1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিনদিনেই হকার উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ

২৮ জুন ২০২৪

শুরু করার তিনদিনের মধ্যে হকার উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। এক মাস ধরে সমীক্ষা হবে।

কলকাতার রাস্তায় হকার উচ্ছেদের ছবি।
কলকাতায় হকার উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ থাকছে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একমাস ধরে সমীক্ষা চালানোর পর হকারদের বসার জায়গা নির্দিষ্ট করা হবে। তাদের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় নতুন করে কাউকে বসতে দেয়া হবে না। আপাতত বুলডোজার দিয়ে দোকান ভাঙা হবে না।

মমতার ব্যাখ্যা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''লক্ষ লক্ষ মানুষ এভাবে জীবন চালান। আমি এখনই উচ্ছেদের পথে না গিয়ে এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলছি। নতুন করে কেউ বসতে পারবেন না। এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট জায়গায় হকারদের বসার জায়গা দেয়া হবে। স্টল করে দেয়া হবে।''

হকার উচ্ছেদের বিষয়ে তার সরকারের বর্তমান অবস্থান জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''কেউ টাকার বিনিময়ে হকার বসালে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। যত বড় নেতাই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  আর যেসব পুলিশ টাকা তুলছেন, তারা হাত বন্ধ রাখুন। দল না দেখে ব্যবস্থা নিন।''

তিনি জানান, ''রাজ্যে কত হকার আছে তার সমীক্ষা হবে। নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট ও হাতিবাগানের ক্ষেত্রে সমীক্ষার দায়িত্বে থাকবেন অরূপ বিশ্বাস, অতীন ঘোষ, নলয় ঘটক, দেবাশিস কুমার ও ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের বাকি জায়গার দায়িত্বে থাকবেন নগরোন্নয়ন সচিব।''

মমতা আরো বলেন, ''যাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যদি এলাকার মানুষ হয়, বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে অন্য জায়গায় তাদের বসানো হবে।''

বীরভূমে বুলডোজার

বীরভূমের রামপুরহাটে অবশ্য শুক্রবারও বুলডোজার দিয়ে জাতীয় সড়কের জমি দখলমুক্ত করা হয়। তবে এটা রাজ্য সরকার সরাসরি করেনি, করেছে জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। তাদের সহযোগিতা করেছে স্থানীয় পুলিশ।

জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একশ ফুট জায়গা দখলমুক্ত করা হবে। জাতীয় সড়ক চওড়া করার জন্য এটা দরকার। দখলকারীদের আগে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা সরে না যাওয়ায় এদিন বুলডোজার ব্যবহার করা হলো।

কী বলছেন বিরোধীরা?

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ''পুরোটাই নাটক করা হলো। হকারদের উঠিয়ে দিয়ে আরো টাকা দিয়ে তাদের বসানো হবে।''

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ''ভোট কম পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারলেন সরকারি জায়গা দখল হয়েছে। বুল়োজার এলো। তারপর আবার ভাবমূর্তি ঠিক করার চেষ্টা শুরু হলো।''

কংগ্রেসের দাবি, ১২ বছর ধরে তার দল এই কাজ করছে, তিনি এখন কেন সক্রিয় হলেন?

কেন বসতে দেয়া হলো?

প্রবীন সাংবাদিক আশিস গুপ্তার প্রশ্ন, ''হকারদের প্রথমে জমি জবরদখল করতে দেয়া হলো? পাড়ার দাদা, পুলিশ, প্রশাসন তাদের বসিয়ে দেবে, তারপর একদিন ভোট কম পাওয়ায় মনে হবে, সব জবরদখল হয়ে গেছে, বুলডোজার চলবে, তা তো হয় না। জবরদখল করা অন্যায়। কিন্তু মানুষকে তো রোজগারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাছাড়া যারা বসালো, তাদের তো কিছু হচ্ছে না।''

জিএইচ/এসিবি পিটিআই, এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ