1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুমুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে জন্ম হল দক্ষিণ সুদানের

৯ জুলাই ২০১১

জন্ম নিল নতুন দেশ, দক্ষিণ সুদান৷ রাজধানী জুবা৷ সারারাত চলছে স্বাধীনতার আনন্দ৷ তৈলসমৃদ্ধ এই দেশটি কিন্তু অন্যদিকে বিশ্বের সমস্যাদীর্ণ দেশগুলির অন্যতম৷

নতুন দেশ, নতুন পতাকাছবি: dapd

গণভোটে ৯৯ শতাংশ সমর্থন, আনন্দ তাই মাত্রাছাড়া

দক্ষিণ সুদান৷ রাজধানী তার জুবা৷ সদ্য ভূমিষ্ঠ হল এই দেশ৷ নতুন দেশের নাগরিকদের কাছে সরকারি নির্দেশ ছিল, যে যার ঘরে বসে স্বাধীনতা পালন করার৷ কিন্তু কে কার কথা শোনে৷ রাত বারোটায় আসবে স্বাধীনতা৷ তার ঘণ্টা দুই আগেই রাজপথ গাড়িতে গাড়িতে ছয়লাপ৷ লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ শিশু সকলেই পথে৷ আনন্দে আত্মহারা৷ শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ঘড়ি আগে থেকেই চলছিল উল্টোদিকে৷ সেই ঘড়ি শূন্যের কাঁটা স্পর্শ করা মাত্রই আনন্দের জোয়ার চারদিকে৷ সেইসঙ্গে টিভির পর্দায় নতুন জাতীয় সংগীত৷ কিছুদিন আগে আয়োজিত এই দেশভাগের গণভোটে দক্ষিণ সুদান রাষ্ট্রের পক্ষে ৯৯ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ তাঁদের সেই স্বাধীনতা লাভের উচ্ছ্বাস তখন তাই মাত্রাতীত৷ দক্ষিণ সুদান নতুন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় তারা জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৩তম দেশ৷ আর আফ্রিকার ৫৪তম জাতিসংঘ সদস্য দেশ৷

কষ্টার্জিত স্বাধীনতা

দেড় মিলিয়ন মানুষের জীবনের বিনিময়ে, বহু দশকের আন্দোলনের পর, অনেক চ্যালেঞ্জকে পেরিয়ে তবে স্বাধীনতা পেয়েছে দক্ষিণ সুদান৷ উত্তর সুদানের সঙ্গে তাদের জোর করে জুড়ে রাখা হয়েছিল৷ এ অভিযোগ ছিল সেই সাতের দশক থেকে৷ এরপর একের পর এক আন্দোলন৷ অনেক স্বপ্ন দেখা আর সেইসব স্বপ্নের অপমৃত্যু৷ এইসব কঠিন পথ পেরিয়ে অবশেষে এসেছে স্বাধীনতা৷ তাই সারারাত উৎসব চলছে নতুন রাজধানী জুবার পথে পথে৷ আজ শনিবার বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে৷ কিন্তু আসল উৎসব হয়ে চলেছে আগেই৷ এই স্বাধীনতা উপলক্ষ্যে উত্তর সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশির, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল, মার্কিন সেনাবাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান জেনারেল কার্টার হ্যাম প্রমুখ বহু হোমরাচোমরা এখন দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায়৷

কিন্তু চ্যালেঞ্জ অনেক

তৈলসমৃদ্ধ দেশ দক্ষিণ সুদান৷ প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য্য তার আছে৷ কিন্তু যা নেই, তাহল পরিকাঠামো, চিকিৎসা, শিক্ষা থেকে শুরু করে উন্নয়নের তেমন কোন দিকনির্দেশ৷ প্রতি পাঁচটি শিশুর একটি পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেখানে৷ তাছাড়া, গত কয়েক দশকের একের পর এক বিপ্লব, পাল্টা সরকারি হামলা, দেড় মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু, অসংখ্য ঘরছাড়া, সর্বহারা পরিবার এসব সমস্যা ছাড়াও উত্তরের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে পুরো বিষয়ের মীমাংসা এখনও বাকি৷ তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়ে গেছে৷ এর মধ্যেই নতুন দেশের এই জন্মকে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্ব৷ এরপর কোনদিকে যাবে এই নতুন দেশের মানুষের এবং রাজনীতির ভাগ্য, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করবে ভবিষ্যৎ৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ