1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিন নারী পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার

৭ অক্টোবর ২০১১

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনরত তিন নারী ২০১১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করেছেন৷ লাইবেরিয়ার দুই নারী নেত্রীর সঙ্গে এই প্রথম একজন আরব নারী নোবেল পুরস্কারের অংশীদার হলেন৷

নোবেলজয়ী তিন নারীছবি: dapd/DW-Montage

লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন-সার্লিফ ও তাঁর স্বদেশী লিমা বোউই এবং ইয়েমেনের নারী অধিকার ও গণতন্ত্রপন্থি কর্মী তাওয়াকুল কারমান৷ ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন এই তিন নারী৷ নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রেসিডেন্ট টবইওন ইয়ার্গল্যান্ড এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নারীর সুরক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় তাঁদেরকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে''৷

৭২ বছর বয়সি সার্লিফ হচ্ছেন আফ্রিকার প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট৷ ২০০৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তিনি৷ সেসময় সার্লিফ ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত একটি দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা লাইবেরিয়ার এই ‘লৌহমানবী' মাত্র চারদিন পরেই আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন৷

লাইবেরিয়ার এলেন জনসন-সার্লিফ ও লিমা বোউই এবং ইয়েমেনের তাওয়াকুল কারমান৷ছবি: dapd/DW-Montage

অন্যদিকে, ৩৯ বছর বয়সি লিমা বোউই একজন শান্তিকর্মী৷ লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তিনি৷ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের অধিকারের দাবিতে সংগ্রাম করেন লিমা৷

২০১১ সালের শান্তিতে নোবেল জয়ী তৃতীয় নারী হচ্ছেন একজন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী৷ ৩২ বছর বয়সি তাওয়াকুল কারমান আরব বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে নোবেল জয় করলেন৷ কারমান এই পুরস্কার আরব বিপ্লব-এ অংশ নেওয়া সবাইকে উৎসর্গ করতে চান৷

তিন নারীর নোবেল জয়কে একটি ‘ইতিবাচক সংকেত' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মাননা জয়ী তিন নারীকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি৷ আমি মনে করি এটা অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত যে, কঠোর পরিশ্রমী তিন নারী এই আন্তর্জাতিক প্রতীক জয় করেছেন৷''

ইয়েমেনের নারী অধিকার ও গণতন্ত্রপন্থি কর্মী তাওয়াকুল কারমানছবি: dapd

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীর অধিকার আন্দোলনের দাবিতে সংগ্রামরতদেরকে উৎসাহিত করবে নারীদের এই নোবেল জয়৷

উল্লেখ্য, ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার চালুর পর এখনও পর্যন্ত ১৫ জন নারী শান্তিতে এই সম্মাননা পেয়েছেন৷ তবে সকল বিষয়ে নোবেল জয়ী নারীর মোট সংখ্যা ৪৩৷ মারি কুরি হচ্ছেন প্রথম নারী, যিনি ১৯০৩ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল জয় করেন৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ