তিন দেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মে ২০২৩প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে৷ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সফর শেষ করে সোমবার (লন্ডন সময়) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে৷
তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপ শুরু হয় গত ২৫ এপ্রিল৷ ওইদিন জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন৷ তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান৷
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন৷
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে৷
প্রধানমন্ত্রী একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগ দেন৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে 'ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার' প্রদান করেন৷
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন৷
তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে ছয় দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ছেড়ে যান৷
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত 'বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন'- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন৷
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন৷
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন৷
৪ মে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন৷ ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক করেন৷
প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন৷ তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন৷
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন৷
জেকে/কেএম (ডেইলি স্টার, বাসস)