1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাহলে কি পিছু হটলো বিএনপি?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ জানুয়ারি ২০১৫

৫ই জানুয়ারি একরফা নির্বাচনের এক বছর৷ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি দিনটিকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছিল, বলেছিল কঠোর আন্দোলনের কথা৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে তারা৷

Bangladesch Proteste 29. Dezember 2014
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/ABIR ABDULLAH

গাজীপুরে গত শনিবারের সমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ সমাবেশে খালেদা জিয়ার থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু ছাত্রলীগ একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ ডাকার পর, ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন৷ এরপর আর এগোয়নি৷ কারণ প্রতিবাদে-সমাবেশ ছেড়ে শুধুমাত্র রুটিন হরতাল পালন করেছে বিএনপি৷

১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকেই পরিস্থিতি আঁচ করা যাচ্ছিল৷ যদিও এর আগের সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার দিন ছাত্র ও যুব দল ‘শো-ডাউন' করে তাদের ‘যোগ্যতার' জানান দেয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু সেই পর্যন্তই৷

বছরের শেষ দিন সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন ডাকেন৷ বিএনপি-র নেতা-কর্মীদের অনেকেই আশা করেছিলেন হয়ত তিনি কঠোর কোনো সরকারবিরোধী কর্মসূচি দেবেনে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের ঘোষণা দিয়ে ঐ দিন ঢাকায় সমাবেশ এবং ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দেন৷

বিএনপি-র এই কর্মসূচিতে আশাহত হয়ে পড়েছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতা-কর্মী৷ তাঁদের কথা, ‘‘বার বার আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারাই পিছু হটেন৷ তাঁরা নিজেরা আন্দোলনের মাঠে থাকেন না৷ আর আন্দোলন করতেও দেন না৷''

তবে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন মনে করেন, ‘‘খুব সহসাই সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি হবে৷ তাই এখনই চূড়ান্ত আন্দোলনে না গিয়ে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো৷''

কিন্তু তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ মনে করেন যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবং নিস্ক্রিয়তা বিএনপি-কে পিছিয়ে দিচ্ছে৷ আন্দোলন গড়ে তোলার মতো সাহস বা সামর্থ্য কোনোটিই তাঁদের নেই৷

ঢাকার কলাবাগান এলাকার যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এভাবে বার বার হতাশ করলে আমাদের মন ভেঙে যাবে৷ তৃণমূলের মনোভাব কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝছেন না৷ তাঁরা নিজেরা ভয় পাচ্ছেন মাঠে নামতে৷'’

বিএনপি-র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা পিছু হটা নয়৷ এটা আন্দোলনের কৌশল৷ একটি আইনি বাধাকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করার সময় এখনো আসেনি৷'' তিনি বলেন, ‘‘অতীতে ১৪৪ ধারা ভাঙার নজির যে নেই, তা নয়৷ কিন্তু গাজীপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সামাবেশ করার পরিবেশ ও পরিস্থতি আজ নেই৷'''

অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ তাই ৫ই জানয়ারি কালো পতাকা মিছিল এবং সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে৷ এতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যদি হতাশ হন, তাহলে বুঝতে হবে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য তাঁরা প্রস্তুত হচ্ছেন৷ আর ধাপে ধাপে সেই চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে উঠবে৷''

বিএনপি-র আন্দোলন গড়ে তোলার সক্ষমতা আছে কিনা – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সক্ষমতা থাকলেই সব সময় চূড়ান্ত আন্দোলন করা যায় না৷ ৫ই জানুয়ারির আগে থেকেই বিএনপি আন্দোলনে আছে৷ আর সেই আন্দোলন একমসয় চূড়ান্ত রূপ পাবেই৷''

এদিকে বিএনপি-র এই ‘মাজুল' কর্মসূচিতে উল্লসিত সরকারি দল৷ তারা ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা দিসব' হিসেবে পালন করবে৷ ঢাকায় করবে সমাবেশ৷ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নির্বাচনে অংশ না নেয়ার একটি ভুল সিদ্ধান্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সংসদ থেকে ‘মাইনাস' হয়েছেন৷ এখন আরেকটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তিনি রাজনীতি থেকেও মাইনাস হতে পারেন৷ মাইনাসের ফর্মুলা আওয়ামী লীগের নয়৷ তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দেশের জনগণই তাঁকে মাইনাস করবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ