1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিন দশকেও রুবিক’স কিউবের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি!

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

ছোট, চৌকো, উজ্জ্বল রঙের প্লাস্টিকে তৈরি এক পাজল৷ ছেলে, বুড়ো সবার কাছেই তুমুল জনপ্রিয়৷ কি, এখন চিনতে পারছেন? এই ত্রিমাত্রিক পাজলটির নাম জানেন না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই ভার৷

রুবিক’স কিউবছবি: picture-alliance/dpa

রুবিক'স কিউব৷ ৩০ বছর পেরিয়ে আজো সমান জনপ্রিয়৷এই প্লাস্টিক পাজলটির জনপ্রিয়তার মত তার আদি চেহারাটিও আজ অবধি অক্ষুণ্ণই আছে৷

এই কিউবটি যিনি বানিয়েছিলেন, হাঙ্গেরিয়ান সেই এর্নো রুবিক পেশায় ছিলেন স্থপতি৷ ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি তিনি এটি আবিস্কার করেন৷ আদতে মানুষের মধ্যে ব্যাপ্তি কি জায়গা, অর্থাৎ সীমিত অথবা খালি জায়গা সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি করাটাই ছিল তার উদ্দেশ্য৷ এ যেন হযবরল'র সেই ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল গোছের বিষয়৷ রুবিক'স কিউব পৃথিবীতে এপর্যন্ত কতগুলো বিকিয়েছে জানেন? কিছু কিছু পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩৫০ মিলিয়ন!

কম সময়ে পা দিয়ে রুবিক'স কিউব মিলিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন জার্মানির ভুল্ফ (ডানে)ছবি: AP

কেউ যখন রুবিক'স কিউব হাতে নেয়, তখন এটি মেলানো যে খুব একটা সহজ কাজ নয়, সেটা সে ভালো মতোই জানে৷ এক-একটি কিউব বা ঘনক্ষেত্রের ছ'টি দিক ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয়৷ এভাবে ২৭টি কিউব মিলিয়ে যে পাজলটি তৈরি, তা মেলাতে হলে কিউবের একেক পাশের সবগুলো রঙ এক করে ফেলতে হবে৷ কী? চিন্তায় ফেললাম মনে হচ্ছে? রুবিক'স কিউবের জনপ্রিয়তার চাবিকাঠি কিন্তু এখানেই৷ সহজে মেলে না বলেই তো দশক দশক ধরে নাছোড়বান্দাদের রুবিক'স কিউব এখনো সমানভাবে টানে৷

অবশ্য কারো কারো কাছে এই ধাঁধাঁ মেলানোর কাজটা বিপত্তি আর ধন্দের মতোই লাগতে পারে৷ কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ ছেলে, বুড়ো সবার কাছেই এই কিউব এক অমোঘ আকর্ষণের বস্তু৷ কারো হাতে দেখলেই হল - উজ্জ্বল রঙের এই বস্তুটির রঙ মেলানোর জন্য হাত একেবারে নিশপিশ করতে থাকে৷ কে, কার আগে, কত দ্রুত এই রুবিকস কিউব মেলাতে পারে পাজলারদের মধ্যে এ নিয়ে আবার রীতিমতো প্রতিযোগিতাও হয়৷ স্পিড আর রুবিক'স কিউবের কিউব মিলিয়ে এই পাজলারদের ডাকা হয় ‘স্পিড কিউবার' নামে৷ প্রতিযোগিতায় জিততে হলে দ্রুততম সময়েই যে এই কিউব মেলাতে হয়!

এই তো মাত্র কিছুদিন আগেই জার্মান স্পিড কিউবিং চ্যাম্পিয়নশিপটি হয়ে গেল৷ যেখানে কর্নেলিয়াস ডিকমান নামে বার্লিনের এক ১৫ বছরের কিশোর জার্মান মাস্টার অ্যাওয়ার্ডটি জিতে নিয়েছে৷ ২২ বছরের রবিন ব্ল্যোম'ও আরেকজন অ্যাওয়ার্ড জেতা স্পিড কিউবার৷ স্পিড কিউবিং শুরু করার সেই দিনটির স্মৃতি আজো রবিনের চোখে ছবির মতোই ভেসে ওঠে৷ অঙ্কের ক্লাস ছিল সেদিন, মন ছিল না ক্লাশে৷ হঠাৎ পাশে বসা একজনের হাতে রুবিক'স কিউবটা দেখেই তার মনে পড়েছিল, আরে! তার বাবারও যে এমনই একটি কিউব বাড়িতে পড়ে রয়েছে৷ ব্যস, সেই শুরু৷ তারপর আগ্রহ বাড়তে থাকে৷ শেষে এই পাজল মেলানোর বিষয়টি গিয়ে দাঁড়ায় কে, কত কম সময়ে তা মেলাতে পারে তার ওপর৷ এই রঙের চৌকো ধাঁধাঁর উত্তর মেলানোই শুধু নয়৷ স্পিড কিউবার হতে চাইলে গতির দ্রুততার সঙ্গে রুবিক'স কিউবের রঙের ছন্দটি মেলানো চাই৷ কি, বিশ্বসেরা স্পিড কিউবারদের তালিকায় নিজের নামটি তোলার চেষ্টা একবার করে দেখবেন নাকি?

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ