৫ই জানুয়ারি একরফা নির্বাচনের এক বছর৷ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি দিনটিকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছিল, বলেছিল কঠোর আন্দোলনের কথা৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে তারা৷
বিজ্ঞাপন
গাজীপুরে গত শনিবারের সমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ সমাবেশে খালেদা জিয়ার থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু ছাত্রলীগ একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ ডাকার পর, ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন৷ এরপর আর এগোয়নি৷ কারণ প্রতিবাদে-সমাবেশ ছেড়ে শুধুমাত্র রুটিন হরতাল পালন করেছে বিএনপি৷
১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকেই পরিস্থিতি আঁচ করা যাচ্ছিল৷ যদিও এর আগের সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার দিন ছাত্র ও যুব দল ‘শো-ডাউন' করে তাদের ‘যোগ্যতার' জানান দেয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু সেই পর্যন্তই৷
বছরের শেষ দিন সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন ডাকেন৷ বিএনপি-র নেতা-কর্মীদের অনেকেই আশা করেছিলেন হয়ত তিনি কঠোর কোনো সরকারবিরোধী কর্মসূচি দেবেনে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের ঘোষণা দিয়ে ঐ দিন ঢাকায় সমাবেশ এবং ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দেন৷
অন্যরকম নির্বাচন
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী থাকায় রবিবার অর্ধেকের বেশি আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি৷ নির্বাচনের দিনের কিছু ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Mamun
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করতে সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করে৷ এজন্য ৫৯ জেলায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়৷ বাকি পাঁচটি জেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
অলস সময়
ভোটার না থাকায় ঢাকার মিরপুরের হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুলে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অলসভাবে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোটারের জন্য অপেক্ষা
ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাকাডেমি ভোটকেন্দ্রের ছবি এটি৷ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে ভোটারদের জন্য বাঁশ ও দড়ি দিয়ে নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে৷ কিন্তু ভোটার নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
এখানেও একই অবস্থা
ছবিটি হারম্যান মাইনার কলেজ কেন্দ্রের৷ পাশাপাশি স্থাপিত কয়েকটি বুথ যেন খাঁ-খাঁ করছে৷ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ, জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ভোটার উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক৷ কারণ এটি একটি ভিন্ন ধরনের নির্বাচন৷ একতরফার সঙ্গে আছে ব্যাপক সহিংসতা এবং বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিড়ম্বনার শিকার
নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে না পেয়ে অনেক ভোটার ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তবে কেউ কেউ অবশ্য কষ্টটা শিকার করেই ভোট দিয়েছেন৷ ছবিতে মিরপুরের একটি কেন্দ্রে ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর খুঁজতে দেখা যাচ্ছে৷ তাঁদের সহায়তা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: DW/S. Kumar Dey
ভোটাধিকার প্রয়োগ
ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার৷ অবশ্য তাঁর মতো ভাগ্যবান হতে পারেননি দেশের মোট ভোটারের শতকার ৫২ জন৷ অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এসব ভোটারের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না৷ এই কারণে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীও ভোট দিতে পারেননি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারী ভোটার
ঢাকার একটি কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগের অপেক্ষায় কয়েকজন নারী ভোটার৷
ছবি: DW/M. Mamun
উৎসাহে কমতি নেই
আব্দুল হাকিম নামে ৮৯ বছরের এই ভোটার দুই ব্যক্তির সহায়তায় ঢাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
সেনা সদস্যদের পাহারা
দুজন ভোটার ভোট দিতে যাচ্ছেন৷ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সেখানে ছিলেন সেনা সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
9 ছবি1 | 9
বিএনপি-র এই কর্মসূচিতে আশাহত হয়ে পড়েছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতা-কর্মী৷ তাঁদের কথা, ‘‘বার বার আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারাই পিছু হটেন৷ তাঁরা নিজেরা আন্দোলনের মাঠে থাকেন না৷ আর আন্দোলন করতেও দেন না৷''
তবে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন মনে করেন, ‘‘খুব সহসাই সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি হবে৷ তাই এখনই চূড়ান্ত আন্দোলনে না গিয়ে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো৷''
কিন্তু তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ মনে করেন যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবং নিস্ক্রিয়তা বিএনপি-কে পিছিয়ে দিচ্ছে৷ আন্দোলন গড়ে তোলার মতো সাহস বা সামর্থ্য কোনোটিই তাঁদের নেই৷
ঢাকার কলাবাগান এলাকার যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এভাবে বার বার হতাশ করলে আমাদের মন ভেঙে যাবে৷ তৃণমূলের মনোভাব কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝছেন না৷ তাঁরা নিজেরা ভয় পাচ্ছেন মাঠে নামতে৷'’
বিএনপি-র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা পিছু হটা নয়৷ এটা আন্দোলনের কৌশল৷ একটি আইনি বাধাকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করার সময় এখনো আসেনি৷'' তিনি বলেন, ‘‘অতীতে ১৪৪ ধারা ভাঙার নজির যে নেই, তা নয়৷ কিন্তু গাজীপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সামাবেশ করার পরিবেশ ও পরিস্থতি আজ নেই৷'''
পুড়ছে মানুষ, পুড়ছে মানবতা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য বিরোধীদলের কর্মসূচিতে পুড়ছে যানবাহন, ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ, মরছে মানুষ৷ হরতাল-অবরোধের নামে পোড়ানো অনেকে এখনো যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
সারি সারি পোড়া মানুষ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১ নম্বর বার্ন ইউনিট এখন হরতাল-অবরোধের নামে পোড়ানো জীবিকার তাগিদ কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে রাস্তায় নামা মানুষে ভরে গেছে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
শিশুর কষ্ট বোঝেনা তারা!
কোলের শিশুও বাঁচতে পারছেন না জ্বালাও-পোড়াওয়ে হাত থেকে৷ প্রতিপক্ষের আদর্শকে ভুল প্রমাণ করে শ্রেয়তর আদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা নয়, প্রতিপক্ষকে আঘাত করে, হত্যা করে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা অনেক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ৷ স্বাধীন দেশে নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে পোড়ানোও দেখতে হচ্ছে৷ ৩ নভেম্বর আট বছরের সুমি দাদীর সঙ্গে নেত্রকোনা থেকে ঢাকা আসছিল৷ জয়দেবপুর চৌরাস্তায় তাদের বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়৷
ছবি: Mustafiz Mamun
বোবা কান্না...
নির্মমতার আরেকটি ছবি হয়ে আছে মজিবরের পোড়া শরীর৷ মজিবর বাকপ্রতিবন্ধী৷ কুমিল্লার দেবিদ্বারের এক ট্রাকের হেলপার৷ পিকেটারদের বোমা হামলায় বাসের সঙ্গে তাঁর শরীরও পুড়েছে৷ সবাই শুনে বুঝবে এমনভাবে কথা তিনি বলতে পারেন না, বোবা কান্নায় শুধু পারেন অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে, আর্তনাদ করতে আর এ অন্যায়ের প্রতিকার আশা করতে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
মেয়েকে দেখতে গিয়ে মা হাসপাতালে
জাহানারা বেগম৷ বয়স ৫২৷ পেশা – ফেরি করে কাপড় বিক্রি করা৷ হরতাল-অবরোধ থাকলে বিক্রি কমে যায় বলেই হয়তো সেদিন কাপড় নিয়ে বাড়ি বাড়ি না ঘুরে জাহানারা গিয়েছিলেন শ্যামপুরে৷ সেখানে তাঁর মেয়ের বাড়ি৷ মেয়েকে দেখে অটো রিক্সায় ফেরার সময়েই বিপদ৷ বিরোধী দলের কিছু সমর্থক সেই অটোরিক্সাতেও ছুড়ে মারে পেট্রোল বোমা৷ সন্তানের প্রতি অপত্য স্নেহের মূল্য আগুনে পুড়ে চুকাচ্ছেন জাহানারা বেগম!
ছবি: Mustafiz Mamun
তালহার অসহায়ত্ব
২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা৷ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় আবু তালহা সেই থেকে ১ নম্বর বার্ন ইউনিটে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
রাজমিস্ত্রী
রাজমিস্ত্রী ও ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদের শরীর পুড়েছে গত ১২ নভেম্বর৷ সেদিন ঢাকার রায়েরবাগেও একটি চলন্ত বাসে ছোড়া হয় পেট্রোল বোমা৷ সেই থেকে তাঁরও ঠিকানা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ১ নম্বর বার্ন ইউনিট৷
ছবি: Mustafiz Mamun
বাসচালক
২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহবাগে পেট্রোল বোমা ছুড়ে পোড়ানো সেই বাসটি চালাচ্ছিলেন মাহবুব৷ যাত্রীদের মতো তাঁর শরীরও পুড়েছে৷ তাঁর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধের সময়, অর্থাৎ ১৯৭১ সালেই জন্ম মাহবুবের৷ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর দেশ পুড়ছে, তিনিও পুড়েছেন৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ঘুমের মাঝেই আগুন...
৭ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া ফেরিঘাটে বাসে ঘুমাচ্ছিলেন হেলপার আলমগীর৷ থামানো বাসেই দেয়া হয় আগুন৷ পোড়া দেহ নিয়ে এখন তিনি হাসপাতালে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
লেগুনার যাত্রী
১০ নভেম্বর ঢাকার লক্ষীবাজারে পেট্রোল বোমা ছুড়ে পোড়ানো হয় একটি লেগুনা৷ লেগুনা পুড়ে শেষ, লেগুনার যাত্রী কামাল হোসেন ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন৷ তবে শরীরের ৩৫ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে৷ ৩৬ বছরের এ তরুণ লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে৷ চিকিৎসকদের চেষ্টা এবং সুস্থ মানসিকতার প্রতিটি মানুষের শুভকামনায় তিনি শিগগিরই হয়তো ফিরবেন স্বাভাবিক জীবনে৷ কিন্তু এই দুর্ভোগ, এই দুঃস্বপ্নের দিনগুলো কি কোনোদিন ভুলতে পারবেন?
ছবি: Mustafiz Mamun
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শুভও ছিলেন রায়েরবাগের সেই বাসে৷ তাই ১২ নভেম্বর থেকে তিনিও পোড়া শরীর নিয়ে পড়ে আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিছানায়৷
ছবি: Mustafiz Mamun
10 ছবি1 | 10
অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ তাই ৫ই জানয়ারি কালো পতাকা মিছিল এবং সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে৷ এতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যদি হতাশ হন, তাহলে বুঝতে হবে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য তাঁরা প্রস্তুত হচ্ছেন৷ আর ধাপে ধাপে সেই চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে উঠবে৷''
বিএনপি-র আন্দোলন গড়ে তোলার সক্ষমতা আছে কিনা – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সক্ষমতা থাকলেই সব সময় চূড়ান্ত আন্দোলন করা যায় না৷ ৫ই জানুয়ারির আগে থেকেই বিএনপি আন্দোলনে আছে৷ আর সেই আন্দোলন একমসয় চূড়ান্ত রূপ পাবেই৷''
এদিকে বিএনপি-র এই ‘মাজুল' কর্মসূচিতে উল্লসিত সরকারি দল৷ তারা ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা দিসব' হিসেবে পালন করবে৷ ঢাকায় করবে সমাবেশ৷ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নির্বাচনে অংশ না নেয়ার একটি ভুল সিদ্ধান্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সংসদ থেকে ‘মাইনাস' হয়েছেন৷ এখন আরেকটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তিনি রাজনীতি থেকেও মাইনাস হতে পারেন৷ মাইনাসের ফর্মুলা আওয়ামী লীগের নয়৷ তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দেশের জনগণই তাঁকে মাইনাস করবে৷''