কর্তৃপক্ষ তুবা গ্রুপের পাঁচ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় অনেক শ্রমিক কাজের অভাবে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন৷ তুবা গ্রুপে কাজ করেছেন বলে কেউ কেউ চাকরি পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
‘‘বাড্ডা আর রামপুরায় দুইটা গার্মেন্টসে চাকরির চেষ্টা করছিলাম৷ কিন্তু তুবা গার্মেন্টসে কাজ করেছি শোনার পর তারা চাকরি দেয়নি৷ হাতে কোনো টাকাও নেই৷ যে টাকা পেয়েছিলাম বাকি শোধ করতেই শেষ৷ তাই বাধ্য হয়েই গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট ফিরে যাচ্ছি,'' কথাগুলো বলছিলেন তুবা গার্মেন্টসে কাজ করা শ্রমিক নার্গিস বেগম৷ তিনি বলেন, কাজ না পেয়ে ইতিমধ্যে তার পরিচিত অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন৷ কোথাও কাজ পেলে তারা আবার ঢাকায় ফিরে আসবে৷
শুধু নার্গিস নয়, এখন সব শ্রমিকেরই একই অবস্থা৷ আলাপকালে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাড্ডা ছাড়াও আশুলিয়া ও সাভার এলাকার কয়েকটি কারখানায় কাজের চেষ্ট করেছিলাম৷ কিন্তু তারা বলছে কাজ নেই৷ সিজন খারাপ৷ কি করব? কিছুই বুঝতে পারতেছি না৷ গ্রামে ফেরা ছাড়া উপায় নেই৷''
পোশাক শ্রমিকদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত
বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন সম্প্রতি গিয়েছিলেন একটি পোশাক কারখানায়৷ তাঁর অভিজ্ঞতা ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
অনিশ্চিত ভবিষ্যত
ঢাকার পূর্ব রামপুরার টিএম গার্মেন্টস-এর এই কর্মীরা জানেন না তাঁদের ভবিষ্যত৷ কারণ তাঁদের এখানে শ্রম আইন এবং মজুরি বোর্ড পুরোপুরি কার্যকর নেই৷ তাঁদের অগ্নিনিরাপত্তাও পর্যাপ্ত নয়৷ এমনকি ভবনটিও পুরনো৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সংসার চালানো কষ্টকর
টিএম গার্মেন্টস-এর পোশাক কর্মী সুফিয়া বেগম যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালান কষ্টকর৷ তবুও তার এরচেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগ নেই৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সর্বনিম্ন বেতনও পান না
সর্বনিম্ন বেতন ৩০০০ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও রাহেলা আক্তার তা পান না৷ তাঁকে বেতন দেয়া হয় ২৫০০ টাকা৷ সে নতুন বলেই তাঁকে নাকি কম বেতন দেয়া হয়৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
নতুন, তাই বেতন কম
সুমি বেগমেরও বেতন অনেক কম৷ কারণ তিনিও নতুন৷ খরচে পোষায় না বলে তাঁরা পাঁচজন মিলে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
গেটে তল্লাশি
এই পোশাক কর্মীদের গার্মেন্টস-এ প্রবেশ এবং বের হওয়ার আগে গেটে তল্লাশী চালানো হয়৷ আর ‘ফ্রেশ’ হতে গেলেও বলে যেতে হয়৷ আর ফিরতে যদি একটু দেরি হয়, তাহলে মেলে গালমন্দ৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন এঁরা৷ তাপ ওপর মেশিনপত্রও পুরনো৷ কাজ করতে গিয়ে পুরনো মেশিনপত্রের কোনো ক্ষতি হলে কখনো কখনো জরিমানাও করা হয় তাঁদের৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
রঙিন স্বপ্ন
রঙিন পোশাক আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসেন কুড়িগ্রামের মৌসুমী৷ পোশাক কারখানায় কাজ নেয়ার পর ধীরে ধীরে তাঁর স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
শ্রমিকরা অপুষ্টির শিকার
আছিয়া বেগমকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অপুষ্টির শিকার৷ সকাল-সন্ধ্যা গার্মেন্টস-এ কাজ করেও তিনি জোটাতে পারেন তাঁর প্রয়োজনীয় খাবার৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
8 ছবি1 | 8
হঠাৎ নোটিশ টানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য তুবা গ্রুপের ৫টি প্রতিষ্ঠান বুকশান গার্মেন্টস, তুবা ফ্যাশন, তুবা টেক্সটাইল, তাইফ ডিজাইন ও মিতা টেক্সটাইল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ৷ এসব কারখানায় ১ হাজার ৪৫৬ জন শ্রমিক কাজ করতেন৷ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শ্রমিকদের ‘সার্ভিস বেনিফিট'সহ অন্যান্য পাওনা পাওয়া এখন অনিশ্চিত৷
গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র একজন পরিচালক বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় কারখানাগুলো আর চালু হচ্ছে না৷ তাই কারখানাটি ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোর্টিশ দেয়া হয়েছে৷ নোটিশে বলা হয়েছে, বন্ধের ঘোষণা জুনের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হবে৷ সেই বিবেচনায় শ্রমিকরা ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হবে৷
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট, বোনাস, নোটিশ সময়ের পাওনা প্রায় ২ কোটি টাকা থেকে তাদের বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে৷
তুবা-র মালিক দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্রমিকরা জুন মাসের ১০ তারিখ থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন৷ তারা মে মাসের বেতনের জন্য একটা সপ্তাহ ধৈর্য ধরতে পারলেন না৷ অথচ তখনো কারখানায় অনেক কাজের অর্ডার ছিল৷ এখন ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করা ছাড়া আমার আর কোনো রাস্তা খোলা নেই৷
এদিকে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিজিএমইএ-র উদ্যোগে তুবা-র শ্রমিকদের একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে৷ এসব শ্রমিকদের চাকরি দিতে অন্য কারখানার মালিকদের কাছে তাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হবে৷ তবে শ্রমিকদের কাজে নেয়া না নেয়া মালিকের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি৷
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
তুবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শ্রমিকরা প্রাপ্য বেতনের জন্য আন্দোলন করে ফৌজদারি অপরাধ করেননি৷ তারা তাদের প্রাপ্য টাকার জন্য আন্দোলন করেছে৷ এটা তাদের অধিকার৷ তাদের অন্য কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা বিজিএমইএ'কেই করতে হবে৷ সেই ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত এবং ন্যায্য পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব৷'' তিনি বলেন, ‘‘তুবা-র মালিক দেলোয়ার হোসেনের অবিলম্বে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠাতে হবে৷ কারণ সে একজন খুনি৷''
মোশরেফা মিশু বলেন, ‘‘আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব৷ কারখানা বন্ধের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দুই এক দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে মামলা করা হবে৷ শ্রম আইন অনুযায়ী, লে-অফ ঘোষণার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন, তুবা এবং মালিক দেলোয়ারের ক্ষেত্রে তা খাটে না৷ দেলোয়ার গত কয়েক মাসে ৩৭ কোটি টাকার কাজ করেছেন৷ কেবল বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে অর্ডার সাপ্লাই করেছেন ২৬ কোটি টাকার৷ অথচ শ্রমিকদের ৪ কোটি টাকা দিচ্ছেন না৷''
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, যে ধারায় মালিক প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করেছেন তা হলো শ্রমিকদের অবৈধ ধর্মঘটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া৷ কিন্তু শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করেছে৷ সেজন্য তাদের ধর্মঘট অবৈধ নয়৷ ফলে মালিক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করতে পারেন না৷ তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিকদের সব ধরণের পাওনা দিতে বাধ্য৷ তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিক নোটিশ পে বাবদ এক মাসের মূল বেতন এবং তিন বছরের জন্য তিন মাসের মূল বেতনের সার্ভিস বেনিফিট প্রাপ্য হবেন৷
এদিকে তুবার কারখানা বন্ধের নোটিশের প্রতিবাদে শুক্রবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কয়েকটি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন৷ এসব সমাবেশ থেকে কারখানা বন্ধের নোটিশকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে৷ অন্যথায় লে-অফ ঘোষণা করলে আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধের দাবি জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি চলতি আগস্ট মাসের বেতন দেয়ারও দাবি জানানো হয়৷