ্চলের দখল নিচ্ছে তালিবান৷''
মার্কিন জেনারেল মার্ক মাইলি বলেছেন, তালিবান ‘কৌশলগতভাবে এগিয়ে রয়েছে'৷ নতুন কৌশলে জেলার কেন্দ্র সমর্পণ করে কাবুলের মতো বেশি জনসংখ্যার কেন্দ্রগুলোতে বেশি নজর দেয়ার কতা ভাবা হচ্ছে৷ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘তালিবানের পুরোপুরি ক্ষমতা দখল বা অন্য যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়৷''
তালেবানদের বৌদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের ২০ বছর
আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকার হাজার বছরের ঐতিহ্য ক্ষমতায় থাকাকালে নিমেষেই গুড়িয়ে দেয় তালেবানরা৷ ২০০১ সালের আলোড়িত সেই ঘটনার ২০ বছর পূর্তি হলো সম্প্রতি৷
ছবি: Jean-Claude Chapon/AFP/Getty Images
বামিয়ান উপত্যকার ঐতিহ্য
কাবুল থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বামিয়ান উপত্যকার অবস্থান৷ এক সময় এটি ঐতিহাসিক সিল্করুটের অংশ ছিল৷ ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৌদ্ধদের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয় বামিয়ান৷ কয়েক হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুর বসবাস ছিল তখন এই উপত্যকায়৷
ছবি: Noor Azizi/XinHua/picture alliance
ভিক্ষুদের নির্মাণশৈলী
ভিক্ষুদের হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলটিতে তাদের শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে৷ লাল বেলেপাথরের পাহাড়ের গায়ে গুহা তৈরি করে তারা বসবাস করতেন৷ এই পাথর দিয়েই গড়েন বুদ্ধের প্রকাণ্ড মূর্তি৷
ছবি: Delphine Renou/Wostok Press/picture alliance
বিষ্মিত এক পরিব্রাজক
চীনের বৌধ ভিক্ষু ও পরিব্রাজক সুয়েনজাং সপ্তম শতাব্দীতে এখানে এসেছিলেন৷ বামিয়ান উপত্যকার কথা তিনি লিখেছেন এভাবে, ‘‘কয়েক ডজন মন্দির আর হাজারো ভিক্ষুর বসবাস সেখানে৷ বুদ্ধের দণ্ডায়মান মূর্তি ৫০ মিটার উঁচু, যার থেকে সোনালী আভা ছড়িয়ে পড়ে৷’’ সুয়েনজাং পরিচিত হিউয়েন সাঙ নামেও৷
ছবি: ZUMA Wire/imago images
শিল্পকলার মেলবন্ধন
সবচেয়ে উঁচু মূর্তিটি ছিল ৫৩ মিটার উঁচু দীপঙ্কর বুদ্ধের প্রতিভূ৷ ইতিহাসবিদদের মতে এর নির্মাণশৈলীতে গ্রিকদের হেলেনিস্টিক বৈশিষ্টের সঙ্গে বৌদ্ধ শিল্পকলার মেলবন্ধন ঘটে৷
ছবি: MAXPPP/Kyodo/picture alliance
যুদ্ধক্ষেত্র
প্রায় এক হাজার খ্রিষ্টাব্দে বামিয়ান উপত্যকা মুসলিম শাসনের অধীনে আসে৷ তখনও বহাল তবিয়েতে ছিল মূর্তিগুলো৷ বিশ শতকেও জায়গাটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে টিকে ছিল৷ তবে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর বদলে যায় চিত্র৷ কৌশলগত গুরুত্বের কারণে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে আমেরিকার মদতপুষ্ট মুজাহিদিনদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় বামিয়ান উপত্যকা৷
ছবি: Massoud Hossaini/AP Photo/picture alliance
তালেবানদের আক্রোশ
বিভিন্ন শাসনামলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য হিসেবে হাজার বছর টিকে থাকলেও ২০০১ সালের মার্চে তালেবানরা বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তি ধ্বংস করে৷ কাবুলের জাতীয় জাদুঘরও তছনছ করে তারা৷
ছবি: Saeed Khan/dpa/picture alliance
চিরতরে হারিয়ে যাওয়া
ধ্বংসের পরে ইউনেস্কো বামিয়ানকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে৷ সেখানে আবারো বৌদ্ধ মূর্তি গড়ে তোলার বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উঠলেও এখন পর্যন্ত তার কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি৷
ছবি: Xinhua/imago images
7 ছবি1 | 7
মার্কিন মেরিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবেহিনী এবং আফগান বাহিনীর সহায়তার বিষয়টি দেখভাল করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সবকিছু রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ সব জায়গাকে রক্ষা করতে গেলে কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হবে না৷ ফলে আমার মনে হয় আফগানরা এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই সেনা জড়ো করছে৷''
কৌশলগতভাবে অগুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় চেকপয়েন্টে সেনা মোতায়েন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে৷ সেদিকে ইঙ্গিত করে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এখন তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে যে সেনা সদস্যদের একত্রিত করা দরকার৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রক্ষা করা দরকার৷''
নতুন রণকৌশল বিষয়ে জানতে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে জনিয়েছে রয়টার্স৷
তালেবান: যাদের কারণে চাপের মুখে পাকিস্তান
ট্রাম্পের টুইটের পর হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার অন্যতম কারণ, পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের সাহায্য করছে৷ কিন্তু কেন? পাকিস্তানের রাজনীতির সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কই বা কী?
ছবি: Majid Saeedi
গোড়ার কথা
১৯৭৮ থেকে ’৯২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ পাশতুন জনজাতির যোদ্ধারা সে সময় রাশিযার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল৷ পরবর্তীকালে তারাই তালেবান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে৷ রাশিয়াকে ঠেকাতে সেই সময় পাকিস্তান এবং অ্যামেরিকা তালেবানকে সাহায্য করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/A. Khan
গৃহযুদ্ধ এবং তালেবান
১৯৯২ থেকে ’৯৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়৷ সেই সময় তালেবান ত্রমতার কাছাকাছি পৌঁছে যায়৷ অভিযোগ, তালেবানদের সেই উত্থানেও পাকিস্তান সাহায্য করেছিল৷ বস্তুত, বিস্তীর্ণ আফগানিস্তান জুড়ে তালেবান যে সরকার গঠন করেছিল, কেবল পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল৷ বিশ্বের অন্য কোনও দেশ তালেবান সরকারকে সমর্থন দেয়নি৷
ছবি: Majid Saeedi
৯/১১ এবং মার্কিন সৈন্য
নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আল কায়দা হামলা চালানোর পর অ্যামেরিকা আল কায়দা এবং তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে৷ আফগানিস্তানে পৌঁছায় মার্কিন সৈন্য৷ আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই সরকারকে সমর্থন জানায় অ্যামেরিকা এবং ন্যাটো বাহিনী৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সৈন্যরাও ন্যাটোর ছত্রছায়ায় তালেবানবিরোধী লড়াইয়ে শামিল হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পাকিস্তানের লাভ
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের প্রথম এবং প্রধান শত্রু আফগান তালেবান নয়, ভারত৷ এ কারণে ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি’ যুদ্ধ চালানোর জন্য তালেবান জঙ্গিদের পাকিস্তানের প্রয়োজন৷ ভারত বহুবার অভিযোগ করেছে যে, সীমান্তে আটক করা জঙ্গিদের সঙ্গে তালিবান যোগ আছে৷ তালিবান পাকিস্তানেই প্রশিক্ষণ নেয় বলেও অভিযোগ করে আসছে ভারত৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Shirzad
অন্য কূটনীতি
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান ছাড়লে আফগানিস্তানের মৌলবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পাকিস্তানকে পশ্চিমের সীমান্ত নিয়ে ভুগতে হতে পারে৷ তাই তালেবান প্রশ্নে ‘কৌশলগত’ অবস্থান নিতে হয় পাকিস্তানকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Naveed
পাকিস্তানেও তালেবান হামলা
গত এক দশকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে জঙ্গিরা৷ পাঁচ তারা হোটেল থেকে ভলিবল স্টেডিয়াম, বাজার থেকে সামরিক ঘাঁটি সর্বত্রই হামলা হয়েছে৷ বারবারই আঙুল উঠেছে তালেবানের দিকে৷ অভিযোগ, এতৎসত্ত্বেও পাকিস্তান তালিবানের প্রতি নরম থেকেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Ali
মার্কিন হুমকি
ভারতসহ বেশ কিছু দেশ বার বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে৷ এতদিনে অ্যামেরিকা সে অভিযোগে শিলমোহর দিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের পর হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিলো যে, পাকিস্তানকে তারা আর কোনও সামরিক সহায়তা দেবে না, কারণ, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের ভূমিকা স্পষ্ট নয়৷