1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ককে ইইউ: মানবাধিকার প্রশ্নে ছাড় নয়

৭ এপ্রিল ২০২১

ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চাইলে আঙ্কারাকে  মানবাধিকারের মৌলিক দিকগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে৷ দেশটির প্রতি এমন বার্তাই দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷

Türkei Ankara | Ursula von der Leyen, Charles Michel und Recep Tayyip Erdogan
ছবি: Presidential Press Office/REUTERS

নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে ৪৫ টি দেশের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি থেকে সম্প্রতি সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক৷ কাউন্সিল অব ইউরোপের উদ্যোগে ২০১১ সালে ইস্তাম্বুলে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছিল৷  বিষয়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন আঙ্কারার উদ্দেশ্যে বলেছেন, মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে তুরস্কের সঙ্গে কোন সমঝোতা বা ছাড় দেয়া হবে না৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি৷

লাইয়েন বলেন, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অনিবার্য বিষয়৷ ‘‘তুরস্ক ও ইউরোপের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেগুলো অবিচ্ছেদ্য হিসেবে বিবেচিত হবে৷ তুরস্ককে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানদণ্ডগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে,'' বলেন জার্মানির সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷

লাইয়েনের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল  তুরস্কের সরকারের সঙ্গে বৈঠকে তারা ২০১৬ সালের অভিবাসন চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন৷ ‘‘অবৈধ বহির্গমন ঠেকানো ও গ্রিস থেকে অবিলম্বে (অবৈধ অভিবাসী) ফেরত নেয়া শুরুর'' বিষয়ে তুরস্কের কাছে আহ্বান জানান তারা৷ আলোচনা হয়েছে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিকগুলো নিয়েও৷

বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপ ও তুরস্কের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল৷ বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সাইপ্রাস ও গ্রিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷ এমনকি গত ডিসেম্বরে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়েও আলোচনা শুরু করে ইইউ৷

প্রথমে এই হুমকি অগ্রাহ্য করলেও পরে নরম হতে শুরু করেন এর্দোয়ান৷ বিতর্কিত জলসীমানায় অনুসন্ধান বন্ধ করে আঙ্কারা৷ এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপের সঙ্গে আলোচনার দ্বারও উন্মোচিত হয়৷

মহামারি, পর্যটনে ধ্বস, স্থানীর মুদ্রা লিরার দরপতনে তুরস্কের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ একইসঙ্গে এর্দোয়ানের মিত্র হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় আঙ্কারার দিক থেকে বরফ গলার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন সম্পর্কের উন্নয়ন কতটা হবে সেটি নির্ভর করছে তুরস্কের আচরণের উপরই৷ ‘‘যদি এর্দোয়ান সহযোগিতাসুলভ মনোভাব না দেখান তাহলে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে,'' বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন একজন ইইউ কর্মকর্তা৷

পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত সীমানায় জ্বালানি অনুসন্ধান কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হলে ইইউর দিক থেকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি আগে থেকেই রয়েছে তুরস্কের উপরে৷ 

এফএস/কেএম (এএফপি, ইএফই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ