আপিল করেও পেসার তাসকিন আহমেদকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানো গেল না৷ তাঁর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিলো আইসিসি৷ সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজও করে দিলো তারা৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার ও পেসার দীপু রায় চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত মানতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে৷ কারণ তাসকিনের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং-এর যে অভিযোগ রয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই৷ তাই তাসকিনকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিকর্কিত হয়েই থাকবে৷''
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠার পর ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিনকে চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়৷ এরপর ১৯ মার্চ তাঁদের দু'জনকেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি৷
সানিকে নিয়ে কোনো কথা না বললেও তাসকিনের ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বাংলাদেশ৷ এ কারণেই অতি দ্রুত তাসকিনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বিসিবি আবেদন করেছিল আইসিসির কাছে৷ আইসিসি দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়েছে৷ তবে সেই সিদ্ধান্ত তার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার৷ আর তা বাংলাদেশের হতাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে৷
দীপু রায় চৌধুরী
আগের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আইসিসির জুডিশিয়াল কমিশন বলেছে, ‘ফিরে আসার জন্য যথাযথ শুদ্ধি প্রক্রিয়া শেষে তাসকিন যে কোনো সময় তাঁর বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করানোর জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করতে পারবেন৷ যেভাবে তাঁর প্রথম পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই তাঁকে আবারও পরীক্ষা দিতে হবে৷'
তারা আরো বলেন, ‘বিশেষ ডেলিভারি (পরীক্ষা) দেওয়ার সময় তাসকিনের কনুই সহনীয় পর্যায় (১৫ ডিগ্রি) অতিক্রম করে বলে তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ অর্থাৎ তাসকিনকে তাঁর কনুই অবশ্যই ১৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে৷'
এর প্রতিক্রিয়ায় দিপু রায় চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তাসকিনকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে আমরা আপত্তি করেছি কয়েকটি কারণে৷ তাঁর ‘রেগুলার' বা স্টক বোলিং-এ কোনো সমস্যা নেই৷ অভিযোগ করার পর তাঁর বিশেষ (পরীক্ষা) বোলিং-এর ভেরিয়েশনে ন'টির মধ্যে তিনটিতে সমস্যা পাওয়া গেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে৷ তাছাড়া যে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ম্যাচে তো অবৈধ বোলিং-এর ঘটনা ঘটেই নাই৷ তাহলে কেন তাঁকে নিষিদ্ধ করা হলো? আর এটা এই সময়ে কেন করা হলো? তাই তাসকিনকে নিষিদ্ধের বিষয়টি আমাদের কাছে বিতর্কিতই থাকবে৷ তবুও বলবো, তারা হয়ত কিছু একটা পেয়েছেন৷ যার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা৷''
তিনি বলেন, ‘‘এখন আমাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে৷ তাসকিন ও সানি দু'জনেরই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে৷ আমরা এখন তাঁদের বোলিং অ্যাকশনের যে ত্রুটির কথা বলা হচ্ছে, তা সংশোধনের চেষ্টা করব৷ তাঁদের নিয়ে কোচরা কাজ করবেন৷ আশা করি শুধু তাসকিন নয়, সানিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে আসবেন৷''
তাসকিনের ‘শাস্তি’ আর তাঁদের বেলায় ‘শান্তি’?
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে৷ কিন্তু অনেকের বেলায় এমনটি করেনি আইসিসি৷ দেখুন অভিযোগ ওঠার পরও কারা দিব্যি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন৷
ছবি: Getty Images/Q. Rooney
কুমার ধর্মসেনা
এখন তিনি আম্পায়ার৷ সুতরাং সুযোগ পেলে হয়ত তিনিই কারো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করবেন৷ অথচ শ্রীলঙ্কার এই সাবেক ডান হাতি অফব্রেক বোলারের অ্যাকশন নিয়েই প্রশ্ন ছিল৷ ২০০০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বল ‘চাক’ করা বা ছোঁড়ার অভিযোগ তদন্তও করেছিল আইসিসি৷ কিন্তু খেলার সময় কোনো আম্পায়ার অভিযোগ না করায় ২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে অবসর নেন ধর্মসেনা৷
ছবি: Reuters/D. Gray
ব্রেট লি ও জার্মেইন লসন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি (ওপরের ছবিতে, ডানে) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট মিডিয়াম পেসার জার্মেইন লসনের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল৷ আইসিসি তদন্তও করেছে৷ লসনকে সংশোধনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দু’বার৷ কিন্তু আম্পায়ার অভিযোগ না করায় এই দু’জনেরও ‘নিষিদ্ধ’ হতে হয়নি৷
ছবি: Getty Images
হরভজন সিং
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ভারতের স্পিনার হরভজন সিংয়ের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ সরাসরি ‘নিষিদ্ধ’ না করে তাঁর বোলিং অ্যাকশনের বৈধতাও খতিয়ে দেখেছিল আইসিসি৷ ‘সবুজ সংকেত’ পেয়ে খেলা চালিয়ে যেতে হরভজনেরও কোনো অসুবিধা হয়নি৷
ছবি: AP
শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও হাতে গোনা কয়েকজন সৌভাগ্যবানের একজন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও যাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ হতে হয়নি৷ এখনো তিনি পাকিস্তান দলের একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়৷
ছবি: Reuters/Action Images/J. O'Brien
তাসকিনকে সরাসরি ‘নিষিদ্ধ’?
বাংলাদেশের তাসকিন এবং আরাফাত সানিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িকভাবে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে৷ তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ তাঁর শুধু ‘বাউন্সার’ নিয়ে সন্দেহ৷ নিয়ম অনুযায়ী বাউন্সার নিয়ে সন্দেহ থাকলে প্রথমে সতর্ক করার কথা, কিন্তু তা না করে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে৷ আইসিসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ কিন্তু রিভিউয়েও বহাল রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷
ছবি: Getty Images/Q. Rooney
5 ছবি1 | 5
দীপু রায় চৌধুরীর কথায়, ‘‘এর আগে আব্দুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী, আল-আমিন একই ধরনের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলে৷ তাঁরাও পরে আবার ফিরে এসেছেন৷ বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন, আবার কারেকশনের মাধ্যমে ফিরেও এসেছেন৷''
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে তাসকিন এবং সানিই প্রথম, যাঁরা অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হলেন৷
আগে, টি-টোয়েন্টির বাইরে, বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী টেস্টের পর সর্বপ্রথম নাইমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ উঠেছিল মোহাম্মদ রফিকের বিরুদ্ধেও৷ তবে স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকই প্রথম বাংলাদেশি বোলার, যিনি ২০০৮ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ হন৷ তবে ২০০৯ সালে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বোলিংয়ে ফেরেন তিনি৷
সোহাগ গাজী ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন৷ পরে অ্যাকশন পরীক্ষায় মাধ্যমে পার পান৷ সোহাগ গাজীর পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেসার আল-আমিনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে৷
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের যা শেখাচ্ছে
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের অনেকটা শেষ হয়েছে৷ আর এই সময়ের মধ্যে ঘটেছে অনেক ঘটনা৷ চলুন দেখে নেই, সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার মতো কী কী ঘটেছে...৷
ছবি: Reuters
অস্ট্রেলিয়ার এখনো শিখতে হবে
একদিনের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান আর টেস্টে নম্বর ওয়ান অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি পারফর্মেন্স এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি৷ চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে সেদল৷ আর বাংলাদেশের সঙ্গে জিতলেও সেটা অনেক কষ্টে৷ অসি অধিনায়কও স্বীকার করেছেন, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার জন্য তাঁর দলের আরো খাটতে হবে৷
ছবি: Cameron Spencer/Getty Images
নিউজিল্যান্ড পেতে পারে চূড়ান্ত সাফল্য
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন অবধি সবচেয়ে বড় সাফল্য দেখিয়েছে নিউজল্যান্ড৷ স্বাগতিক ভারতকে হারিয়েছে তারা, হারিয়েছে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াকে৷ এমন সাফল্য অব্যাহত থাকলে সেদল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ এবারই জয় করে নিতে পারে৷
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
ইংল্যান্ডের রেকর্ড
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান চেজ করে জেতার রেকর্ডটা এখন ইংল্যান্ডের৷ আট উইকেটে ২৩০ রান তাদের দলের জন্যও এক রেকর্ড৷ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চমকও এটাই৷ বোঝাই যাচ্ছে, ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের জন্য ইংল্যান্ড নিজেদের ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছে৷
ছবি: Getty Images/G. Copley
শ্রীলঙ্কার কঠিন সময়
কুমার সাঙ্কাকারা আর মহেলা জয়বর্ধনের অবসরের পর শ্রীলঙ্কা যে খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়বে তা আগেই বোঝা গিয়েছিল৷ কিন্তু দলের বোলিংয়ের মন্দা সেই দুর্বলতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে শুধু৷ চলতি আসরে সেদলের বড় কিছু করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
স্পিনই সেরা
ভারতের ক্রিকেট মাঠ বরাবরই স্পিনারদের জন্য আদর্শ জায়গা৷ চলতি বিশ্বকাপেও সেকথার প্রমাণ মিলেছে৷ এমনকি নিউজিল্যান্ডও স্পিন দিয়েই কাবু করেছে ভারতকে৷ সেদলের মিচেল স্যান্টনার চার উইকেট নেন ১১ রান খরচায়৷ টুর্নামেন্টের সেরা বোলারদের তালিকায় স্পিনাররাই রয়েছেন উপরের দিকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Stringer
নিষিদ্ধ দুই বোলার!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রমাগত সাফল্য দেখানো বাংলাদেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ দুই বোলারের উপর নিষেধাজ্ঞা৷ আইসিসি হঠাৎ করে এবং খুব দ্রুত বাংলাদেশের স্পিনার আরাফাত সানি ও মূল বোলার তাসকিন আহমেদকে ‘অবৈধ বোলিংয়ের’ অভিযোগে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে৷ আইসিসির এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে, বিশেষ করে তাসকিনকে নিষিদ্ধের বিষয়টি অনেকেই মেনে নেয়নি৷ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিষিধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আপিল করেছে৷
ছবি: Reuters/D. Gray
6 ছবি1 | 6
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বাইরে ১৯৯৫ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা বক্সিং ডে টেস্টে মুত্তিয়া মুরালিধরনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ আনেন ম্যাচ আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার৷ তবে কখনও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়নি মুরালিকে৷ প্রকৃতিগতভাবেই তাঁর হাত একটু বাঁকা বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়৷
বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধের খাড়ায় প্রথম পড়েন পাকিস্তানের ‘রাওয়াল পিন্ডি এক্সপ্রেস' হিসেবে খ্যাত শোয়েব আক্তার৷ ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গিয়ে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি৷ তবে পাকিস্তানের আপিলে আইসিসি ১০ দিনের মাথাতেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়৷ এরপর অবস্য তাঁকেও বোলিং অ্যাকশন শুধরাতে হয়৷
ক্যারিবিয়ান স্পিনার মারলন স্যামুয়েলসও ২০০৮ সালে রিপোর্টেড হন৷ পরে তাঁর কুইকার ডেলিভারি নিষিদ্ধ করে আইসিসি৷ স্যামুয়েলস মাঝে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে যাওয়ার অনুমতি পান৷
দীপু রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘শোয়েব আখতার অল্প দিনেই ফিরেছেন৷ তবে তা ক্রিকেট কূটনীতি দিয়ে নয়, তাঁকে আবার পরীক্ষা দিয়ে যথার্থতা প্রমাণ করতে হয়েছে৷ তাসকিনের জন্য কতদিন সময় লাগবে, তা বলা মুশকিল৷ এটা সাত দিনেও হতে পারে, আবার ১১ দিনেও হতে পারে৷ তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত তাঁকে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে৷ দুঃখ শুধু একটাই যে, তিনি এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর খেলতে পারলেন না৷''
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাতাবেন যে ছয় খেলোয়াড়
ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোন খেলোয়াড় কেমন খেলবেন তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা৷ ক্রিকেটের এই ছোট সংস্করণের তারকাদের একনজর দেখে নেই চলুন:
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিস)
বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল৷ তবে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাঁকে৷ জামাইকান এই তারকাকে সম্প্রতি সাত হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়৷ অপরাধ, টিভিতে লাইভ সাক্ষাৎকার নেয়া এক নারী সাংবাদিককে ‘ডেটিং’-এর প্রস্তাব দেয়া৷ টি-টোয়েন্টিতে ১২ বলে ৫০ রান করার রেকর্ড আছে তাঁর৷
ছবি: dapd
বিরাট কোহলি (ভারত)
বর্তমানে ফর্মের তুঙ্গে আছেন ভারতের সহঅধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে তাঁর অপরাজিত ৪১ রান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয় সহজ করে দিয়েছে৷ বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের চূড়ান্ত জয় এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান৷
ছবি: dapd
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান)
পাঁচবছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে রীতিমত চমক সৃষ্টি করেছেন মোহাম্মদ আমির (বামে)৷ পাকিস্তানের এই পেসার এশিয়া কাপে চমৎকার খেলেছেন, যদিও বাংলাদেশের কাছে হেরে ফাইনালে আর পৌঁছাতে পারেনি তারা৷ ভারতের মাঠে বড় পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত এই পেসার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/A.M. Ahad
এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)
‘সুপারম্যান’ খ্যাত বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বড় সম্পদ৷ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলে টি-টোয়েন্টিতে হাত পাকানো ভিলিয়ার্সের কাছে তাই ভারতের মাঠ অপরিচিত কোনো স্থান নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Richard Wainwright
বেন স্টকস (ইংল্যান্ড)
অনেকে তাঁকে মনে করেন নতুন ইয়ান বোথাম৷ অল রাউন্ডার স্টকস চলতি বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দ্রুততম দ্বিশতক করেন দক্ষিণ আফ্রিকায়, ১৬৩ বল খরচ করে৷ ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/G. Copley
তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে একাধিক দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ৷ সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে লড়াই করে হেরেছে দলটি৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বড় কিছু করার প্রত্যাশায় থাকা দলটির এক বড় শক্তি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল৷ পাকিস্তান সুপার লিগে তাঁর সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে৷