তিনদিনের সফরে ভারতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৮ অক্টোবর ২০১০ভেস্টারভেলে তাঁর ভারত সফরে পরমাণু শক্তিধর ভারতকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে জোর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে৷ বৈঠকের পর ভেস্টারভেলে বলেন, ভারত যদি সিটিবিটি অর্থাৎ পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন করে তবে সেটা হবে সামনের দিকে এক বড় পদক্ষেপ৷ পরে ভেস্টারভেলে একইসাথে ভারতের কাছে জার্মান অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে আগ্রহের কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জার্মান কোম্পানিগুলো জার্মান সরকারের সমর্থন আশা করতে পারে৷ এরকম আভাস আছে যে, ভারত তার বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক করে তুলতে চায় এবং তার জন্য ইউরো ফাইটার বিমান সংগ্রহ করা যায় কি না ভারত সরকার তা খতিয়ে দেখছে৷ এরকম আশা করা হচ্ছে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং খুব সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে যখন বার্লিন সফর করবেন তখন এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে জার্মানি এবং ভারত দু'টি দেশই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে কাজ করবে দু'বছরের জন্য৷ এই সময়ে উভয় দেশই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে তাদের তৎপরতা চালাবে৷ ভেস্টারভেলে জানান, জি ৪ গ্রুপভুক্ত দেশগুলো অর্থাৎ ব্রাজিল, জাপান, ভারত ও জার্মানি জাতিসংঘের সাংগঠনিক সংস্কার পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করার জন্য কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে পরবর্তী কোন এক সময় আলোচনায় বসবে৷ ভেস্টারভেলে বলেন, জার্মানি এবং ভারত এক অভিন্ন মূল্যবোধের মাঝে পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত৷ নতুনদিল্লিতে প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিগত বছরগুলোতে ভারতের অর্থনৈতিক সাফল্য সম্ভব ছিল না৷
২০১১-১২ অর্থ বছরে ভারতে জার্মান বর্ষ এবং ২০১২-১৩ অর্থ বছরে জার্মানিতে ভারত বর্ষ উদযাপনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে এই সফরে৷ এছাড়া মঙ্গলবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী আনন্দ শর্মার সাথে বৈঠক করবেন ভেস্টারভেলে৷ এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা৷ ২০১২ সালের মধ্যে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ২০ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে ভারত এবং জার্মানি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক