আরজি কর-কাণ্ডে এবার সামনে এসেছে ফোন কলের তিনটি ক্লিপ। পুলিশের সাংবাদিক বৈঠক। এখনো বহু তথ্য অস্পষ্ট।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে গেছে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত। পুলিশ-সিবিআই টানাপড়েন অব্যাহত। আর তারই মধ্যে নির্যাতিতার মায়ের অসহায় প্রশ্ন, কবে ঘটনার সমস্ত তথ্য স্পষ্ট হবে?
বৃহস্পতিবার সমাজ-মাধ্যমে ঘটনার দিন সকালের টেলিফোন রেকর্ডিং দাবি করে তিনটি ফোন কল রেকর্ডিংয়ের ক্লিপ সামনে আসে। একাধিক সংবাদমাধ্যমেও সেই ক্লিপ চালানো হয়। ডয়চে ভেলে সেই ক্লিপ শুনেছে তবে এর সত্যতা যাচাই করেনি।
ক্লিপটিগুলিতে দুই নারী এবং এক পুরুষের কণ্ঠ শোনা যায়। দাবি করা হচ্ছে, পুরুষ কণ্ঠটি নির্যাতিতার বাবার। অন্য দুই নারী কণ্ঠের একটি নির্যাতিতার মায়ের এবং একটি আরজি কর হাসপাতালের কোনো এক কর্মকর্তার। ফোনে যিনি নিজেকে একবার অ্যাসিস্টেন্ট বা সহকারী সুপার বলে পরিচয় দেন।
ফোন কলে প্রথমেই নির্যাতিতার বাবা-মাকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর আবেদন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তা-ই তাদের যেতে বলা হচ্ছে। বাবা-মা বারংবার জিজ্ঞেস করছেন, মেয়ের কী হয়েছে? কিন্তু তার স্পষ্ট উত্তর দেওয়া হচ্ছে না, বরং বলা হচ্ছে, তিনি চিকিৎসক নন, তাই বলতে পারবেন না।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলন চলছে৷ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে আন্দোলন তুঙ্গে৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগীরা সমস্যায় পড়লেও তারা সংহতি জানাচ্ছেন আন্দোলনে৷
ছবি: Payel Samanta/DW
বিচার চাই
আরজি কর হাসপাতাল চিকিৎসকদের আন্দোলনের ভরকেন্দ্র৷ শুধু খুনের বিচার ও অপরাধীর শাস্তি নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন চলছে৷
ছবি: Payel Samanta/DW
পাশে আছি
কর্মবিরতির ফলে রোগী পরিষেবা অনেকটাই বিপর্যস্ত৷ তাই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েও নাগরিক সমাজের একটি অংশ চিকিৎসকদের কাছে কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছে৷ তবে চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন আছে রোগী ও তার পরিবারের বড় অংশের৷
ছবি: Payel Samanta/DW
নিরাপত্তার দাবি
কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাট থেকে আরজি করে এসেছিলেন শেখ সোহরাবউদ্দিন৷ হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে মাসখানেক আগে৷ তার মতে, ‘‘শুধু স্বাস্থ্যকর্মী নন, হাসপাতালের ভিতর অপরাধ ঘটলে তার শিকার হতে পারি আমরাও৷ চিকিৎসক নিরাপদ নয় মানে রোগী ও তার পরিবারও নয়৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
লক্ষ্য স্থায়ী সমাধান
তবে সকলে এমন ভাগ্যবান নন৷ বহু রোগীকে চিকিৎসা পেতে শুয়ে বসে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ ক্ষণ৷ জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামের সর্বভারতীয় সমন্বয়ক ডা. প্রাজ্ঞ অনির্বাণ বলেন, ‘‘জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও অপেক্ষার সময় কমবে না৷ সারা বছর এভাবেই চলে৷ এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যেই আন্দোলন৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
উভয়ের অধিকার
যখন রোগীরা চিকিৎসার প্রত্যাশায়, সেই সময় হাসপাতালের ধর্না মঞ্চে জুনিয়র চিকিৎসকদের জটলা৷ এখনই তারা কাজে ফিরছেন না৷ মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, ‘‘উভয় পক্ষ তাদের অধিকারের জায়গা থেকে সঠিক দাবি করছে৷ বল এখন সরকারের কোর্টে৷ প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে রাজ্যকে৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
ব্যক্তিগত অসুবিধা তুচ্ছ যখন
সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা চলে বড় সংখ্যক জুনিয়র চিকিৎসকের তৎপরতায়৷ তারা না থাকায় আহত কাদের মোল্লার মতো অনেকে চিকিৎসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন৷ তবু কাদেরের বাবা বলেন, ‘‘অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই৷ তবে হাসপাতালকে আরো ভালো করা দরকার৷ তাই দাবি পূরণ হলে আমাদেরও লাভ৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
রোগী কম
পরিষেবা ঘিরে অনিশ্চয়তার জন্য রোগীরাও হাসপাতালে আসছেন কম৷ কোনো কোনো বহির্বিভাগের কাউন্টার ফাঁকা৷ এসএসকেএম হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ঋজু মণ্ডল বলেন, ‘‘ক্রনিক অসুখে ভোগা রোগীরা কমই আসছেন৷ হঠাৎ সমস্যা হলে অনেকে স্থানীয় স্তরে চিকিৎসা করাচ্ছেন৷ তাই ভিড় কম৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
ক্রেতার অভাব
হাসপাতাল চত্বরে নানা দ্রব্য ফেরি করে অনেকে জীবনধারণ করেন৷ বিরতির পর বৃহস্পতিবার থেকে আবার আরজি কর হাসপাতালে পণ্য নিয়ে বসছেন গোবরডাঙার শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার বক্তব্য, ‘‘বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ রোগীরা ফিরলে আবার বাড়বে৷ সব কিছু ভালোভাবে মিটে যাক, এটাই চাই৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
সমাধানের আশায়
চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যা হচ্ছে বেশি৷ একই কাজে বারবার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে৷ সেই হয়রানি সয়ে প্রবীণ রণবীর সাহা বলেন, ‘‘অনেক উত্থান-পতন দেখেছি৷ কিন্তু এমন আন্দোলন দেখিনি৷ কষ্ট হলেও মানিয়ে নিচ্ছি৷ সরকার ও প্রতিবাদীরা মিলে একটা সমাধান নিশ্চয়ই করবে৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
একদিকে দুই পক্ষ
শ্যামনগরের বাসিন্দা গীতা আচার্য ক্যান্সার আক্রান্ত৷ নির্ধারিত কেমোথেরাপি করাতে পারেননি কর্মবিরতির জন্য৷ এর মূল্য কে দেবে? ডা. অনির্বাণ বলেন, ‘‘এভাবে এটাকে চিকিৎসক বনাম রোগীর দ্বন্দ্ব হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ আসলে এটা দুই পক্ষেরই লড়াই৷ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা উভয়েরই লক্ষ্য৷’’
ছবি: Payel Samanta/DW
10 ছবি1 | 10
দ্বিতীয় ক্লিপের বলা হচ্ছে, মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এমারজেন্সিতে ভর্তি করা হয়েছে। বাবা-মা যেন দ্রুত পৌঁছে যান। এখানেই নিজেকে সহকারী সুপার বলে পরিচয় দেন ওই নারী।
তৃতীয় ক্লিপে বলা হচ্ছে মেয়ে 'সুইসাইড' করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তারাও আছেন।
ফোন ক্লিপের গলা তাদের কি না, এই প্রশ্নের উত্তরনির্যাতিতার বাবা-মা দেননি। তারা জানিয়েছেন, তারা টেলিভিশন দেখছেন না, তাই অডিও ক্লিপগুলি শোনেননি। তবে আগেই আদালতে তারা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন সকালে হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে দুইটি ফোন গেছিল। প্রশ্ন উঠছে, যে তিনটি ফোন কলের ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, তা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি মতো দুটি ফোন কলের অংশ বিশেষ, নাকি তিনটি ফোন কলই করা হয়েছিল!
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ফোন কলের ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশ তড়িঘড়ি একটি সাংবাদিক বৈঠক করে, এবং সেখানে বলা হয়, প্রথম থেকেই তারা বলে আসছে, নির্যাতিতার পরিবারকে তারা ফোন করেনি, এটাই তার প্রমাণ। এর আগে আরো একটি ভাইরাল ক্লিপকে সামনে রেখে কলকাতা পুলিশ এভাবেই তড়িঘড়ি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিল। ওই ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে, অর্থাৎ, আরজি করের সেমিনার হলে অসংখ্য মানুষ ঘুরছেন। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেমন আছেন, তেমনই আছেন পুলিশের অফিসাররেরাও। আছেন ফরেন্সিক চিকিৎসকেরা।
সিবিআইয়ের সূত্র দাবি করেছিল, সময়মতো ঘটনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়নি। ফলে বহু ফরেন্সিক তথ্য নষ্ট হয়েছে। কলকাতা পুলিশ দাবি করে, ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা ১১ ফুটের একটি অংশে আছে। বাকি ৪০ ফুট ঘিরে দেওয়া হয়েছিল, যা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে না। তবে পুলিশের এই দাবির সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের সকলে সহমত নন।
বস্তুত, সিবিআইয়ের সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, আদালতে এই মামলার আগামী শুনানিতে পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ সরাসরি তোলা হতে পারে। যে প্রক্রিয়ায় নির্যাতিতার মৃতদেহ এবং ক্রাইম সিন থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে সিবিআই। যে কারণে, ওই দিন যে দুই ফরেন্সিক চিকিৎসক এভিডেন্স সংগ্রহ করেছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সাধারণত এধরনের ঘটনায় যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের এভিডেন্স সংগ্রহ করার কথা, ঘটনাস্থলে তাদের দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ফরেন্সিকের যে বিশেষজ্ঞেরা দ্রুত ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করলেন, তারা কার নির্দেশে সে কাজ করলেন? কেন বাকি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সেখানে ডাকা হলো না?
আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে চার কর্তার অপসারণ, সন্দীপ স্বাস্থ্য দপ্তরে
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানা হলো। আরজি করের চার কর্তাকে সরানো হলো। সন্দীপ ঘোষকে স্বাস্থ্য দপ্তরে বদলি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত
আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ, সুপার, অ্যাসিস্টেন্ট সুপার ও চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দেয়া হলো। সন্দীপ ঘোষকে সরিয়ে সুহৃতা পালকে অধ্যক্ষ করা হয়েছিল। তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। নতুন অধ্যক্ষ করা হয়েছে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জুনিয়র ডাক্তাররা এই বদল চেয়েছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আরো বদল
বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে ডিন অফ স্টুডেন্টস ও এমএসভিপি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি শুধু ফিজিওলজির অধ্যাপক হিসাবে থাকবেন। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে। এই সব বদলই জুনিয়র ডাক্তাররা চেয়েছিলেন। বুধবার তারা স্বাস্থ্যভবনে মিছিল করে যায় ও অবস্থান করে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষকে
সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে সরিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি করা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন
জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনে যান। সেখানে এক প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য দপ্তরে তাদের দাবিদাওয়া পেশ করে। সেখানে এই কর্মকর্তাদের সরানোর দাবি ছিল। তাদের দাবি মানা হয়েছে। তারপরও আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানাননি তারা। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, আগে তারা সরকারের বিজ্ঞপ্তি দেখবেন। তারপর আন্দোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ। তারা স্বাস্থ্যভবনের কাছে রাস্তায় বসে পড়েন। অবস্থান করেন। পরে স্বাস্থ বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর তারা ফিরে যান।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আদালতের অনুরোধ
সুপ্রিম কোর্টও চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছে। তারা জানিয়েছে, চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উদ্য়োগী হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। এবার তারা কাজে ফিরুন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
6 ছবি1 | 6
এখানেই শেষ নয়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাব তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। রাজ্যের ফরেন্সিক ল্যাব এখনো পর্যন্ত তাদের যাবতীয় রিপোর্টই দিয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে নির্যাতিতার মা আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেছেন, আদৌ ওই সেমিনার রুমে ঘটনাটি ঘটেছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। তার দাবি, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন মেয়ের গায়ে সবুজ চাদর ছিল। কিন্তু পরে যে ছবি দেখা গেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে নীল চাদর। আবার তাদের মেয়ে একটি লাল চাদর গায়ে দিয়ে শুয়েছিল বলেও তারা শুনেছেন।
কলকাতা পুলিশ অবশ্য এবিষয়েও তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, সবুজ নয়, নির্যাতিতার গায়ে নীল চাদরই ছিল। এবিষয়ে তাদের কাছে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। আর ঘটনাস্থল থেকে একটি লাল চাদরও উদ্ধার হয়েছিল। যা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
প্রশ্ন আছে আরো। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা কি সেমিনার হলই, নাকি অন্য কোথাও? একজন, নাকি একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? খুনের মোটিভ বা কারণ কী? সবচেয়ে বড় কথা, কেন হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হলো, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে? কেন দ্রুত দেহ দাহ করার চেষ্টা হলো?
নির্যাতিতার মা এই প্রশ্ন তুলছেন। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে এই প্রশ্নগুলি তিনি পেশ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্নের উত্তর চাইছে আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষও।