1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তিস্তা-মার্চ’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ এপ্রিল ২০১৪

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আগামী ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল ‘তিস্তা-মার্চ’ করবে বামপন্থি দুটি দল সিপিবি ও বাসদ৷ এই কর্মসূচি শেষ হবে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়৷

‘‘যতই দিন যাচ্ছে চুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে’’ছবি: DW/A. Chatterjee

দল দুটি তাদের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক এবং পরিবেশবাদী সংগঠনকেও সম্পৃক্ত করতে চায়৷

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিস্তার পানির দাবিতে তিস্তা-মার্চ ছাড়াও আরো কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে৷ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৭ এপ্রিল তিস্তার পানির জন্য ‘দাবি দিবস' উপলক্ষে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ৷ ঐদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে৷

১৭ এপ্রিল বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে তিস্তা মার্চের যাত্রা শুরু হবে৷ প্রথমদিন জাতীয় প্রেসক্লাব-টঙ্গী-গাজীপুর হয়ে সিরাজগঞ্জে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন মার্চে অংশগ্রহণকারীরা৷ ১৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে৷ পরে বগুড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ এবং বেলা তিনটায় বগুড়ায় জনসভা হবে৷ ১৯ এপ্রিল বগুড়া থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে সকাল ৮টায় যাত্রা শুরু করবে তিস্তা-মার্চ৷ এরপর সকাল ১০টায় রংপুরে সমাবেশ৷ পরে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা এবং হাতিবান্ধার দোয়ানী বাজারে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে৷

‘‘পশ্চিমবঙ্গের মমতা এই চুক্তির পথে এখন পর্যন্ত বড় বাধা’’ছবি: DW/A. Chatterjee

সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘‘সরকার ও শাসকগোষ্ঠীর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করতে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি৷''

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশকে তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার ভারতের এই মনোভাব সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি ও মানবতাবিরোধী৷ এই সমস্যা সমাধানের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিটের শর্ত জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রতিবেশীসুলভ মনোভাব নয়৷ দল দুটির মতে, ‘‘এ-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চীন, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে যৌথ অববাহিকা কর্তৃপক্ষ গঠন করা প্রয়োজন৷'' সিপিবি-বাসদ ঘোষিত কর্মসূচিতে অন্যান্য বামপন্থী-প্রগতিশীল, পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের সদস্যদের অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়৷

ছবি: DW/A. Chatterjee

বামপন্থি ২টি রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিলেও তিস্তার পানি নিয়ে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল এখনো নিরব আছে৷ এপ্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এব্যাপারে কোনো কথা বলবে বলে মনে হয়না৷ আর আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় এনিয়ে কথা বললে তাদের ব্যর্থতাই প্রকাশ পাবে৷ বিএনপি কথা না বলে বরং সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ হয় তা দেখতে চাইছে৷'' তিনি বলেন ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার পানি চুক্তির কথা হচ্ছে৷ আর যতই দিন যাচ্ছে চুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি এই চুক্তির পথে এখন পর্যন্ত বড় বাধা৷ ভারতে নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সরকারে কারা আসবেন, তাদের ভূমিকা কেমন হবে তাও এখন বড় বিষয় হয়ে দেখা দেবে৷''

পানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ম ইমামুল হক ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় এখন বাংলাদেশে তিস্তার পানি প্রবাহ মাত্র ৪০০ কিউসেক৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে ৫ হাজার কিউসেক পানির দাবিদার৷ তাঁর মতে, ভারত এই পানি না দিলে পানির জন্য বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়া উচিত৷ এজন্য সব রাজনৈতিক দলের এক হওয়া দরকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ