1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়াজিদি হত্যা চলছেই: জাতিসংঘ

৪ আগস্ট ২০১৭

২০১৪ সালের আগস্টে ইসলামিক স্টেট সিরীয় সীমান্তে উত্তর ইরাকের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর প্রথম আঘাত হানে৷ জাতিসংঘের ভাষায় যাকে বলে ‘গণহত্যা'৷ সেই গণহত্যা এখনো চলছে৷

Irak Jesiden feiern Neujahr
ছবি: Getty Images/AFP/S. Hamed

জাতিসংঘের যে কমিটিটি সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের ইয়াজিদিদের ওপর চলা নৃশংসতার দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে৷

এক বিবৃতিতে, বর্তমান সময়ের দাসপ্রথা নিয়ে কাজ করা ওএইচসিএইচআর কমিশন বলেছে, ‘‘সেখানে গণহত্যা চলছে, অথচ সবাই চুপ৷ রাষ্ট্রপক্ষ এই সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, যা স্পষ্টত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন৷''

ইয়াজিদিদের হাজার বছরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকলেও আইএস তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখে৷ জঙ্গিরা হাজারো ইয়াজিদিকে হত্যা ও অপহরণ করেছে৷ অনেকেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন৷

২৩ বছর বয়সি পার্ভিন আলি বাকু নামের এক ইয়াজিদি নারী তাঁর তিন বছরের মেয়েসহ জঙ্গিদের হাতে দু'বছর ধরে আটক ছিলেন৷ সম্প্রতি তিনি পালিয়ে আসতে সমর্থ হন৷ এখন তাঁর ঠাঁই হয়েছে ইরাকের এক শরণার্থী শিবিরে৷ ‘‘আমার কিছুই ভালো লাগে না৷'' বলছিলেন তিনি৷ ‘‘সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্য আছি৷''

মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইয়াজিদিরাছবি: Getty Images/AFP/S. Hamed

তিন বছর পরও হাজারো ইয়াজিদি পুরুষের কোনো খোঁজ নেই৷ এখনো প্রায় তিন হাজার ইয়াজিদি নারী আটক৷ তাদের প্রতিদিন ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতন করা হয়৷ জাতিসংঘ কমিশন এমনও তথ্য পেয়েছে যে, রাকায় এই মেয়েদের অনেককেই বিক্রিও করা হয়৷ আইএস নির্মূলের পাশাপাশি এই মেয়েদের উদ্ধার ও এসব অপরাধের বিচারের দাবি জানিয়েছে কমিশন৷

উত্তর ইরাকের সিনজার ও তার আশেপাশে আগে প্রায় চার লাখ ইয়াজিদি থাকতেন৷ এ সব এলাকা আইএসমুক্ত হলেও এখন মাত্র এক হাজার ইয়াজিদি পরিবার ফিরে এসেছে৷

এর কারণ, আইএসকে বিতাড়িত করার পর এখন এলাকার দখল নেবার জন্য কুর্দি ও শিয়ারা লড়ছে৷ তাই এসব এলাকায় উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি৷ 

‘‘এলাকাটি পুন:সংস্কার না করলে এবং রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না করলে ওদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে৷'' রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন সিনজার মেয়র অফিসের পরিচালক জালাল খালাফ৷

সামান্থা আর্লি/জেডএ

আইএস-এর দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া নারীদের পুনর্বাসন

01:42

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ