1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিস্তার পানি হাসিনার ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৮ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হলে তা তাঁর জন্য হবে অনেক বিব্রতকর৷ আর তিস্তার পানির জন্য যদি সামরিক চুক্তি করতে হয়, তাহলে তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে নেতিবাচব হবে৷

Bangladesh Sheikh Hasina Regierungschefin
ছবি: Oli Scarff/Getty Images

বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির আশা করে, কিন্তু এমনও হতে পারে তিস্তা বা সামরিক চুক্তি কোনটাই হবে না৷

আগামী ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধারমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ নরেন্দ্রমোদী ক্ষমতা গ্রহণের পর এটা হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর৷ এর আগে ২০১৫ সালে মোদী ঢাকা সফর করেন৷ শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে ভারত সফরের সময় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ আর গত সপ্তাহে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, শেখ হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ হবে৷

Imtiaz.mp3 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

তবে শেখ হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ হবে কি হবে না তা অনেকটা নির্ভর করছে তিস্তা পানি চুক্তির ওপর৷ বাংলাদেশ এটাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে৷ ২০১১ সালেই ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর বাংলদেশ সফরের সময় তিস্তা পানি চুক্তির প্রবল আশা জেগেছিল৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতায় সে আসা নিরাশায় পরিণত হয়৷ আর মোদীর ঢাকা সফরেও কোন ফল আসেনি৷ কিন্তু এবার ঢাকা যেন অনেকটা মরিয়া হয়ে উঠেছে৷

বাংলাদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে তাই গত সপ্তাহে ভারত সফরে তিস্তার পানির জন্য ঢাকা কতটা উদগ্রীব তা জানিয়েছেন৷ সেখানে ১৬ মার্চ তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের কৃষি এবং পানির জন্য চিস্তা চুক্তি অপরিহার্য৷ এটা আমাদের সত্যিই প্রয়োজন৷ ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং নরেন্দ্র মোদী তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ আমরা মনে করি ভারত এখন এটার ওপর কাজ করছে৷''

প্রসঙ্গত, সিকিম থেকে উৎপত্তি হয়ে তিস্তা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে এর পানি প্রবাহ এক হাজার কিউসেকেরও নিচে নেমে যায়৷ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নরেন্দ্র মেদীর সঙ্গে মমতাও ঢাকা সফর করেন৷ তখন তিনি তিস্তার পানির ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের চুক্তি করায় ইতিবাচক ভূমিকার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আশ্বাসের কোন ফল এখনো দেখা যায়নি৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শান্তনূ মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলের, ‘‘মমতার সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পর্কের এখন আরো অবিনতি ঘটেছে৷ তাই মমতা তিস্তার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবেন বলে আমার মনে হয়না৷ এটা সত্য যে এবার তিস্তা চুক্তি হওয়া না হওয়ার উপরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সিভির ওজন অনেকটা নির্ভর করছে৷ কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এবার তিস্তা বা সামরিক চুক্তি কোনটিই হবেনা৷ কারণ বাংলাদেশ অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এ ধরনের কোনো চুক্তিতে যাবে বলে আমার মনে হয়না৷''

Santonu.mp3 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহেমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার যদি তিস্তা চুক্তি না হয় তার রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ভিন্ন রকম হতে পারে৷ দেড় দু'বছর পর বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য তাই এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা সবসময়ই এ ধরনের সফরের সময় তিস্তা চুক্তি আশা করি৷ কিন্তু সেজন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘সামরিক চুক্তির বিনিময়ে তিস্তা চুক্তি -এটা গ্রহণযোগ্য নয়৷ আর বাংলাদেশ তা করবে বলে মনে হয় না৷ করলে বাংলাদেশে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে৷ এতটা ছাড় বাংলাদেশ দেবেনা৷ সমেঝাতা স্মারক হতে পারে৷''

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তিস্তা পানি চুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকলেও ভারত চায় সামরিক বা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ